ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় রদবদল

ব্রিটিশ জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তবে অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবোর্ন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগের মতো অজনপ্রিয় মন্ত্রীরা নিজ পদে বহাল রয়েছেন। এ ছাড়া মন্ত্রিসভার অধিকাংশ প্রভাবশালী সদস্যকেই তাঁদের পদপদবি খোয়াতে হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার এ রদবদল করেন ক্যামেরন।


২০১৫ সালের নির্বাচন সামনে রেখে এ রদবদল বলে মনে করা হচ্ছে। দুই বছর আগে জোট সরকারের এ মন্ত্রিসভায় প্রথম রদবদল করা হয়েছিল।
সংস্কৃতিমন্ত্রী জেমেরিকে হান্টকে পদন্নোতি দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 'মিডিয়া মোঘল' খ্যাত রুপার্ট মারডকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরে তাঁর পদত্যাগের ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছিল। হান্টের পদোন্নতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
অপরদিকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ বাতিলের নেপথ্যের মানুষ পরিবহনমন্ত্রী জাস্টিন গ্রিনিংকে আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন প্যাট্রিক ম্যাকলাফলিন। হিথ্রো বিমানবন্দরের কলেবর বৃদ্ধির ব্যাপারে জোরালো দাবি রয়েছে। উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে এন্ড্রু মিশেলকে পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ দলের চিফ হুইপ করা হয়েছে।
কেন ক্লার্ককে বিচারমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে সরকারের 'উপদেষ্টা' (ওয়াইজ হেড) করা হয়েছে। সাবেক এই অর্থমন্ত্রী ব্যাপক প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত।
পরিবহন মন্ত্রণালয়ের টেরেসা ভিলিয়ারসকে পদোন্নতি দিয়ে উত্তর আয়ারল্যান্ডবিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য টেরেসা মে-কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদেই বহাল রয়েছেন।
জোট সঙ্গী লিবারাল ডেমোক্র্যাটের ডেভিড লজকে জুনিয়র শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। লজ জুনিয়র অর্থমন্ত্রী (চিফ সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি) দায়িত্ব পালনকালে তাঁর সমকামী সঙ্গীর বাড়িতে থেকেও সরকার থেকে বাড়িভাড়া নেওয়ার অভিযোগের মুখে পদত্যাগ করেছিলেন।
সর্বশেষ গত রবিবার টাইস পত্রিকায় প্রকাশিত জরিপ অনুযায়ী, কনজারভেটিভদের জনসমর্থন ৩৫ শতাংশ, মধ্য-বামপন্থী লেবার দলের ৪১, লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা আছে ৯ শতাংশে এবং বাকিরা ১৪ শতাংশ। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.