যে খবর নাড়া দেয়-কিশোরী সাহসিকা!

গ্রামের সাদাসিধে কিশোরী একটা মেয়ে। কী দুর্দান্ত সাহস তার! এই ছোট্ট বয়সেই সে তার গ্রাম নিয়ে ভেবেছে। সঙ্গী-সাথিদের নিয়ে নেমেছে তার নোনাপুকুর গ্রামকে মাদকমুক্ত করার সংগ্রামে। তৈরি করেছে নোনাপুকুর মাদকবিরোধী গণগবেষক দল।


কী অসাধারণ একটা ব্যাপার!
দুঃখ কেবল এই, অসাধারণ ব্যাপারটার সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও কিছু সাধারণ (!) ব্যাপার। আরিফা খাতুন নামের এই কিশোরীর কাজকর্ম মোটেও ভালোভাবে নিতে পারেনি স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম। তার হাতে প্রহূত হয়েছেন আরিফার বাবা ও ভাই। মাদক ব্যবসায়ীর হুমকি-ধমকির কারণে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছে আরিফা। স্কুলে যাওয়া বন্ধ। আরিফার আশ্রয় এখন রাজশাহী মহিলা অধিদপ্তরের নিরাপদ নিবাস। (সূত্র: পৃষ্ঠা: ৫, প্রথম আলো, জুন ২০১২)
শুভ আর অশুভের সংঘাত অবশ্যম্ভাবী। আরিফার পরিবার বনাম স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীর সংঘাতও তাই অনিবার্য। আরিফা গ্রামছাড়া হয়েছে। তার শেষ পরিণতি কী আমরা জানি না। শুধু এটুকু জানি, আরিফা যে সাহস দেখিয়েছে, সেটি আমাদের অনেকের মাথা হেঁট করে দেওয়ার মতো। চারপাশের অনাচার দেখে আরিফা তথাকথিত ভদ্রলোকদের মতো মুখগুঁজে থাকেনি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সে রুখে দাঁড়ানোর সাহস করেছে। শুধু নিজে ভালো না থেকে তার পুরো গ্রামটাকে ভালো রাখার চেষ্টা করেছে। এটুকু সাহস আমাদের কয়জনের আছে?
আরিফার মতো সাহস হয়তো আমাদের সবার হবে না। আমরা অন্তত বিপদাপন্ন মেয়েটা আর তার পরিবারের পাশে গিয়ে তো দাঁড়াতে পারি—নাকি সেটুকু সাহসও আমাদের হবে না?
—ইকবাল হোসাইন চৌধুরী

No comments

Powered by Blogger.