সাদাকালো-চাওয়া-পাওয়ার বিচারে সম্প্রদায়-চেতনা by আহমদ রফিক

একটি অসাধারণ সংবাদ শিরোনাম, যদিও হরহামেশা কথাটা উচ্চারিত হয়ে থাকে- 'আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?' উচ্চারিত হয়, যখনই সমস্যার কথা ওঠে, যেমন- লোডশেডিং তথা বিদ্যুৎ ঘাটতি, পানি সংকট, নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন, নিরাপত্তার অভাব, নারী নির্যাতন, রাজনৈতিক সহিংসতা ইত্যাদি যখন আমাদের স্বস্তি-শান্তি নষ্ট করে; আর্থসামাজিক সমস্যা গভীর হয়ে দেখা দেয়।


আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধে নেমেছিলাম, বরং বলা ভালো যে নামতে বাধ্য হয়েছিলাম এমন সব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য। নয়া উপনিবেশবাদী পাকিস্তানি শাসন নিত্যনতুন উপদ্রব আমাদের উপহার দিতে শুরু করেছিল, যার বিস্তার ঘটে সমাজ-রাজনীতি থেকে সংস্কৃতি পর্যন্ত। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন ও সহিংসতা। পাকিস্তানের ভিত্তি ছিল ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্ত্বের সুবাদে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িকতা; যদিও বলা হয়েছিল সাম্প্রদায়িকতার অবসান ঘটাতে দেশ বিভাগ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা। এখানেই ছিল পাকিস্তানতত্ত্ব ও খাস পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার স্ববিরোধিতা।
সেই স্ববিরোধিতার অবসান ঘটাতে বাঙালির স্বাধীনতাযুদ্ধ ১৯৭১ সালে। লক্ষ্য ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যে রাষ্ট্র হবে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক। যুদ্ধশেষে অর্জিত স্বদেশে রচিত সংবিধানের মূলনীতিতেও ছিল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসহ অসাম্প্রদায়িকতা। তত্ত্বগতভাবে ও বাস্তবে সংখ্যালঘু শব্দটির তাৎপর্যগত অবসান ছিল আমাদের লক্ষ্য এবং তা বাঙালিয়ানার হঠাৎ জেগে ওঠা আবেগে।
এই আবেগের নেপথ্যে ছিল শিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণী, সেই সঙ্গে সব পেশাজীবী শ্রেণীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন- যেমনটা ছিল ১৯৪৬-৪৭-এ সাম্প্রদায়িকতার ব্যানারে। প্রায় দুই দশকে ওই চেতনার তলানি সমাজে বেশ ভালো মাত্রায়ই উপস্থিত ছিল। সমাজের চরিত্রবদল ঘটেনি। ঘটেনি বলে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ব্যবধান সমাজে ধারণ করে পাকিস্তানের বদলে বাঙালিস্তান হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা যায়, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর বাঙালিস্তান।
যেকোনো রাষ্ট্রে সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু জনসম্প্রদায়ের সহাবস্থান বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুর জন্য দুর্ভোগ ও দুর্দশার কারণ। শ্রীলঙ্কায় তামিল সম্প্রদায় এর জলজ্যান্ত উদাহরণ। জাতিগত বা ধর্মীয় সংখ্যালঘু- উভয় ক্ষেত্রেই তুল্যমূল্য। স্পেনে বাস্ক, তুরস্কে বা ইরাকে কুর্দি, আসামে বাঙালি, ভারতে মুসলমান, বাংলাদেশে হিন্দু একই দুর্ভোগের শিকার। ক্ষেত্রবিশেষে সেক্যুলার সংবিধানও ওই সামাজিক ব্যবধানের হাঁড়িকাঠ থেকে সংখ্যালঘুকে রক্ষা করতে পারে না। প্রমাণ ভারতে অযোধ্যাকাণ্ড, গুজরাটকাণ্ড। সুপ্রিম কোর্টও তাদের খুব একটা সাহায্যে আসে না।
এর একমাত্র সমাধান সম্ভবত শ্রেণীসংগ্রামের মাধ্যমে শ্রেণীবৈষম্য ও শ্রেণীশোষণের অবসান ঘটানো এবং প্রকৃত শ্রেণীনিরপেক্ষ সমাজ প্রতিষ্ঠা, যা সেই রাষ্ট্রনীতির টানে ধর্মীয় সম্প্রদায় নিরপেক্ষ সমাজ গড়ায় সাহায্য করবে। সমাজ থেকে ধীর প্রক্রিয়ায় সাম্প্রদায়িক মানসিকতার অবসান ঘটাবে।
আমরা বাহাত্তরের সংবিধানে সম্প্রদায়-নিরপেক্ষ সেক্যুলার সংবিধান রচনা করেছিলাম। কিন্তু সমাজে তা ছিল না। ছিল না সমাজে সাতচলি্লশের পাকিস্তানি মানসিকতার অবসান ঘটানোর চেষ্টা করা হয়নি বলে। সেদিকে নজর দেওয়া হয়নি বলে। সে জন্য সেক্যুলার সংবিধানের মূল স্তম্ভগুলো ভেঙে পড়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্য সংবিধানের মাথায় বিনা বাধায় চাপানো সম্ভব হয়েছে।
চাপিয়েছে দুই সামরিক শাসকের একনায়কতন্ত্র। দেশের রাজনীতি বা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যদি সেক্যুলারই হবে, তাহলে ওই জবরদস্তি টিকত না। ওই বৈষম্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ বা আন্দোলন দেখা দিত। কিন্তু তা দেখা দেয়নি। এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে এ ব্যাপারে সদিচ্ছা থাকলেও কোনো শাসকদলের পক্ষে কাজটা সহজ নয়।
কারণ প্রতিপক্ষ ধর্মীয় স্পর্শকাতরতার সাহায্য নিয়ে ভোটবাক্সের হিসাব-নিকাশ উল্টে দিতে পারে। তৈরি করতে পারে তাদের পক্ষে ধর্মীয় উন্মাদনা। পারে বাংলাদেশে সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এখনো সেক্যুলার মানসিকতা অর্জন করেনি বলে। এদিকে সমাজে গুণগত পরিবর্তন ঘটেনি। শুধু বাংলাদেশেই নয়, ঘটেনি ভারতেও, এমনকি ভারতীয় বাঙালি সমাজে।
এদিক থেকে ১৯৪৬-৪৭-এর বাঙালি সমাজটার সামান্যই পরিবর্তন ঘটেছে, ঘটেছে ছোটখাটো অংশে। তাই তাদের কথাবার্তায় ও আচরণে ধর্মীয় উচ্চম্মন্যতার প্রমাণ মেলে। পশ্চিমবঙ্গীয় বাংলাভাষীদের ক্ষেত্রেও এটা সত্য, তবে যতটা কথায়, তার চেয়ে বেশি আচরণে। শতবর্ষ আগে রবীন্দ্রনাথ যে অবাঞ্ছিত আচারধর্ম লক্ষ করেছিলেন, বর্তমান আধুনিকতার প্রভাবেও তা পুরোপুরি ধুয়েমুছে যায়নি। যায়নি ১০০ বছরের ঘষামাজা সত্ত্বেও। মানবধর্ম দুই সম্প্রদায়ের কোনোটিরই সামাজিক ভিত্তিতে গেড়ে বসতে পারেনি।
গত ৪০ বছরে নানা ঘটনায় আমরা তা প্রত্যক্ষ করে আসছি। তাই ভোটে হারলে সম্প্রদায়-বিশেষের ওপর হামলা চলে। দেবোত্তর সম্পত্তি থেকে মন্দিরের জায়গাজমি দখলের চেষ্টা চলে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের শক্তিমান সদস্য বিশেষ পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু প্রতিবেশীকে স্বদেশ ছাড়তে প্ররোচিত করে; অন্যথায় দুর্ভোগ নেমে আসে। যেমনটা দেখা গেছে একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তায় রাজাকারদের কীর্তিকলাপে- এতটা ভয়ংকর না হলেও কিছুটা তো বটেই।
এ বিষয়ে বেশ কিছু ঘটনার উদাহরণ আমাকে একসময় লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। লিখে কোনো প্রতিকার হয় না দেখে ভেবেছি, কী হবে বারবার লিখে। কিন্তু কয়েক দিন আগে একটি দৈনিক পত্রিকায় এম এম আকাশ, ঈশানী চক্রবর্তী, সাইফুল হক, রোবায়েত ফেরদৌস প্রমুখের 'সংখ্যালঘু নির্যাতন' বিষয়ক ছোট্ট মন্তব্য প্রতিবেদন পড়ে মনে হয়েছে, তাঁদের বক্তব্যের সমর্থনে কয়েক ছত্র লেখা অবশ্যকর্তব্য; যেহেতু আমি লেখকের সামাজিক দায়বদ্ধতায় বিশ্বাসী।
তাঁদের প্রতিবাদলিপি সাতক্ষীরায় নাটক অনুষ্ঠান নিয়ে ভয়াবহ নাটক ঘটানোকে কেন্দ্র করে। সেই জের ধরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক হামলা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি। এখানে শিক্ষণীয় বিষয় হলো, যেকোনো ধর্মীয় অজুহাত তুলে এখনো আমাদের সমাজে সাম্প্রদায়িক লঙ্কাকাণ্ড বাধানো যায়। এতে বোঝা যায়, সম্প্রদায় প্রশ্নে সমাজের মানসিকতা কী অবস্থানে রয়েছে।
এই বিশেষ ঘটনার ইতিবাচক দিক হচ্ছে ঘটনার সঙ্গে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের সংশ্লিষ্টতা এবং হামলাকাণ্ডের বিরুদ্ধে তাদের কিছুসংখ্যকের প্রতিবাদী ভূমিকা। এবং ১১ এপ্রিলের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন ছাত্র-শিক্ষকের প্রতিবাদ সভার অনুষ্ঠান। কিন্তু এর নেতিবাচক বা দুর্ভাগ্যজনক দিক হলো সমাজের বৃহত্তর অংশের রক্ষণশীলতার প্রকাশ, যার সঙ্গে প্রশাসনও জড়িত। দেখা যাচ্ছে, মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ সমাজের মৌলবাদী অংশ এখনো এ দেশে অঘটন ঘটাতে সক্ষম। অর্থাৎ যথেষ্ট শক্তিমান।
স্বভাবতই পূর্বোক্ত ছাত্র-শিক্ষকরা বলতেই পারেন, 'আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?' জবাব : 'অবশ্যই না।' কিন্তু ভৌগোলিক ও রাষ্ট্রিক স্বাধীনতা পাওয়ার উল্লাসে আমরা ভুলে গিয়েছিলাম, সমাজটা আদর্শিক মাত্রায় বদলায়নি। বদলানোর কাজ হাতে নিতে হবে। হাতে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে সরকার। কিন্তু তাদের কাছে বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি।
বাহাত্তরে বাঙালিয়ানার জোয়ারে ভেসে তাঁরা ভেবেছেন, 'সব কুছ ঠিক হ্যায়'। কিন্তু আপসে আপ সব কিছু যে ঠিক হয় না, সে রূঢ় সত্য তাঁদের রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় ধরা পড়েনি। এমনকি সাম্প্রদায়িক উপদ্রবের ঘটনা চোখের সামনে দেখেও তাঁদের মনে হয়নি, একাত্তরের চেতনা ক্রমাগত পিছু হটছে। মধ্য সত্তরের পর থেকে সম্প্রদায়বাদী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয়েছে, দেশটা পাকিস্তানি আমলে ফিরে গেছে।
মাগুরায় ক্ষমতাসীন দলের মাস্তানদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হিংস্র, বীভৎস হামলার মতো ঘটনা সমাজে ব্যাপক আলোড়ন তোলেনি। গণতন্ত্রী নামে পরিচিত রাজনৈতিক দলগুলোকে এ ধরনের বর্বরোচিত ঘটনাবলি নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে তুলতে দেখা যায়নি। সামাজিক পরিবেশ এদিক থেকে অনুকূল বলে তাদের মনে হয়নি। তাই ভোটের হিসাব তাদের আচরণ নির্ধারণ করে। এ-জাতীয় ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটে চলেছে। আদিবাসী বসতিও এই জতুগৃহের বাইরে নয়।
সমাজের মানসিকতা যে বড়সড় অংশে সেক্যুলার নয়, এ ধরনের নানা প্রতিক্রিয়ায় তার প্রমাণ মেলে। ১৯৯৬ সালে ঢাকায় আয়োজিত সম্প্রীতি সম্মেলন সম্পর্কে আপাত-সেক্যুলার একজন সাংবাদিক ও একজন অধ্যাপকের মন্তব্য বিস্ময়কর মনে হয়েছিল। তাঁদের মতে, 'সম্প্রীতির অভাব কোথায় যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সম্মেলন করতে হবে?' একজন তো বলেই ফেলেন, 'ওদের তো জামাই আদরে রেখেছি।' সেই বহু পরিচিত 'ওরা আমরা'। বাঙালি জাতিসত্তা তার জনগোষ্ঠী নিয়ে এমনই যুক্তিহীনভাবে বিভক্ত। অথচ বাঙালিয়ানা নিয়ে বাঙালি মুসলমানের কী শোরগোল ও গর্ব!
ওই উদ্ভট মন্তব্যের জবাব ছিল, 'দেশটা কি আপনার একার? রাখা না রাখার দায়িত্ব আপনার ওপর কেউ দেয়নি। দেশটা যতটা আপনার, ততটাই বাকি সবার- ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে।' ১৬ বছর পর কয়েক দিন আগে একটি বৈঠকে প্রগতিবাদী দুই মননশীলের প্রায় অনুরূপ মন্তব্য 'ওরা এখানে শান্তিতে আছে' আমাকে অবাক করেছে। 'সবার ওপরে মানুষ সত্য' কিংবা 'সবারে বাসরে ভালো নইলে মনের কালো ঘুচবে না' ইত্যাদি মনীষীকথা আপ্তবাক্য হয়েই রয়ে গেল।
পাকিস্তানি শাসকদের মতো এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজও কি চায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দেশ ছেড়ে চলে যাক? পাকিস্তানিদের উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু সম্প্রদায়কে পূর্ববঙ্গ থেকে তাড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলকে মোট জনসংখ্যা বিচারে পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় সংখ্যালঘু অঞ্চলে পরিণত করা। বর্তমান বাংলাদেশে তো তেমন সমস্যা নেই। বরং সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ই সমাজে, রাষ্ট্রে, শাসনে-শোষণে সবার ওপরে। তাহলে? তাহলে কেন 'ওরা আমরা' মানসিকতার প্রকাশ, যদিচ উভয়েই বাঙালি?
তাহলে সমস্যার সমাধানে একটা সূত্রই উঠে আসে- সম্প্রদায়বাদী বিরূপতা তথা ধর্মীয় বিরূপতা এখনো বর্তমান। এরাই সমাজে সংখ্যাগুরু। সেক্যুলার বাঙালি নিশ্চিতই সংখ্যাল্প। একাত্তরে এমনটা ছিল না বলে আমাদের কথায় ও লেখায় প্রকাশ। গত সাড়ে তিন দশকের ঘটনাবলি দেখে ভাবতে হচ্ছে পূর্বোক্ত ধারণা সঠিক কি না। সঠিক হোক আর বেঠিক হোক, সমাজবদলের কাজটা হাতে নেওয়া যে অত্যন্ত জরুরি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ তা না হলে মুখে মুখে বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্লোগানে সাম্প্রদায়িক মানসিকতা সমাজ থেকে দূর হবে না। এ সত্য আমাদের বুঝতে হবে। অন্যথায় 'সাম্প্রদায়িকতা আমার পাপ, তোমার পাপ' শুধু স্লোগান হয়েই থাকবে।
লেখক : ভাষাসংগ্রামী, কবি,
রবীন্দ্র গবেষক ও প্রাবন্ধিক

No comments

Powered by Blogger.