১৪ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির জবানবন্দি

বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানদের দাবির মুখে তিন বাহিনীর প্রধানদের সমঝোতা বৈঠক থেকে চলে যেতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন বাসভবন যমুনায় এই সমঝোতা বৈঠক হয়। তিন বাহিনীর প্রধানেরা বাইরে গেলে এক প্রতিমন্ত্রী, দুই সাংসদ ও নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে নিয়ে ১৪ বিদ্রোহী জওয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শর্ত সাপেক্ষে বিদ্রোহীদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বৈঠকে সমঝোতা হলেও পিলখানা ফিরে গিয়ে মত পাল্টে ফেলেন জওয়ানেরা।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ১৬১ ধারায় সিআইডির কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, হুইপ মির্জা আজম, সাংসদ ফজলে নূর তাপস ও তিন বাহিনীর তৎকালীন প্রধানেরা। মামলার অভিযোগপত্রে তাঁরাসহ ১৪ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাক্ষ্য সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জবানবন্দি নেওয়া হলেও তাঁকে সাক্ষী করা হয়নি। এ ছাড়া মন্ত্রী, সাংসদ, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১৪ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তিন বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি এই নৃশংস ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, ১৪ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তালিকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইন প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও আছেন সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওয়ারেসাত হোসেন (নেত্রকোনা), শেখ ফজলে নূর তাপস, মুশতাক আহমেদ (নেত্রকোনা), মাহবুব আরা (গাইবান্ধা), তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল শাহ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, নৌবাহিনীর প্রধান জেড ইউ আহমেদ, পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ, র‌্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক, বর্তমানে আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার ও তৎকালীন ডিএমপির কমিশনার নাইম আহমেদ। তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় এসব ব্যক্তির জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জবানবন্দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন: এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সাহারা খাতুন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে নয়টায় এক আত্মীয়ের ফোনে তিনি বিদ্রোহের কথা জানতে পারেন। এর পর তিনি এ ঘটনা জানানোর জন্য যমুনায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে খুবই উদ্বিগ্ন দেখেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের নেতারা যমুনায় এলে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পিলখানার চারদিকে সেনা মোতায়েনের জন্য প্রধানমন্ত্রী তিন বাহিনীর প্রধানদের নির্দেশ দেন। সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ জানান, সেনা মোতায়েন করতে দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার পাঠাতে বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজমকে পিলখানায় পাঠান। তাঁরা আলোচনার পর ১৪ জওয়ানকে যমুনায় নিয়ে আসেন।
সাহারা খাতুন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত অস্ত্র জমা না দেওয়ার কারণে হোটেল আম্বালা ইনে বসে তিনি জওয়ানদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। এ আলোচনায় তাঁর সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, হুইপ মির্জা আজমও ছিলেন। জওয়ানদের পক্ষে ডিএডি তৌহিদ, ডিএডি রহিম, সিপাহি কামালসহ কয়েকজন বিদ্রোহী আলোচনায় অংশ নেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই আলোচনার পর তিনি প্রধানমন্ত্রীর বুলেটপ্রুফ গাড়িতে করে রাত ১২টার পরে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও পুলিশের আইজি নূর মোহাম্মদকে নিয়ে পিলখানার ভেতরে যান। তখন চারদিকে অন্ধকার ছিল। জওয়ানেরা চারদিক থেকে তাঁদের গাড়ি ঘিরে রেখেছিল। তাঁরা এমনভাবে অবস্থান করছিলেন যেন গাড়িই চলতে পারছিল না। বিডিআর জওয়ানেরা অল্প কয়েকটি বাতি জ্বালিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এক পর্যায়ে জওয়ানেরা অস্ত্র জমা দিতে রাজি হন। এরপর তাঁর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় কোয়ার্টার গার্ডে কিছুসংখ্যক বিডিআর সদস্য অস্ত্র জমা দেন। পরে তিনি কর্মকর্তাদের বাসস্থান থেকে লে. কর্নেল কামরুজ্জামানের পরিবার, লে. কর্নেল আকবরের পরিবার, মেজর নওরোজের পরিবার, মেজর ফিরোজের পরিবারসহ ১০টি পরিবার এবং অফিসার্স মেস এলাকা থেকে মিসেস ক্যাপ্টেন মাজহারকে উদ্ধার করেন। ভোর পাঁচটার দিকে তিনি পিলখানা থেকে বের হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে (যমুনা) গিয়ে তাঁকে ঘটনা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের কিছুদিন আগে একদল জওয়ান তাঁর বাসায় এসেছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভেতরে মৃতদেহ দেখলেন: মামলার আরেক সাক্ষী স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বেলা একটার দিকে প্রধানমন্ত্রী পিলখানায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তাঁকে ও হুইপ মির্জা আজমকে নির্দেশ দিলে তাঁরা বিডিআরের ৪ নম্বর গেটে যান। পুলিশের কাছ থেকে একটি হাতমাইক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের পাঠিয়েছেন বলে জওয়ানদের জানান। এ ঘোষণা শুনে বিদ্রোহী জওয়ানেরা হুমকি দিতে থাকেন, তাঁদের দাবি না মানলে সব বিওপি, সচিবালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। জওয়ানেরা তাঁদের বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে পাঠান। আমরা সেনাবাহিনীর চেয়েও শক্তিশালী। আমরা সর্বদা বর্ডারে যুদ্ধ করি।’ একপর্যায়ে তাঁরা আলোচনা করতে রাজি হন।
নানক জবানবন্দিতে বলেন, চার ডিএডি—তৌহিদ, হাবিব, নাসির, জলিলসহ মোট ১৪ জন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন যমুনায় যান। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আলোচনা শুরু হয়। যমুনায় ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর সামনে তিন বাহিনীর প্রধানেরা ছিলেন। ১৪ জওয়ান দাবি জানান, তিন বাহিনীর লোকজন থাকলে তাঁরা আলোচনায় বসবেন না। এরপর প্রধানমন্ত্রী তিন বাহিনীর প্রধানদের বাইরে যেতে বলেন।
নানক বলেন, হাবিলদার রফিক উত্তেজিতভাবে তাঁদের দাবি তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কাছে জানতে চান, ভেতরের পরিস্থিতি কী? জবাবে জওয়ানেরা জানান, ভেতরে সবাই ভালো আছেন। সবাইকে একটি স্থানে জড়ো করে রাখা হয়েছে।
নানক বলেন, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সবাই পিলখানায় ফিরে যান। রাত আটটার দিকে তাঁরা জানান, আলোচনার সিদ্ধান্ত সাধারণ জওয়ানেরা মানবেন না। পরদিন বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি পিলখানার ভেতরে গিয়ে দেখেন, যত্রতত্র অস্ত্র ও গোলাবারুদ পড়ে আছে; সাত-আটটি গাড়ি পোড়া। বিডিআরের মহাপরিচালকের বাসায় ছোপ ছোপ রক্ত, একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। ভেতরে আরও লাশ পড়ে ছিল। এসব কথা তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।
তাঁদের মাঠে বসিয়ে রাখেন জওয়ানেরা: আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, রাতে বিদ্রোহী জওয়ানেরা তাঁদের মাঠের ভেতরে বসিয়ে রাখেন। অনেক কিছু বলার পরও তাঁদের কোয়ার্টার গার্ডে নিয়ে যেতে রাজি হননি তাঁরা। কয়েকটি বাসায় গিয়ে তাঁরা ভেতরে ভীতসন্ত্রস্ত পরিস্থিতি দেখতে পান।
জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনা নিয়ে তিনি সিআইডিকে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বিদ্রোহীরা আগেই যোগাযোগ করেছিলেন: সাংসদ ফজলে নূর তাপস তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের দুই মাস আগে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বিডিআর সদস্য জাকিরের নেতৃত্বে কয়েকজন জওয়ান তাঁর কাছে আসেন। তাঁরা বিডিআরের বিভিন্ন সমস্যার কথা তাঁকে জানান। এসব সমস্যা নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) জানানো হবে বলে তিনি জওয়ানদের জানান। ২৯ ডিসেম্বর (সংসদ নির্বাচনের দিন) ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের জন্য পিলখানা বুথে গেলে বিডিআর জওয়ানেরা আবার তাঁর কাছে একই দাবি তুলে ধরেন।
তাপস আরও জানান, বিদ্রোহের দিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকার সময় বিডিআরের জওয়ান পরিচয় দিয়ে একজন মোবাইল ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।
জবানবন্দির ব্যাপারে টেলিফোনে জানতে চাইলে সাংসদ তাপস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাপার: সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বিদ্রোহের কয়েক দিন আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি কয়েকজন জওয়ান তাঁর কাছে আসেন। তাঁরা নিজেদের দাবির কথা জানালে তিনি বলেন, সেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাপার। এরপর জওয়ানেরা চলে যান।
মির্জা আজম তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, জওয়ানেরা দাবি করেন, সামরিক লোকজনের সামনে তাঁরা কোনো আলোচনা করবেন না। এরপর প্রধানমন্ত্রী তিন বাহিনীর প্রধানদের বাইরে যেতে বলেন।’
পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ জবানবন্দিতে বলেন, রাত একটার দিকে পিলখানার ভেতরে তিনি প্রবেশ করেন। তাঁরা দরবার হল ও ভেতরে আটকে থাকা পরিবারের অবস্থা দেখাতে রাজি হননি। জওয়ানেরা সশস্ত্র থাকায় তাঁদের চাপ দেওয়া যাচ্ছিল না।
পুলিশের বর্তমান আইজি ও র‌্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার জবানবন্দিতে বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার ভেতরে বিদ্রোহী জওয়ানেরা ডিএডি তৌহিদকে বিডিআরের প্রধান হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।
জবানবন্দির ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসান মাহমুদ খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনা নিয়ে তিনি সিআইডির কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। অন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও একই ধরনের জবানবন্দি দিয়েছেন।

বিদ্রোহের আগে
বিদ্রোহের কিছুদিন আগে বিভিন্ন দাবি নিয়ে একদল জওয়ান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যান। কিন্তু তিনি দেখা করেননি। জওয়ানরা দেখা করলে তাপস বিষয়টি নেত্রীকে জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন। শেখ সেলিম জওয়ানদের বলেন, এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাপার

২৫ ফেব্রুয়ারি
পুলিশের কাছ থেকে একটি হাতমাইক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের পাঠিয়েছেন বলে জওয়ানদের জানান। বিদ্রোহী জওয়ানরা হুমকি দিতে থাকেন, দাবি না মানলে সব বিওপি, সচিবালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে

২৬ ফেব্রুয়ারি
নানক হাতমাইকে জওয়ানদের জানান, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের পাঠিয়েছেন। পিলখানার ভেতরে গিয়ে দেখেন, যত্রতত্র অস্ত্র ও গোলাবারুদ পড়ে আছে; সাত-আটটি গাড়ি পোড়া। বিডিআরের মহাপরিচালকের বাসায় ছোপ ছোপ রক্ত, একটি মৃতদেহ পড়ে আছে

আলোচনা
তৌহিদের নেতৃত্বে জওয়ানরা মন্ত্রী-সাংসদদের বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে পাঠান। আমরা সেনাবাহিনীর চেয়েও শক্তিশালী। আমরা সর্বদা বর্ডারে যুদ্ধ করি।’ একপর্যায়ে তাঁরা আলোচনা করতে রাজি হন।

২০০৯
২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহ শুরু। ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন। দুই হাজার ৩০৭ জওয়ান গ্রেপ্তার

২০১০
তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিডিআর আইন সংশোধনের উদ্যোগ। সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি সুপারিশ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন। বাহিনীর নাম ও পোশাক পরিবর্তন। ফৌজদারি আদালতের কার্যক্রম শুরু

২০১১
বাহিনীর নিজস্ব আইনে বিচারে তিন হাজার ৩৬ জনের সাজা। ফৌজদারি আইনের বিচার শুরুর পর এ পর্যন্ত ৪৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ। ২৭৫ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন

২০১২
পুনর্গঠন-প্রক্রিয়ার কাজ শেষ পর্যায়ে। সব সিদ্ধান্ত বিকেন্দ্রীকরণ করে চারটি রিজিয়নের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। আরও চারটি সেক্টর ও ১১টি ব্যাটালিয়ন বৃদ্ধি করা হচ্ছে

No comments

Powered by Blogger.