আলসেমি ঝেড়ে ফেলে by তরিক

র কিছুদিন পরই শুরু হবে অমর একুশে বইমেলা। তোমরা যারা বইপ্রেমী, তাদের অপেক্ষার তর সইছে না, জানি। অনেকেই অপেক্ষা করছ নতুন বইয়ের জন্য। আবার কেউ কেউ ভাবছ, পুরনো একটা প্রিয় বই নতুন করে কিনবে। কারণ, বহুপাঠে কিংবা অন্যকোনো কারণে ছিড়ে গেছে বইটি। আলসেমি করে বাইন্ডিংয়ে দিয়ে আসতেও ইচ্ছে করছে না।
বলি, এত আলসেমির মানে কী? আর একই বই বারবার কেনার চেয়ে বইমেলায় না হয় সে টাকায় নতুন একটা বই


কিনলে। তাই বলে পুরনো প্রিয় বইটিকেও ফেলে দিতে বলছি না কিন্তু। একটু গা ঝাড়া দিয়ে বের হয়ে যাও না! আশেপাশেই পাবে পুরনো বই বাইন্ডিং করার অনেক দোকান।
ঢাকায় যারা থাকো, তারা বাংলাবাজার, কাঁটাবন, নীলক্ষেত, আরামবাগ, বাবুবাজারসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে বই বাঁধাইয়ের দোকানগুলোতে ঢুঁ মেরে আসতে পারো। নতুন বইয়ের পাশাপাশি এসব দোকানে চলে পুরনো বই বাঁধাইয়ের কাজ। বই-পুস্তক ও খাতাপত্র বিভিন্নভাবে বাঁধানোর ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। দক্ষ হাতে আপনার শখের বইটিকে নতুন রূপ দিতে চলে যেতে পারেন আজই।
মূলত বই ছিড়ে যাওয়া কিংবা সেলাই খুলে যাওয়াই বই বাঁধাইয়ের মূল কারণ। অনেক সময় বিবর্ণ হয়ে যাওয়া পুরনো বইও বাঁধাতে আসে ক্রেতারা। ক্রেতাদের সামর্থ্য ও রুচি অনুয়ায়ী তারা বইপত্র বাঁধাই করে দেন। প্রত্যেকটি বই সাধারণ বাঁধাই করতে ১৫-২০ টাকা আর শক্ত মলাটে ৩০-৩৫ টাকা নেওয়া হয়। প্রতি বছর সরকারি বই বাজারে বের হওয়ার সময় এবং বইমেলাকে কেন্দ্র করে বই বাঁধাইয়ের কাজ জমজমাট হয়ে ওঠে। কিন্তু তারপর অফ সিজন। সারাবছর টুকিটাকি কাজ অবশ্য হয়। সাধারণত স্কুল-কলেজের বইপত্র বোর্ড, কাপড় বা রেক্সিন দিয়ে বাঁধিয়ে নেয় ক্রেতারা। তবে শৌখিন ক্রেতারা তাদের বইপত্র চামড়া দিয়েও বাঁধায়। বাঁধানোর পর তার ওপর বই বা প্রতিষ্ঠানের নাম ছাপিয়ে নিতে চাইলে তার ব্যবস্থাও আছে।

No comments

Powered by Blogger.