কষ্ট হচ্ছে শেখ জামালের

যে দলটি নিয়ে গত মৌসুমে ফেডারেশন কাপ রানার্সআপ আর বাংলাদেশ লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব সে দলটি এবার ভেঙে চুরমার। তারকারা মুক্তিযোদ্ধা আর আবাহনীতে পাড়ি জমানোয় গতবারের আলোচিত দলটি এবার নিতান্তই সাদামাটা। কেবল কাগজ-কলমে নয়, মাঠের পারফরম্যান্সও তাদের আহামরি কিছু নয়। তবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে তারা পেঁৗছে গেছে গ্রামীণফোন ফেডারেশন কাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে। গতকাল কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ


মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা কোনোমতে ১-০ গোলে হারায় ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবকে। ৮৪ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আসগবা এলেন। প্রথম ম্যাচেও কষ্টে জিতেছিল বর্তমান রানার্সআপ শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। একই ব্যবধানে তারা হারিয়েছিল অগ্রণী ব্যাংককে।
দুটি জয়, প্রত্যাশিত কোয়ার্টার ফাইনাল। তারপরও দলের পারফরম্যান্সে তেমন খুশি হতে পারেননি শেখ জামালের কোচ সাইফুল বারী টিটু। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগের দল ভিক্টোরিয়া তাদের বিপক্ষে তুলনামূলক ভালোই লড়াই করেছে। এক পর্যায় পয়েন্ট হারানোর শঙ্কাই তৈরি হয়েছিল শেখ জামাল শিবিরে। ম্যাচের শেষ দিকে দলকে উদ্ধার করেন এলেন। মোনায়েম খান রাজুর লবে এলেন হেডে গোল করেন। ব্যবধান না বাড়ার কারণ হিসেবে ফরোয়ার্ডদের মিসকে যেমন দায়ী করেছেন শেখ জামালের কোচ টিটু। তেমনি প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ও গোলরক্ষককেও কৃতিত্ব দিয়েছেন_ 'ওদের ডিফেন্ডাররা বেশ কয়েকটি ভালো সেভ করেছে। গোলরক্ষক সোহেলও কয়েকবার দলকে বাঁচিয়েছেন।'
অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল ভিক্টোরিয়া দুটো ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল। ৬৭ মিনিটে জাভেদের পাস থেকে বিপজ্জনক স্থানে বল পেয়েছিলেন তকলিছ। কিন্তু বল কাদায় আটকে গেলে শট নিতে পারেননি। জামালের মিসগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মিশুর ব্যর্থতা। ছোট বক্সে বল পেলেও পায়ের সংযোগ ঘটাতে পারেননি। শেখ জামালের এখন লক্ষ্য গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। 'কোয়ার্টার ফাইনালে আমাদের খেলতে 'বি' গ্রুপের দলের সঙ্গে। সেখানে আবাহনীই হয়তো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে। কোয়ার্টার ফাইনালেই আমরা আবাহনীর মুখোমুখি হতে চাই না। যে কারণে আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টাই করব'_ বলেন শেখ জামালের কোচ সাইফুল বারী টিটু।

No comments

Powered by Blogger.