তৃতীয় বর্ষে পা-যেতে চাই সবার কাছে

দেখতে দেখতে দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিও হলো কালের কণ্ঠের। ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি 'আংশিক নয়, পুরো সত্য' প্রকাশের অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এই নতুন জাতীয় দৈনিকটি। প্রকাশের পর পরই পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিল কালের কণ্ঠ। পাঠকদের ভালোবাসা পাথেয় করেই এবার তিন বছরে পা দিল কালের কণ্ঠ। যেকোনো সংবাদপত্রের প্রাণ পত্রিকাটির পাঠক। পাঠকের তৃষ্ণা মেটানোই একটি পত্রিকার আরাধ্য কাজ। কালের কণ্ঠ বরাবর সেই


চেষ্টা করে এসেছে। চেষ্টা করেছে পাঠকের জানার মৌলিক অধিকার পূরণ করে ও চাহিদা মিটিয়ে একটি ভালো লাগার জায়গা করে নিতে। পাঠকের তৃষ্ণা নিবারণের ভেতর দিয়ে তার মন স্পর্শ করতে চেয়েছে কালের কণ্ঠ।
আজকের দিনে পৃথিবী অনেক এগিয়েছে। প্রতিদিনই অগ্রসর হচ্ছে সমাজ ও মানুষ। সেই অগ্রসরমান সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়েই কালের কণ্ঠ পথ চলেছে শুরু থেকে। সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি আজকের দিনে একটি সংবাদপত্রের ওপর অনেক সামাজিক দায়িত্ব বর্তায়। একটি সংবাদপত্রকে পাঠকপ্রিয় হতে হলে সামাজিক হয়ে উঠতে হয়। কালের কণ্ঠ শুরু থেকেই সামাজিক দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট। দেশ ও সমাজের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থেকে একটি দায়িত্বশীল নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার প্রয়াসে কাজ করে যাচ্ছে কালের কণ্ঠ। গড়ে তুলতে চেষ্টা করছে সমাজসচেতনতা এবং গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধ। পাশাপাশি আমরা চেয়েছি, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রাখতে। ২০১০ সালে আমরা নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানিয়েছিলাম। এ বছর আমরা সম্মান জানাচ্ছি শহীদ জননীদের। এই মায়েরা একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে উৎসর্গ করেছিলেন তাঁদের সন্তান। তাঁদের সর্বোচ্চ সম্মান জানানোর দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আজ কালের কণ্ঠ সেই দায়িত্ব পালনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করল।
কালের কণ্ঠ সব সময় পাঠকের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকতে চেয়েছে, থেকেছে। সব ধরনের পাঠকের আকাঙ্ক্ষা মেটাতে আমাদের বৈচিত্র্যময় সাপ্তাহিক আয়োজনের তালিকায় রয়েছে : টুন টুন টিন টিন, অবাক পৃথিবী, শুধুই ঢাকা, ধর্ম, আইনকানুন, অপরাধনামা, ঘোড়ার ডিম, মগজ ধোলাই, আয়-ব্যয়, এ টু জেড, সিলেবাসে নেই, ক্যাম্পাস, সন্ধানী, সহায়, শুভসংঘ, রাজনীতি, রঙের মেলা, জয়িতা, ডাক্তার আছেন, স্পটলাইট, টেক বিশ্ব এবং শিলালিপি। এ ছাড়া বৃহত্তর নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের পাঠকদের জন্য রয়েছে আলাদা দৈনিক দ্বিতীয় রাজধানী।
প্রকাশের প্রথম দিন থেকেই আমরা চেয়েছিলাম কালের কণ্ঠ হবে মুক্তবুদ্ধির কণ্ঠ। মুক্ত মনের মানুষের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েই পথ চলবে কালের কণ্ঠ। ফেলে আসা দুই বছরে এই অঙ্গীকার থেকে বিচ্যুত হয়নি কালের কণ্ঠ। গঠনমূলক সমালোচনা, দেশপ্রেমসঞ্জাত মুক্ত চিন্তাধারার বাহন হতে সচেষ্ট রয়েছে এ পত্রিকা। শুরুতেই আমরা বলেছিলাম, আংশিক নয়, পুরো সত্যই হবে কালের কণ্ঠের ব্রত। কালের কণ্ঠ কখনো কলমের সঙ্গে বিবেকের সত্যনিষ্ঠ সাঁকো নির্মাণপ্রয়াসে আপস করেনি। এ প্রয়াসে যেকোনো দুষ্টক্ষতকে প্রতিহত করতে কালের কণ্ঠের আন্তরিক চেষ্টারও কোনো ত্রুটি নেই। দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থবিরোধী, সুচেতনাবিনাশী, অনৈতিক সব কিছুকে প্রতিহত করতে চেষ্টা করেছে কালের কণ্ঠ। প্রয়োজনে কঠোর হতেও আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা হয়েছে।
আজ কালের কণ্ঠের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে আমাদের অসংখ্য পাঠক, লেখক, শুভানুধ্যায়ী, বিজ্ঞাপনদাতা, বিপণনকর্মী_সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন। সবার মিলিত প্রয়াসেই আজ এতটা পথ পেরিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে আমাদের। এই পথ পরিক্রম সবার সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব ছিল না। আরো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে চাই আমরা। যেতে চাই সবার কাছে।

No comments

Powered by Blogger.