বিশেষ আয়োজন-হুমায়ূন আহমেদ এবং হুমায়ূন আহমেদ by ইমদাদুল হক মিলন

বার অন্য একটি প্রসঙ্গ দিয়ে শুরু করি। ভোরের কাগজের সাহিত্য পাতায় হুমায়ূন আহমেদ ধারাবাহিকভাবে লিখতে শুরু করেছিলেন তাঁর মনোজগৎ আচ্ছন্ন করে থাকা মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস 'জোছনা ও জননীর গল্প'। সতেরো-আঠারো বছর আগের কথা। হুমায়ূন আহমেদ তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। বিশাল ক্যানভাসের উপন্যাসটি লেখার জন্য স্ত্রী আরো কয়েক বছর আগে তাঁকে ৫০০ পৃষ্ঠার একটি খাতা উপহার দিয়েছিলেন।


বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক বছরের ছুটি নিয়ে 'জোছনা ও জননীর গল্প' লিখতে শুরু করেন হুমায়ূন আহমেদ। কিন্তু কয়েক কিস্তি লিখে লেখা বন্ধ করে দেন। 'নীলগঞ্জ হাই স্কুলের আরবি শিক্ষক মাওলানা ইরতাজউদ্দিন কাশেমপুরী কমলাপুর রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছেন।' এই লাইনটি দিয়ে উপন্যাস শুরু হয়ে কিছুদূর এগোয়, তারপর আর খবর নেই। লেখা বন্ধ। পত্রিকার সম্পাদক একটু ফাঁপরে পড়েন। তারপর কিছুদিনের গ্যাপে আবার শুরু হয় লেখা, কয়েক কিস্তির পর আবার বন্ধ। ঈদ সংখ্যার লেখা, বইমেলার লেখা, নাটক, সিনেমা_সবই লিখছেন হুমায়ূন আহমেদ, শুধু 'জোছনা ও জননীর গল্প' লিখছেন না।
কেন?
তাঁর লাখ লাখ পাঠকের মতো আমার মনেও প্রশ্নটি ঘুরঘুর করে। দুইবারে লেখা কয়েক কিস্তি পড়ে অস্থির হয়ে আছি। কবে শেষ হবে এই উপন্যাস? কবে পুরোটা পড়া যাবে? দেখা হলে জিজ্ঞেস করি। তিনি তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে মজা করেন। 'জোছনা ও জননীর গল্প' প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। সময় কাটে সময়ের মতো। হৃদয়ে দুর্যোগ নামে লেখকের। সিঙ্গাপুরে গিয়ে বাইপাস করান। অপারেশন থিয়েটারে যাওয়ার আগমুহূর্তে, অ্যানেসথেশিয়ার কল্যাণে অবচেতন হওয়ার মুহূর্তে তাঁর মনে পড়ে, একটি কাজ বাকি রয়ে গেল, 'জোছনা ও জননীর গল্প' লেখা। মাতৃভূমির ঋণ শোধ করা হলো না। ফিরে এসে লেখা শুরু করেন। এবার আর কিস্তি কিস্তি নয়, কোনো পত্রিকায় ধারাবাহিক নয়, সরাসরি লেখা শেষ করা, বই বের করা। পরম করুণাময়কে ধন্যবাদ যে এবার আর তিনি থেমে যাননি, লেখা শেষ করেছেন। ২০০৪ সালের কথা। 'জোছনা ও জননীর গল্প' এখন পাঠকের হাতে হাতে। বাংলা একাডেমী বইমেলার মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশিত হয়েছে বইটি। ৪০০ টাকা দামের বইটির চার-পাঁচটি সংস্করণ হয়ে গেছে সপ্তাহখানেকের মধ্যে। প্রকাশক অন্যপ্রকাশ। বইমেলায় অন্যপ্রকাশের স্টলে জোছনা ও জননীর গল্পের জন্য দীর্ঘ লাইন ধরতে দেখেছি পাঠককে। কোনো কোনো দিন বাঁধাইয়ের কারণে বই থাকত না স্টলে। ইস্, সে সময় যে কী হাহাকার পাঠকের! এসব দৃশ্য চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না। একজন লেখক যে কী ধরনের জাদুকরি প্রভাব বিস্তার করতে পারেন পাঠকের মনে, হুমায়ূন আহমেদ তার একমাত্র উদাহরণ। বাংলা ভাষার কোনো লেখকের ক্ষেত্রে এ রকম ঘটেনি।
হুমায়ূন আহমেদের পাঠকরা জানেন, লেখায় এক ধরনের ঘোর তৈরি করেন তিনি, এক ধরনের মায়া বিস্তার করেন। একবার তাঁর লেখার ভেতর ঢোকার অর্থ হচ্ছে, সেই মায়ার জগতে বন্দি হওয়া। পড়া শেষ হওয়ার পরও ঘোর সহজে কাটতে চায় না। পাঠক আচ্ছন্ন থাকে অনেক দিন।
'জোছনা ও জননীর গল্প' পড়ে এখনো আচ্ছন্ন হয়ে আছি আমি।
তবে লেখায় শুধু যে পাঠককেই আচ্ছন্ন করেন হুমায়ূন আহমেদ তা নয়, তিনি নিজেও আচ্ছন্ন হন। লেখার সময় তাঁর নিজের মধ্যেও তৈরি হয় আশ্চর্য রকমের এক ঘোর। 'জোছনা ও জননীর গল্প' লেখার সময় তাঁকে এ রকম ঘোরে পড়তে দেখেছি আমি। দিনভর মাথা নিচু করে লিখছেন, চা খাচ্ছেন, সিগারেট খাচ্ছেন, প্রুফ দেখছেন, লেখা বদলাচ্ছেন, কাটাকাটি করছেন আর পড়ছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বাংলা-ইংরেজিতে লেখা হেন বই নেই, হেন পত্রপত্রিকা নেই, যা না পড়েছেন। সন্ধ্যার পর সাধারণত লেখেন না তিনি, বন্ধুবান্ধব নিয়ে আড্ডা দেন। সেই আড্ডার সময়ও লক্ষ করেছি, সবার সঙ্গে থেকেও কোন ফাঁকে তিনি যেন একা হয়ে গেছেন। তাঁর মন চলে গেছে উনিশ শ একাত্তরে। মনে মনে জোছনা ও জননীর গল্পের পরবর্তী পৃষ্ঠাগুলো সাজাচ্ছেন তিনি। নিজের মধ্যে প্রবল ঘোর তৈরি না হলে তিন-চার মাসের মধ্যে ৪৯৩ পৃষ্ঠার এ রকম একটি মহৎ উপন্যাস লিখে শেষ করা যায় না। সঙ্গে আছে ছয় পৃষ্ঠার চমৎকার একটি ভূমিকা। আর ব্যাপক পড়াশোনার কথা তো আগেই বললাম।
এতক্ষণে পাঠক সংগত কারণেই আশা করবেন, উপন্যাসটির ভালো-মন্দ নিয়ে আমি কিছু কথা বলব, কিছু সমালোচনা করব, উপন্যাসটির দোষ-ত্রুটি ধরব, অমুক জায়গায় তমুক হলে ভালো হতো, ওই চরিত্রটি যেন হঠাৎই শেষ হয়ে গেছে, অমুক অমুক তথ্যে গণ্ডগোল আছে ইত্যাদি। সবিনয়ে বলি, ওটি আমার কাজ নয়। ওই কাজটি করবেন গবেষক-সমালোচকরা। আমি গবেষক কিংবা সমালোচক নই। যদিও জোছনা ও জননীর গল্পের পূর্বকথায় ব্যাপারটি পরিষ্কার করে দিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ। "'জোছনা ও জননীর গল্প' কোনো ইতিহাসের বই নয়, এটি একটি উপন্যাস। তার পরও ইতিহাসের খুব কাছাকাছি থাকার চেষ্টা আমি করেছি। সেখানেও ভুলভ্রান্তি হতে পারে। হওয়াটা স্বাভাবিক। উপন্যাস যেহেতু কোনো আসমানি কিতাব নয়, এসব ভুলভ্রান্তি দূর করার উপায় আছে।
উপন্যাসে চরিত্র হিসেবে সেই সময়ের অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু মানুষ এনেছি। এই স্বাধীনতা একজন ঔপন্যাসিকের আছে। গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের চরিত্র ফুটিয়ে তোলায় কোনো ভুল যদি করে থাকি, তার জন্য আগেভাগেই ক্ষমা চাচ্ছি। অতি বিনয়ের সঙ্গে সেই বিখ্যাত উক্তি মনে করিয়ে দিচ্ছি_একজন লেখক যা লিখবেন সেটাই সত্যি।
'সেই সত্য যা রচিবে তুমি, ঘটে যা তা সব সত্য নহে।
কবি, তব মনোভূমি রামের জনম স্থান, অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনো'
উপন্যাসে বর্ণিত প্রায় সব ঘটনাই সত্যি। কিছু নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা, কিছু অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে ধার নেওয়া। প্রকাশিত হওয়ার আগেই এ উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি অনেককে পড়িয়েছি। যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি (এই প্রজন্মের পাঠকের কথা বলছি), তারা পড়ার পর বলেছে, উপন্যাসের অনেক ঘটনাই তাদের কাছে কাল্পনিক বলে মনে হচ্ছে, এ রকমও কি হয়?
তদের কাছে আমার একটাই কথা, 'সে বড় অদ্ভুত সময় ছিল। স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের মিশ্র এক জগৎ_সবই বাস্তব আবার সবই অবাস্তব। আমি সেই ভয়ংকর সুন্দর সুররিয়েলিস্টিক সময় পার করে এসেছি। তার খানিকটাও যদি ধরে থাকতে পারি, তাহলেই আমার মানবজীবন ধন্য।"
খানিকটা নয়, প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ, আপনি প্রায় সবখানিই ধরেছেন। 'জোছনা ও জননীর গল্প' লিখে আপনি আপনার লেখকজীবন পূর্ণ করেছেন। এ রকম একটি উপন্যাস লেখার পর একজন লেখকের আর কিছু চাওয়ার থাকে না।
হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য লেখার সঙ্গে 'জোছনা ও জননীর গল্প' একেবারেই মেলে না। এ একেবারেই অন্য ধাঁচের রচনা। অতি সরল এবং আশ্চর্য রকমের নিরাসক্ত, ঘরোয়া ভাষায় পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে গেছেন তিনি। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ_এই তিনটি কালকে কখন যে একাকার করে দিয়েছেন গল্পের ভেতর, কখন যে পাঠককে নিয়ে গেছেন স্বপ্নে, কখন ফিরিয়ে এনেছেন বাস্তবে_টেরই পাওয়া যায় না। উপন্যাস রচনার কোনো প্রচলিত রীতি তিনি মানেনইনি। যেভাবে লিখে আনন্দ পেয়েছেন, যেভাবে পাঠককে বোঝাতে পেরেছেন_গল্প সেভাবেই এগিয়ে নিয়ে গেছেন। যেখানে যে তথ্যের প্রয়োজন, নির্বিকারভাবে তা ব্যবহার করেছেন, ফুটনোটে উল্লেখ করেছেন তথ্যসূত্র। কোথাও কোথাও মুক্তিযুদ্ধের দলিল প্রভৃতি গ্রন্থ থেকে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা তুলে দিয়েছেন। অর্থাৎ যখন যেখানে যা প্রয়োজন, যেমন করে সাজালে উপন্যাসটি পূর্ণাঙ্গ হবে তা-ই করেছেন। বহু টুকরোটাকরা গল্প, ঘটনা, চরিত্র আর ইতিহাসের উপাদানকে মহৎ শিল্পীর ভঙ্গিতে জোড়া দিয়ে দিয়ে যে সময়কে তিনি সম্পূর্ণ তুলে ধরেছেন, সেই সময়ের নাম উনিশ শ একাত্তর। ফলে এই উপন্যাস একাধারে আমাদের সবচেয়ে গৌরবময় সময়ের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস এবং মূল্যবান দলিলও। হুমায়ূন আহমেদ শুধু উপন্যাসই লেখেননি, মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার ইতিহাস লেখার মহৎ দায়িত্বটিও পালন করেছেন।
এই উপন্যাসে চরিত্র হয়ে এসেছেন মওলানা ভাসানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ইন্দিরা গান্ধী, ইয়াহিয়া খান, ভুট্টো, টিক্কা খান, অর্থাৎ সেই সময়কার সব শ্রদ্ধেয় ও নিন্দিত মানুষ। ভারতীয় বাহিনীর চরিত্ররা এসেছেন যে যাঁর ভূমিকায়। মুক্তিযোদ্ধারা এসেছেন, রাজাকাররা এসেছে, শর্ষিনার পীর সাহেব এসেছেন, আর এসেছে সারা দেশের নানা স্তরের নানা রকম মানুষ। ছোট, বড় এবং ঐতিহাসিক এত চরিত্রের সমাহার আর কোনো বাংলা উপন্যাসে এভাবে এসেছে কি না, এত সার্থকভাবে চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কি না আমার জানা নেই। আজকের দুই নেত্রীর সেই সময়কার অবস্থার কথা এসেছে, শেখ জামালের কথা এসেছে, শেখ হাসিনার ছেলে জয়ের জন্মের কথা এসেছে। এত সহজ ও সাবলীলভাবে এসেছে, পড়ে পাঠকের মনে হবে, আরে এই সব মানুষের কথা এভাবেও লেখা যায়!
"ইরতাজউদ্দিন তখন মওলানা সাহেবকে চিনলেন_ইনি মওলানা ভাসানী! পত্রিকায় কত ছবি দেখেছেন। এই প্রথম সামনাসামনি দেখা।
ইরতাজউদ্দিন তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়িয়ে সালাম দিলেন। মওলানা ভাসানী তাঁর দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে বললেন, 'ঘুম ভালো হয়েছে?' যেন কত দিনের চেনা মানুষ।
ইরতাজউদ্দিন বিনয়ের সঙ্গে বললেন, 'জি।'
'আপনার ঘুমের ব্যাঘাত করেছি, কিছু মনে করবেন না।'
ইরতাজউদ্দিন আরো লজ্জার মধ্যে পড়ে গেছেন। এ রকম একজন বিখ্যাত মানুষের সামনে ইজিচেয়ারে শুয়ে থাকা যায় না। তিনি উঠে দাঁড়ালেন।"
এই ইরতাজউদ্দিন হুমায়ূন আহমেদের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। পরাধীন দেশে জুমার নামাজ হয় না, জুমার নামাজ পড়াতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এ কারণে ক্যাপ্টেন বাসেত তাঁকে নীলগঞ্জ স্কুল এবং বাজারে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় প্রদক্ষিণ করায়। "বাজারে ছোট্ট একটা ঘটনা ঘটল। দরজির দোকানের এক দরজি একটা চাদর নিয়ে ছুটে এসে ইরতাজউদ্দিনকে ঢেকে দিয়ে জড়িয়ে ধরে থাকল। ঘটনা এতই দ্রুত ঘটল যে সঙ্গের মিলিটারিরা বাধা দেবার সময় পেল না।
ইরতাজউদ্দিন এবং দরজিকে মাগরেবের নামাজের পর সোহাগী নদীর পাড়ে নিয়ে গুলি করা হলো। মৃত্যুর আগে আগে ইরতাজউদ্দিন পরম নির্ভরতার সঙ্গে আল্লাহপাকের কাছে উঁচু গলায় শেষ প্রার্থনা করলেন, 'হে আল্লাহপাক, যে মানুষটা জীবনের মায়া তুচ্ছ করে আমাকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে চেয়েছিল, তুমি তার প্রতি দয়া করো। তুমি তার প্রতি তোমার রহমতের দরজা খুলে দাও।'
পরদিন প্রবল বৃষ্টিতে জীবনের মায়া ত্যাগ করে নীলগঞ্জ হাই স্কুলের হেডমাস্টার মনসুর সাহেব আর তাঁর পাগল স্ত্রী আসিয়া সোহাগী নদীর পাড় থেকে ইরতাজউদ্দিনের লাশ ট্রেনে আনার সময় এলাকার কোনো বাঙালি নয়, বেলুচ রেজিমেন্টের সিপাহি আসলাম খাঁ তাঁদের সঙ্গে হাত মেলায়।" কলমের সামান্য আঁচড়ে আঁকা আসলাম খাঁ চরিত্রটির মাধ্যমে লেখক বোঝালেন, পাকিস্তান আর্মিতেও দু-একজন হৃদয়বান মানুষ ছিলেন।
"শেখ সাহেব হেসে ফেলে বললেন, 'তুই তো তোর গোপন কথা সবই বলে ফেললি। তুই আইবির লোক, তুই তোর পরিচয় গোপন রাখবি না?'
'আমি সরকারের হুকুমে আসলে আমি ডিউটি করি আপনার। আমি খেয়াল রাখি, যেন কেউ আপনার কোনো ক্ষতি করতে না পারে।'
'আমার ডিউটি করিস কী জন্যে?'
'কারণ আপনিই সরকার।'
শেখ মুজিব এই কথায় খুবই তৃপ্তি পেলেন। মোবারক হোসেনের কাঁধে হাত রেখে বললেন, 'তুই আমার জন্যে কী করতে পারবি?'

No comments

Powered by Blogger.