চোর চক্রের নতুন কৌশল!

চোরাই সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে নতুন কৌশল। এগুলোর কাগজপত্র দেখে খুঁত ধরা মুশকিল। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নিবন্ধনও রয়েছে। ফলে তাদের জালিয়াতি বুঝতে সময় লেগেছে ডিবির। তবে শেষ পর্যন্ত জানা গেল, আসল একটি নিবন্ধনের (রেজিস্ট্রেশন) বিপরীতে চলছে একাধিক চোরাই অটোরিকশা। এ রকম ২১টি অটোরিকশা নওগাঁ থেকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিবি)। এ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ডিবি সদর দফতরে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের সংঘবদ্ধ গাড়িচোর দলের সদস্যরা অটোরিকশা চুরির পর চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর দিয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে নওগাঁয় জামাল, আলম ও মিজানের কাছে বিক্রির জন্য হস্তান্তর করে। ওই তিনজন আবার ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে এবং নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে নিজেরা অটোরিকশার মালিক পরিচয় দিয়ে বিক্রি করে। এ ক্ষেত্রে আসল একটি নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করায় বিআরটিএতে খোঁজ নিলে দেখা যায়_ সেটি নিবন্ধিত। গোয়েন্দা তৎপরতায় বিষয়টি জানার পর খোঁজ নিলে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। এর পর ৯ জানুয়ারি নওগাঁ সদর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ রকম ২১টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। ডিবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার আশিকুর রহমান এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। ডিবি কর্মকর্তারা জানান, চোর দলের সদস্যরা অনেক সময় অটোরিকশা চুরির পর মালিকের সঙ্গেই যোগাযোগ করে। অটোরিকশা ফেরত দেওয়ার নাম করে তারা মালিকের কাছ থেকে ৭০-৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
অন্য এক অভিযানে ১১ জানুয়ারি ভোরে রমনার পশ্চিম মালিবাগ থেকে আজিজুল হক ফকির নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে তিনটি ককটেল, তিনটি বড় চাপাতিসহ একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ-১৫-৬৯৭৪) উদ্ধার করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.