৩০ বছরে দেশে চায়ের উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণ

স্টাফ রিপোর্টার: গত ৩০ বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য চায়ের উৎপাদন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সংখ্যার হিসেবে এর পরিমাণ শতকরা ৪৯ ভাগ। ১৯৮০ সালে বাণিজ্যিক ভাবে ৪০ মিলিয়ন কেজি চায়ের উৎপাদন হতো। আর ২০১০ সালে এসে তা ৫৮ দশমিক ১৬ মিলিয়ন কেজিতে পৌঁছেছে। একই ভাবে উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় বাজারেই তার চাহিদা বেড়েছে। তবে এই সময়ে উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বাড়ার হার কয়েকগুণ বেশি। তাই এখন রপ্তানি না করে চা আমদানি করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ১৯৮০ সালে ৯ দশমিক ১ মিলিয়ন কেজির চাহিদা ২০১০ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৬২ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন কেজিতে। টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ জানিয়েছে, চাহিদা, উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ায় লাভের অঙ্কটাও সমান ভাবে বেড়েছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যথেষ্ট ভালো অবদান রেখেছে। সংগঠনের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, চাহিদা মেটাতে চায়ের আমদানিকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তৎপর হয়ে উঠেছে। তারা আমদানি চায়ের উপর শতকরা ৬০ ভাগ শুল্ক সুরক্ষার উপর নতুন করে বর্ধিত কর বাড়াতে সরকারকে নানা ভাবে চাপ দিচ্ছে। সংগঠনের নিজস্ব প্যাডে নেতারা অভিযোগ করেন, চায়ের উৎপাদন কম অথচ চাহিদা বেশি হওয়ায় ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য পণ্যটি আমদানি করা হয়। কিন্তু ওই মহল অধিক মুনাফা লাভের উদ্দেশে চক্রান্ত করছে। এটি চা ব্যবসাকে কঠিন পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে। তারা বলেন, চায়ের ক্রেতা ধনী-গরিব সবাই। কর বাড়লে সবার উপরই এর চাপ পড়বে। এটি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

No comments

Powered by Blogger.