মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বললেন-গোলাম আযমকে জেলহাজতে পাঠানো হচ্ছে না কেন?

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, গোলাম আযমকে হাসপাতালে রাখার প্রয়োজন নেই—মেডিকেল বোর্ডের এমন ঘোষণার পরও তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হচ্ছে না কেন? তিনি বলেন, গোলাম আযমকে হাসপাতালে রেখে ফলমূল না খাইয়ে কারাগারে পাঠানো হোক।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার দ্রুত করার দাবিতে মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষক অংশ নিলেও বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের শিক্ষকেরা ছিলেন না।
মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের আরও বলেন, গোলাম আযম হাসপাতালে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়ে তাঁর পরিবারের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে রাখা হয়েছে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু এখনো হাজারো যুদ্ধাপরাধী ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিচার বানচালের বিভিন্নমুখী ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা হবে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষকেরা ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই’, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ান’, ‘যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থকদের গ্রেপ্তার ও বিচার চাই’ প্রভৃতি স্লোগান-সংবলিত ব্যানার বহন করেন।
মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সহ-উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ, কোষাধ্যক্ষ মীজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ফরিদউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.