কালের আয়নায়-আল্লাহর আইন, না বান্দার বর্বরতা? by আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী

ই আটজন হতভাগ্য মানুষ যদি বাংলাদেশি না হয়ে আমেরিকার কিংবা ভারতেরও নাগরিক হতো তাহলে এত বর্বর পন্থায় তাদের শিরশ্ছেদের আগে সৌদি সরকার দশবার ভাবত। আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে (সেই পঁচাত্তরের পর থেকে) না দেখছি শক্তি, না দেখছি সাহসের প্রমাণ! শক্তি বলে সৌদি আরবের বর্বরতাকে আমরা প্রতিরোধ করতে না পারি, কিন্তু সাহস করে তার শক্ত প্রতিবাদ জানাতে তো পারি


সৌদি আরবে আট বাংলাদেশিকে একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়েছে। আরও পাঁচ বাংলাদেশি (সংখ্যাটি এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি) শিরশ্ছেদের তালিকায় আছেন। আমাদের রাষ্ট্রপতি পর্যন্তস্ন এই আটজন হতভাগ্য বাংলাদেশিকে প্রাণভিক্ষা দেওয়ার জন্য সৌদি বাদশাহর কাছে অনুরোধ জানালেও সেই অনুরোধ রক্ষা করা হয়নি। বরং ঢাকাস্থ সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এই বর্বর পন্থায় হত্যাকাণ্ডের সাফাই গেয়ে বলেছেন, আল্লাহর আইনে আট বাংলাদেশির শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। তাদের কিছু করার ছিল না। তাদের একমাত্র ক্ষমা করতে পারত তাদের হাতে নিহত ব্যক্তির পরিবার। কিন্তু তারা ক্ষমা করতে রাজি হয়নি।
এই শিরশ্ছেদের ঘটনাটি ঘটে গেছে বেশ কিছুদিন হলো। মানবাধিকার সংস্থাসহ বিশ্বের অনেকেই এই বর্বরতার প্রতিবাদ করেছেন। তবে তেমন জোরেশোরে নয়। বাংলাদেশের মিডিয়াতেও এটা নিয়ে তেমন শোরগোল তোলা হয়নি। আল্লাহর আইনের ধুয়ো তোলাতে সবাই সম্ভবত চুপ মেরে গেছেন। আমার ধারণা ছিল, আল্লাহ যেখানে পরম করুণাময় এবং ক্ষমা করাই যার চরিত্র বৈশিষ্ট্য, তিনি মানবতাবিরোধী একটি নৃশংসতাকে সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য আইন করে দিয়েছেন কি-না_ এ সম্পর্কে ধর্মবেত্তা এবং মানবতাবাদী আলেম সমাজের কাছ থেকে ব্যাখ্যা ও প্রতিবাদ শুনতে পাব।
আমার এ আশা পূর্ণ হয়নি বলে মানবতার তাগিদেই এই বর্বরতার বিরুদ্ধে কলম ধরতে বাধ্য হয়েছি। আমি জানি, আল্লাহর আইনের বিরোধিতা করছি না। কিন্তু আল্লাহর আইনের দোহাই পেড়ে এই সভ্য যুগে অসভ্য জংলি যুগের প্রথা বহাল রেখে যারা ইসলাম ও আল্লাহর নামে কালিমালেপন করছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করছি।
আমি আরও দুঃখ পেয়েছি, এই শিরশ্ছেদের বর্বরতা সম্পর্কে আমাদের পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েসের মন্তব্য পাঠ করে। তাকে আমি একজন শিক্ষিত ও অত্যন্ত সভ্য রুচির আধুনিকমনা সচিব বলে জানি। যে অপরাধেই আট বাংলাদেশির শিরশ্ছেদ হয়ে থাকুক না কেন, তিনি কী করে বলেন, 'মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার যোগ্য অপরাধের (হত্যা ও ডাকাতি) জন্যই তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এই বাংলাদেশিরা সৌদি আরবের কয়েকজনকে নিয়ে অন্য দেশের একজন মানুষকে হত্যা করেছে।'
আমি মিজারুল কায়েসের মন্তব্যটি পাঠ করে দুঃখে ও ক্ষোভে অভিভূত হয়েছি। যে পররাষ্ট্র সচিবকে আমি চিনি এবং জানি, এটা কি তার মুখ থেকে বেরিয়েছে, নাকি এটা সৌদি আরব সম্পর্কে আমাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির প্রমাণ? আলোচনার সুবিধার জন্য আমি তার বক্তব্যের আরও কিছু অংশ উদ্ধৃত করছি। পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, 'বিচারের প্রক্রিয়া শেষে তাদের শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করলে সৌদি আরবের বিচার মানতে হবে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া নিয়ে হয়তো আমাদের দ্বিমত থাকতে পারে। সে জন্য এটি না মানার তো কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ড এখনও একটি বৈধ দণ্ড। আমি তো দেখছি সেখানে বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগ হয়েছে। এখানে মানবাধিকারের বিষয়টি ভিন্ন। আমরা অন্য একটি দেশের আইনের শাসন কার্যকর করার বিরোধিতা করতে পারি না।'
বাংলাদেশ যদি একটি আত্মমর্যাদাশীল, স্বাধীন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হয় তাহলে মিজারুল কায়েসের এই উক্তি প্রত্যাহার করা উচিত এবং যে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে আল্লাহর আইন নামে চালিয়ে সৌদি আরব আল্লাহ ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা ঘটাচ্ছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো অত্যাবশ্যক। আর এটি যদি সৌদি আরবের নিজস্ব দেশীয় আইন হয়, তাহলে গোটা আধুনিক মুসলিম বিশ্বের উচিত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে এই বর্বরতাকে আইনের নামে চালু রাখা হয়েছে, তাদের ওপর এই ব্যবস্থা বাতিল করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা। জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক সংস্থার এ ব্যাপারে সক্রিয় হওয়া উচিত।
আমাদের পররাষ্ট্র সচিব কী করে একটি মধ্যযুগীয় জংলি ব্যবস্থাকে আইনের শাসন বলে বর্ণনা করেন এবং শিরশ্ছেদের বর্বরতাকে 'বিচারিক প্রক্রিয়া' আখ্যা দেন আমি তা জানি না। মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশে কেন আমেরিকার মতো উন্নত দেশেও আছে। কিন্তু সেখানে একজন সিরিয়াল কিলারকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগে ১৪ বছর ধরে তার আপিলের পর আপিল সব পর্যায়ের আদালত ঘুরেছে। তার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়। কিন্তু এই মৃত্যুদণ্ড যাতে দীর্ঘ যন্ত্রণাময় না হয়ে মুহূর্তের মধ্যে দণ্ডিতের মৃত্যু ঘটায়, সে জন্য ফাঁসির দড়ির ব্যবহার তুলে দিয়ে বৈদ্যুতিক চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মিজারুল কায়েস তো এক কথায় সৌদি 'বিচারিক ব্যবস্থা'কে সমর্থন জানিয়ে বসলেন। তিনি সে দেশে কোনো সিভিল ও ক্রিমিনাল সুষ্ঠু আইনবিধি যে নেই, সবই কোরআনিক ল'য়ের দোহাই পেড়ে আদালতের 'আলেম' বিচারকদের খেয়ালখুশিমতো (বাংলাদেশের ফতোয়া-বিচারের মতো) চালিয়ে দেওয়া হয়, তা জানেন কি? সে দেশে স্বাধীন আইনজীবীর ভূমিকা সীমাবদ্ধ। আসামি পক্ষের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ-সুবিধা শুধু সীমাবদ্ধ নয়, পুলিশি কর্তৃত্বে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণাধীন। বাংলাদেশের যে আটজন হতভাগ্য নাগরিককে শিরশ্ছেদ করা হলো, তারা কি বর্তমান যুগের আত্মপক্ষ সমর্থনের সব সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন এবং সব সন্দেহ ও বিতর্কের ঊধর্ে্ব একটি বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন? এর কোনো প্রমাণ আমাদের বিজ্ঞ পররাষ্ট্র সচিব পেয়েছেন কি?
মিজারুল কায়েসকে আমি ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করি। সেই অধিকারেই তাকে একটি প্রশ্ন করি, সম্প্রতি সৌদি আরবের এক শিক্ষিত তরুণীকে দশটি বেত্রাঘাতের দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে বহির্বিশ্বে তো বটেই, সৌদি নারীরাও প্রতিবাদমুখর হয়েছে। এই তরুণীর অপরাধ, তিনি মাথা হিজাবে ঢেকেই মোটর গাড়ি ড্রাইভ করেছেন। গাড়ি ড্রাইভ করাতে অমানবিক শাস্তি দান কি আল্লাহর আইন? আর এই বেত্রদণ্ডের আদেশও সৌদি আদালতই দিয়েছেন। মিজারুল কায়েস কী বলেন, এই অসভ্যতাকেও কি 'আইনের শাসন' বলে সম্মান দেখাতে হবে?
কোনো বাংলাদেশি যদি সৌদি আরবে গিয়ে কোনো শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে, তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। মৃত্যুদণ্ডও পেতে পারে, যদি বিচার সঠিক ও সুষ্ঠু হয়। তবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেই কি তাকে গরুর মতো নির্দয় জবাই দ্বারা হত্যা করতে হবে এবং বলা হবে এটা অলঙ্ঘনীয় আল্লাহর আইন? এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। ইসলামপূর্ব যুগে পশু জবাই করা হতো অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে। ভারতের হিন্দু সম্প্রদায় তো আগে খাঁড়ার এক ঘায়ে পাঁঠা বলি দিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) কোরবানির পশুর ক্লেশ নিবারণের জন্য কোরবানির সময় ধারালো ছুরির আড়াই ঘায়ে পশুটির ধমনি ছিন্ন করার নির্দেশ দেন।
এই নির্দেশ অদ্যাবধি সারা মুসলিম বিশ্বে পালিত হচ্ছে। যেখানে পশুর ক্লেশ নিবারণের জন্য আল্লাহর রাসূলের এই নির্দেশ, সেখানে মানুষ হত্যার জন্য তলোয়ার দিয়ে গলা কাটার নির্দেশ তিনি কি অলঙ্ঘনীয় করে রেখে গেছেন? সৌদি আরবে আমি গেছি এবং বেশ কিছুদিন সাধারণ আরবদের সঙ্গেও মেলামেশা করেছি। যতদূর জেনেছি, কেউ খুন-ডাকাতি করলে তার শিরশ্ছেদ ছিল আরবের ইসলাম-পূর্ব যুগের প্রথা। অন্য অনেক প্রথার মতো ইসলাম-পরবর্তী যুগেও এই প্রথাটি বহাল থেকে যায়।
সম্ভবত প্রাচীন বর্বর আরব সমাজে এই শাস্তির প্রয়োজন ছিল। যিশুকেও তো ত্রুক্রশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে খ্রিস্টানরা বলেন। ইংল্যান্ডের এক রাজাকেও গিলোটিনে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়েছে। এগুলো সভ্য ও আধুনিক যুগের আগের রীতিনীতি। আরবদের আদি অসভ্য সমাজেও এর প্রয়োজন ছিল। ইসলামও তাই হয়তো এসব প্রথা তখন বাতিল করেনি।
এখন পৃথিবী সভ্যতার শীর্ষে পেঁৗছেছে। প্রাচীন যুগের অনেক অমানবিক রীতিনীতি বর্জন করে সভ্য যুগের নতুন মানবিক রীতিনীতি প্রবর্তন করেছে। ইসলামের নবীও (সা.) বলেছেন, ইসলামের মূল বিধান ও কাঠামো রক্ষা করে তার সামাজিক রীতিনীতি সময়ের চাহিদা অনুযায়ী পাল্টাবে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে তিনি কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। ইসলাম অত্যন্ত গতিশীল ও বিবর্তনমূলক ধর্ম। সে যুগে আরবে উটে চড়ে যাতায়াত করতে হতো। তাই বলে এ যুগে আরবের বাদশাহরাও কি মোটর গাড়িতে চড়েন না? হজের সময় কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রেও আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করেননি? তাতে কি আল্লাহর আইন ভঙ্গ করা হয়েছে? ইসলামে চার বিয়ে পর্যন্ত (খুব প্রয়োজনে) বৈধ। কিন্তু হারেম রাখা তো চরমভাবে নিষিদ্ধ। আরবের বাদশাহরা দেশি-বিদেশি সুন্দরী নারী দ্বারা হারেম ভর্তি রাখেন কীভাবে?
সৌদি আরবে বিচার ব্যবস্থাতেও বৈষম্যের অভিযোগ শোনা যায়। সেখানে চুরি করলে হাত কাটার বিধান রয়েছে। কোনো সৌদি নাগরিক চুরি করলে তার বাঁ হাতের আঙুলের একটি কোনা কেটে দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো আজমি (অনারব) মুসলমান অভিযুক্ত হলে তার তর্জনী পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়। এখানেও কি 'আল্লাহর আইন' বাস্তবায়নে বৈষম্য করা হচ্ছে না? আট বাংলাদেশির শির কর্তনের বেলায় সৌদি দূত ধুয়া তুলেছেন, তারা 'আল্লাহর আইনের' ব্যত্যয় ঘটাতে পারেন না। তারা আমাদের রাষ্ট্রপতির অনুরোধও রক্ষা করেননি। এখানে ঢাকার সৌদি দূত এবং তার সরকারের কাছে আমার একটি প্রশ্ন আছে।
পঞ্চাশের দশকে পাকিস্তানে আহমদিয়াবিরোধী দাঙ্গায় অসংখ্য মুসলমান হত্যার জন্য জামায়াতে ইসলামীর তখনকার আমির মাওলানা মওদুদী দেশটির শীর্ষ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন এবং তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। আইয়ুবের আমলে এই দণ্ডাদেশ কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু আরবের তৎকালীন বাদশাহ মওদুদীকে প্রাণভিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট আইয়ুবের কাছে অনুরোধ জানান। আইয়ুব সে অনুরোধ রক্ষা না করে পারেননি। তিনি মওদুদীর কাছ থেকে প্রাণভিক্ষার একটি আবেদন গ্রহণ করেন এবং তা মঞ্জুর করেন।
এখানে কি সৌদি সরকার আল্লাহর আইন অমান্য করেনি? তারা কেন মাওলানা মওদুদীকে উপদেশ দেননি যে, তিনি ও তার দল যাদের হত্যা করেছে, তাদের পরিবারের কাছে আগে ক্ষমা চাইতে হবে। তারা ক্ষমা করলে তবে মওদুদী প্রাণভিক্ষা পাবেন। আট হতভাগ্য বাঙালিকে একজন মানুষ খুন করার অভিযোগে আল্লাহর আইনের দোহাই পেড়ে দণ্ড দেওয়া গেল। আর শ'য়ে শ'য়ে নরনারী হত্যার জন্য প্রাণদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত মওদুদীর বেলায় 'আল্লাহর আইন' রদ হয়ে গেল কীভাবে?
শুধু তো মওদুদীর বেলায় নয়, বাংলাদেশের '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, অগি্নসংযোগ, বুদ্ধিজীবী নিধনসহ সর্বপ্রকার যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী গোলাম আযমসহ জামায়াতি নেতাদের সৌদি সরকার আশ্রয় দিয়েছিল কীভাবে এবং পরবর্তীকালে তাদের বিচার ঠেকানোর জন্য বা নেপথ্যে বসে রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় প্রভাব কীভাবে ব্যবহার করতে পারেন? আল্লাহর মতো রহমানুর রহিম, পরম করুণাময় কি কেবল আটজন হতভাগ্য বাংলাদেশির জন্যই তার 'আইন' অলঙ্ঘনীয় করে রেখেছিলেন?
এই আটজন হতভাগ্য মানুষ যদি বাংলাদেশি না হয়ে আমেরিকার কিংবা ভারতেরও নাগরিক হতো, তাহলে এত বর্বর পন্থায় তাদের শিরশ্ছেদের আগে সৌদি সরকার দশবার ভাবত। আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে (সেই পঁচাত্তরের পর থেকে) না দেখছি শক্তি, না দেখছি সাহসের প্রমাণ! শক্তি বলে সৌদি আরবের বর্বরতাকে (কায়েস যাকে আইনের শাসন বলেছেন) আমরা প্রতিরোধ করতে না পারি, কিন্তু সাহস করে তার শক্ত প্রতিবাদ জানাতে তো পারি। জংলি ব্যবস্থা, তা এ যুগে অন্য কোনো দেশের ব্যবস্থা হলেও তাকে আইন বলে সম্মান ও স্বীকৃতি দিতে হবে কেন?
লন্ডন, ২১ অক্টোবর ২০১১, শুক্রবার
 

No comments

Powered by Blogger.