মেরিনটেক উদ্বোধনকালে শিল্পমন্ত্রী-জাহাজ নির্মাণশিল্পের নীতিমালা চূড়ান্ত হচ্ছে

শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেছেন, জাহাজ-ভাঙাশিল্পের নীতিমালা হয়েছে। এখন জাহাজ নির্মাণশিল্পের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কাজ এগিয়ে চলেছে। শিগগিরই নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি।জাহাজ নির্মাণসামগ্রী, প্রযুক্তি ও নৌস্থাপত্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘মেরিনটেক বাংলাদেশ’ উদ্বোধনকালে শিল্পমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন।
রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে দ্বিতীয়বারের মতো তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে এক্সপোনেট এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেড।
বাংলাদেশের জন্য জাহাজ নির্মাণশিল্পটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানির পরই দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক আয়ের উৎস হিসেবে অবদান রাখতে সক্ষম জাহাজ নির্মাণশিল্প। উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে পরবর্তী ছয় বছরের মধ্যে কমপক্ষে তিন শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের তৈরি জাহাজ এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। আগে এক সময় বাংলাদেশের নদ-নদীতে ইউরোপের তৈরি জাহাজ ও নৌযান চলাচল করত। আর এখন ইউরোপে আমাদের তৈরি জাহাজ চলছে।’ এতে দেশের ইমেজ বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অ্যাসোসিয়েশন অব এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অব বাংলাদেশের সভাপতি আবদুল্লাহ হেল বারী বলেন, স্বাধীনতার পর ৪০ বছর পার হলেও এ শিল্পের যথেষ্ট উন্নয়ন হয়নি। এ জন্য সরকারকে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন খান ব্রাদার্সের নির্বাহী পরিচালক আবদুর রহিম, আনন্দ শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা বারী, প্যাফিফিক গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার খালেদ মোর্শেদুজ্জামান, মেরিন হাউস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শামসুল আলম, এক্সপোনেট এক্সিবিশনের পরিচালক রাশেদুল হক প্রমুখ।
শিল্পমন্ত্রী ‘মেরিনটেক বাংলাদেশ’ প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা শেষে অন্য অতিথিদের নিয়ে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ জার্মানি, ডেনমার্ক, নরওয়ে, দুবাই, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, জাপান, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার ২০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আধুনিক জাহাজ নির্মাণপ্রযুক্তি, মেরিন কাটিং, মেরিন ইঞ্জিন, কেব্ল লাইটিং, পাওয়ার জেনারেশন জেনারেটর, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি, নৌস্থাপত্যবিষয়ক পরিবেশবান্ধব নীতিমালা, নৌ-শিক্ষা ও প্রশিক্ষণবিষয়ক ইত্যাদি প্রযুক্তি প্রদর্শন করছে।
প্রদর্শনীটি কাল শনিবার পর্যন্ত চলবে। এটি সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রদর্শনীর টাইটেল স্পন্সর প্যাসিফিক শিপ বিল্ডিং লিমিটেড। কো-স্পন্সর হিসেবে আছে আনন্দ গ্রুপ, মেরিন হাউস, এমএএস গ্রুপ, ক্রু ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড শিপিং এজেন্সি, হক অ্যান্ড সন্স লিমিটেড।

No comments

Powered by Blogger.