সারাক্ষণই যানজট ঝিগাতলায় by তাওহীদ সৌরভ

রাস্তার পাশে জমে আছে আবর্জনা, ড্রেনের পানিতে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। গলিপথে যানজট লেগেই থাকে। রাজধানীর ঝিকাতলার এসব সমস্যার কথা জানালেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ তুহিন আলম বাবু। তিনি জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের খোঁড়াখুঁড়ি আর রাস্তার পাশে ছোট ছোট দোকানের কারণে এখানে তৈরি হয় যানজট। রিকশা-গাড়ির জট, সরু গলি, ঘিঞ্জি দালান, আবর্জনার স্তূপ আর ধুলা নিয়েই বসবাস করছেন ঝিকাতলার বাসিন্দারা।


ময়লা-আবর্জনা অপসারণ, রাস্তাঘাট পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের কাজ নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ধানম ির ২ নম্বর সড়ক দিয়ে এসে বিডিআর চার নম্বর গেট পেরিয়ে ঝিকাতলায় ঢোকার মূল রাস্তা। হাজারীবাগ, বেড়িবাঁধ এলাকায় বসবাসকারীদের চলাচলেরও অন্যতম প্রধান রাস্তা এটি। ফলে সারাক্ষণই যানজট লেগে থাকে এ পথে। যার চাপ গিয়ে পড়ে ভেতরের রাস্তাগুলোতে। তিন মাজার মসজিদ এলাকা, মনেশ্বর রোড, মিতালী রোড, শেরেবাংলা রোড, নতুন রাস্তস্না, মৌলভী সাহেবের রোড, মৌলভী সাহেব লেন, হাজী আবদুল হাই রোড, খায়রুন্নেছা রোড, মিতালী রোড, হাজী আফসার উদ্দিন লেন, মুন্সিবাড়ি, ধোপাপাড়া, ১৩/২ রোড, তিন মাজার, গ্গ্নাস ফ্যাক্টরি, পোস্ট অফিস রোড, বড় মসজিদের গলিসহ সব জায়গায়ই রয়েছে যানজট।বিশেষ করে ঝিকাতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ১৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত থাকে তীব্র যানজট।
এদিকে বৃষ্টি না হলেও এ এলাকার দু'একটি সড়কে জলাবদ্ধতা আছে। ড্রেনের পানি উপচে তৈরি হয়েছে এমন অবস্থার। মনেশ্বর রোড বড় মসজিদের গলি সয়লাব ড্রেনের পানিতে। স্থানীয়রা জানান, ড্রেনের নোংরা পানি আর আবর্জনার কারণে এ রাস্তায় চলাচল করা যায় না। মসজিদ কাছে হওয়ায় মুসলি্লদের কষ্ট বেশি। বিশেষ করে শুক্রবার এ কষ্ট আরও বেশি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদি হাসান জানান, বেশ ক'মাস ধরে ড্রেনের পানি জমে আছে এ রোডটিতে। মিতালী রোডের বাসিন্দা চাকরিজীবী আজিজুর রহমান জানান, সময়মতো ড্রেন ও ডাস্টবিন পরিষ্কার না করায় এ এলাকায় ময়লা-আবর্জনা জমে থাকে।
ঝিকাতলা পোস্ট অফিস এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রাস্তার পাশে অবৈধ দোকানের কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাফেরা। তৈরি হচ্ছে যানজট। সরু পথে এ ধরনের দোকানগুলো যানজট তীব্র করছে।

No comments

Powered by Blogger.