মিয়ানমারে ঐতিহাসিক সফরে হিলারি ক্লিনটন

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন গতকাল বুধবার ঐতিহাসিক এক সফরে মিয়ানমারে পৌঁছেছেন। দেশটির সেনা-সমর্থিত নির্বাচিত সরকারের সংস্কার কর্মসূচিতে উ ৎ সাহ দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি এই সফরে গেছেন।
৫০ বছরের মধ্যে মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তার এটাই প্রথম সফর। হিলারি ক্লিনটন গতকাল দক্ষিণ কোরিয়া হয়ে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে পৌঁছান।
গত এক বছরে কিছু সংস্কার কর্মসূচির মাধ্যমে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি কেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গৃহবন্দী গণতন্ত্রপন্ত্রী নেত্রী অং সান সু চিকে মুক্তি দেওয়া ও কয়েক দশকের সেনাশাসনের অবসান।
এ মাসের শুরুতে এশিয়া সফরকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারির মিয়ানমার সফরের কথা ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি মিয়ানমার সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সেখানে ‘আশার আলো’ দেখা দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তবে ওবামার প্রশাসন মিয়ানমার নিয়ে তেমন আশাবাদী নয়। অতীতে দেখা গেছে, এমন অনেক আশার আলোই অস্তমিত হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ত্যাগের আগে এক সহায়তা সম্মেলনে হিলারি অবশ্য আশার আলোর ওপরই জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারে যে পরিবর্তনের ধারা সূচিত হয়েছে, সেখানে এই আশার আলো এমনভাবে জ্বলে উঠবে, যা দেশটির সব মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

No comments

Powered by Blogger.