হত্যা মামলায় গ্রেফতার ২ খোকনের মুক্তি by শাহেদ চৌধুরী ও প্রীতিরঞ্জন সাহা,

রসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতারকৃত জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবীর খোকন রোববার মুক্তি পেয়েছেন।এদিকে লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার ও খুনিদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল শহরে মৌন মিছিল এবং স্মারকলিপি দিয়েছে নরসিংদী পৌর পরিষদ।


এ হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুকে জড়িয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদ এবং তার ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর নাম মামলা থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।
নরসিংদী পৌরসভার উন্নয়নের রূপকার আলহাজ লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডের পর ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ৮ নভেম্বর রাতে পুলিশের নজরদারিতে নেওয়া হাজি মোহাম্মদ সেলিমকে গতকাল মেয়র লোকমান হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। হাজি মোহাম্মদ সেলিম এজাহারভুক্ত আসামি নন। তিনি লোকমান হোসেন হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি শহর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মোবারক হোসেন মোবার ভাগি্নজামাই। এদিকে টিপ্পন কাজী নামে এক ব্যক্তি গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর থেকে গ্রেফতার হয়েছেন।
খোকনের মুক্তি : ১ নভেম্বর রাত সোয়া ৮টার দিকে শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র আলহাজ লোকমান হোসেন খুনের পর ওই হত্যাকা ে জড়িত থাকার সন্দেহে গভীর রাতে ঢাকার খিলগাঁওয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার হন ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবীর খোকন।
ওই রাতেই লোকমান হোসেন হত্যার প্রতিবাদে স্থানীয় সার্কিট হাউস ও নরসিংদী রেলস্টেশনে ভাংচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ তিনটি ঘটনায় আসামি হন খায়রুল কবীর খোকন। তিনি ৯ নভেম্বর ৫৪ ধারায় গ্রেফতার থেকে অব্যাহতি পান। ১০ নভেম্বর সার্কিট হাউসে হামলা মামলায় জামিন পান খোকন।
তিনি গতকাল নরসিংদী রেলস্টেশনে ভাংচুরের মামলায় জামিন পেয়েছেন। তার পক্ষে জামিনের শুনানিতে অংশ নেন বিএনপিদলীয় সাংসদ ব্যারিস্টার এএম মাহবুবউদ্দিন আহমেদ খোকন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক দুই সভাপতি সানাউল্লাহ মিয়া, মহসীন মিয়া, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোষাধ্যক্ষ ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান ভূঁইয়া এবং সাবেক সভাপতি শওকত আলী পাঠান। পিপি নূর মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্পর্শকাতর মামলা হওয়ায় তদন্তের স্বার্থে খায়রুল কবীর খোকনের জামিন নামঞ্জুরের আবেদন জানান।
দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর খায়রুল কবীর খোকনের জামিনের আদেশ দেন নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ ড. মোঃ শাহজাহান। রায় ঘোষণা শেষ হওয়ার আগেই জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বাইরে অপেক্ষমাণ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা আনন্দ-উচ্ছ্বাস শুরু করলে বিব্রত হন আদালত। একপর্যায়ে তিনি বেল বাজিয়ে খোকনের আইনজীবীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তারা নেতাকর্মীদের শান্ত করেন।
জামিন আদেশ পাওয়ার পর বিএনপির নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক বিজয় মিছিল ও সমাবেশ করেন নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে। সেখানে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, যুগ্ম সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
সমাবেশের পর নেতাকর্মীরা নরসিংদী জেলা কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে ভিড় জমান। বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে মুক্তি পান খায়রুল কবীর খোকন। এ সময় সমবেত কয়েক হাজার মানুষ ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে ও স্লোগান দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। পরে খোকন যান শহরের চিনিশপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে। তিনি সন্ধ্যায় শালিধা এলাকার পৌর কবরস্থানে গিয়ে মেয়র আলহাজ লোকমান হোসেনের কবর জিয়ারত করেন।
মুক্তির পর খায়রুল কবীর খোকন তার বাড়ির সামনে সমবেত জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এক অনির্ধারিত সমাবেশে বলেন, তার কারামুক্তি সত্যের বিজয়। জনতার বিজয়। গণতন্ত্রের বিজয়।
খোকন বলেন, তিনি হত্যা ও প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না। অথচ তাকে চক্রান্তের অংশ হিসেবে গ্রেফতার করে লোকমান হোসেন হত্যাকা ের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা হয়েছে।
তিনি জনপ্রিয় মেয়র লোকমান হোসেন হত্যার নিন্দা ও খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ক্ষেত্রে তিনি প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানান।
মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির সুযোগ নেই : কারামুক্তির পর লোকমান হোসেনের বাসাইলের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহানুভূতি জানানোর ইচ্ছা ছিল খায়রুল কবীর খোকনের; কিন্তু লোকমান পরিবারের আপত্তির কারণে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে লোকমান হোসেনের ছোট ভাই ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে কাউকে রাজনীতি করার সুযোগ দেব না। তিনি (খায়রুল কবীর খোকন) নিজের বাড়িতে থেকেও সহানুভূতি জানাতে পারেন। এ জন্য আমাদের বাড়িতে আসার দরকার নেই।
কে এই সেলিম : আলহাজ লোকমান হোসেন হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি শহর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মোবারক হোসেন মোবার ভাগি্নজামাই হাজি মোহাম্মদ সেলিম। লোকমান নিহত হওয়ার পরদিন ২ নভেম্বর হত্যাকা ের ঘটনাস্থল জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ করা মোটরসাইকেলের মালিক তিনি।
লোকমান হোসেন হত্যাকা ের ক'দিন আগে মোবারক হোসেন মোবা এ মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করেছিলেন বলে স্থানীয় পুলিশ জানায়। অবশ্য হত্যাকা ের দিন মালয়েশিয়ায় ছিলেন মোবারক হোসেন মোবা।
পুলিশ লোকমান হোসেন হত্যাকা ের আটদিনের মাথায় অর্থাৎ ৮ নভেম্বর রাতে গাজীপুরের টঙ্গীর হাজি মার্কেট এলাকা থেকে হাজি মোহাম্মদ সেলিমকে নজরদারিতে নেয়। গতকাল তাকে মেয়র লোকমান হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিতাই চন্দ্র সাহা তাকে চারদিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন।
হাজি মোহাম্মদ সেলিমের বাড়ি টঙ্গীতে। তিনি মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী। হাজি মোহাম্মদ সেলিম পেশাদার খুনি না হলেও লোকমান হোসেন হত্যাকা ের ঘটনায় জড়িত বলে জানান পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদউদ্দিন। সেলিমের বয়স ৩৮।
গোপালগঞ্জ থেকে টিপ্পন গ্রেফতার : পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদউদ্দিন রাত ৯টায় জানান, মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে টিপ্পন কাজী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার হন। তাকে নরসিংদী নিয়ে আসা হচ্ছে।
জানা গেছে, টিপ্পন কাজীর বাড়ি নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়ার কুমিল্লা কলোনি এলাকায়। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। তিনি লোকমান হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
মৌন মিছিল : লোকমান হোসেন হত্যাকা ে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার ও খুনিদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল শহরে মৌন মিছিল এবং স্মারকলিপি দিয়েছে নরসিংদী পৌর পরিষদ। ভারপ্রাপ্ত মেয়র জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া এ স্মারকলিপিতে বলা হয়, দাবি মেনে নেওয়া না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ডাকমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ : মেয়র আলহাজ লোকমান হোসেন হত্যাকােেক জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা রায়পুরায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। নিহত মেয়র লোকমান হোসেনের পৈতৃক বাড়ি রায়পুরার মেজেরকান্দি গ্রামে। রায়পুরা থেকে চার দফায় এমপি নির্বাচিত হয়েছেন ডাকমন্ত্রী।
সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে হত্যা ও নাশকতামূলক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। তার ভাই রায়পুরা উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
রায়পুরা থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবদুল মোতালিব পাঠান, ডেপুটি কমান্ডার আবদুল হক, রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল হোসাইন, রায়পুরা কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হালিম, পাড়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, উত্তর বাখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক, রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ছাদেক, মোবারক হোসেন বীরপ্রতীক, হাছেন আলী, সুবেদার (অব.) আবদুল ওয়াহিদ, আবদুল হাসিম, ইউনুছ মিয়া, আবুল কাশেম, আহসান উল্লাহ, জামাল মোল্লা, শাহ আলম খান, ওয়াহিদুর রহমান পলাশ প্রমুখ।
১৩ দিনেও গ্রেফতার হয়নি এজাহারভুক্ত কোনো আসামি : নরসিংদী পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন হত্যাকা ের পর ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অবশ্য এমন অবস্থাকে প্রশাসনের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন না জেলা প্রশাসক ওবায়দুল আজম ও পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদউদ্দিন। মামলার বাদী মেয়র লোকমান হোসেনের ছোট ভাই কামরুজ্জামান কামরুলও একই অভিমত দিয়েছেন।
কামরুজ্জামান কামরুলের দৃষ্টিতে লোকমান হত্যাকা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনায় তাকে খুন করা হয়েছে। তাই প্রকৃত ঘটনা খুঁজে বের করতে কিছু সময় লাগবেই। তিনি লোকমান হত্যাকা ের তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে এবং আসামি গ্রেফতারে কোনো গাফিলতি হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন।
জেলা প্রশাসক ওবায়দুল আজম সমকালকে বলেছেন, প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। হত্যাকা ের রহস্য উদ্ঘাটনে দ্রুত কাজ করছে পুলিশ। তদন্তের কাজও এগোচ্ছে দ্রুতগতিতে। ইতিমধ্যে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। খুব কম সময়ের মধ্যেই তাদের গ্রেফতার করা হবে। এ জন্য তিনি সবার সহযোগিতা চেয়ে বলেছেন, নভেম্বর মাসের মধ্যেই খুনিদের গ্রেফতার করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেছেন, মূল আসামিরা নরসিংদীতে নেই। তারা পালিয়ে গেছে। আসামি গ্রেফতার না হওয়াটা প্রশাসনের ব্যর্থতা নয়। খুনিদের চিহ্নিত করার কাজ শেষ হয়েছে। মামলার চার্জশিট চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তদন্ত কাজ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
লোকমান হোসেন হত্যাকা পুলিশ সুপার সমকালকে জানিয়েছেন, পেশাদার খুনিরা পরিকল্পিতভাবে মেয়র লোকমান হোসেনকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। স্পর্শকাতর এ হত্যা মামলার বেশ অগ্রগতি হয়েছে। প্রভাবমুক্তভাবে তদন্ত হচ্ছে। দ্রুতই প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
পুলিশ সুপার সোজাসাপটা বলেন, তারা অহেতুক রাস্তার লোক গ্রেফতার করে আসামির সংখ্যা বাড়াতে চান না। তার ভাষায়, 'মেয়র লোকমান হোসেন হত্যাকা ের ঘটনা আমাদের গলায় ফাঁস দিয়েছে। ইতিমধ্যে একজন পুলিশ সুপার ক্লোজড হয়েছেন। সুতরাং মামলার তদন্তে শল্গথ হওয়ার সুযোগ নেই।'
লোকমান পরিবারকে সহানুভূতি জানাননি মন্ত্রী রাজু : এ প্রসঙ্গে এক ধরনের ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করে লোকমানপত্নী তামান্না নুসরাত বুবলি জানিয়েছেন, হত্যাকা ের পর আজ পর্যন্ত লোকমান হোসেনের পরিবারকে সহানুভূতি জানাননি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। তিনি লোকমান পরিবারের খোঁজ-খবরও নেননি।
তামান্না নুসরাত বুবলি জানিয়েছেন, একমাত্র ছেলে সালফি ও একমাত্র মেয়ে নাজাসহ নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় নিহত মেয়র লোকমান হোসেনের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। একই কথা বলেছেন মেয়রের ছোট ভাই কামরুজ্জামান কামরুল। তার ভাষায়, লোকমান হোসেনের পুরো পরিবার প্রতিদিনই মৃত্যুর সঙ্গে বসবাস করছেন। লোকমান হত্যাকা ের পর থেকে তার মা মজিদা বেগম অসুস্থ হয়ে আছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান লোকমান পরিবার : মেয়রের ছোট ভাই ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল বলেছেন, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। এ জন্য তারা যোগাযোগও করছেন। এ ব্যাপারে গতকাল ঢাকায় গেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনের ছোট ভাই শামীম নেওয়াজ।

No comments

Powered by Blogger.