গারো পাহাড়ে দেড় হাজার একর জমিতে শিমুল আলু চাষ-পরিকল্পিত চাষে হাজার টন উৎপাদন সম্ভব by হাকিম বাবুল,

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সিংগাবরুনা ইউনিয়নের গারো পাহাড়ে শিমুল আলুর চাষ বেড়েছে। এলাকার বাবেলাকোনা গ্রামের সতনা মারাক, খ্রিস্টানপাড়া গ্রামের বিহার জাম্বিল, অনামিকা সাংমা, বালিজুরি গ্রামের পারমনি হাজংসহ বেশ কয়েকজন আদিবাসী গৃহবধূ এখন শিমুল আলুর চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।স্থানীয়রা জানান, শিমুল আলু খুবই সুস্বাদু। এর ভেষজ গুণও রয়েছে। এবার কৃষকরা শিমুল আলু চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। সরকার এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ঋণের ব্যবস্থা করলে গারো পাহাড়ে শিমুল আলুর চাষ আরো বাড়বে।


শ্রীবরদী উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ মণ আলু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। তাঁরা জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শিমুল আলুর চাহিদা রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ের পতিত জমিতে শিমুল আলুর চাষ করা হলে প্রতিবছর হাজার হাজার টন শস্য উৎপাদন সম্ভব হবে। এতে প্রান্তিক চাষিরা লাভবান হবেন।
শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এফ এম মোবারক আলী জানান, পাহাড়ি মাটিতে শিমুল আলু চাষে উৎপাদন বেশি হয়। সমতল বা নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে এর চাষ হয় কম। এবার গারো পাহাড়ে প্রায় দেড় হাজার একর জমিতে শিমুল আলুর চাষ হয়েছে। চার বছর ধরে শিমুল আলুর চাষ করে সফলতা পেয়েছেন সতনা মারাক। এবার তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে আলুর চাষ করেছেন। সতনা বলেন, 'শিমুল আলু চাষে খুব একটা পরিশ্রম করতে হয় না। চৈত্র-বৈশাখ মাসে জমিতে আলুর ডগা বুনতে হয়। এক-দুবার নিড়ানি আর অল্প সার ব্যবহার করে আশ্বিন-কার্তিক মাসে আলু তোলা যায়।' লাভজনক হওয়ায় এলাকার শত শত কৃষক এখন শিমুল আলু চাষে ঝুঁকছেন বলে জানান তিনি।

No comments

Powered by Blogger.