ইমরান-আনুশকার মাতরু কি বিজলি কা মানডোলা

বছরের শুরুতেই বলিউড পাড়ায় ধুম পড়ে গেল নতুন ছবি ‘মাতরু কি বিজলি কা মানডোলা’ নিয়ে। এতে প্রথমবারের মতো জুটিবদ্ধ হলেন বলিউড চকোলেট বয়খ্যাত ইমরান খান এবং আলোচিত অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা।
ছবিটির পরিচালনায় আছেন সমালোচকপ্রিয় পরিচালক বিশাল ভারদ্বাজ। মাতরু ছবিটি মূলত রাজনৈতিক ব্যঙ্গকাব্য নিয়ে তৈরি করা হয়, যার ফলে এটিকে কমেডি ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যদিও এটি কমেডি সিনেমা তবুও এতে আছে বিভিন্ন ধরনের রোমাটিক দৃশ্য। যা অনায়াসে দর্শক মন ছুঁয়ে যাবে। ইমরান, অনুশকার পাশাপাশি এতে আরও অভিনয় করেছেন পঙ্কজ কাপুর, আরিয়া বাবর, শাবানা আজমী প্রমুখ। কি আছে ছবিটিতে? এতে আছে হারিয়ানা গ্রামের বিত্তবান শিল্পপতি হারি মানডোলা (পঙ্কজ কাপুর), যিনি ভালোবাসেন মদ্যপান, তাঁর মেয়ে বিজলী (আনুশকা) কে। আরো আছেন মাতরু (ইমরান), যিনি জহর লাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় হতে ওকালতি পাশ করেন কিন্তু কোন চাকরি পান না। তাই মাতরু আবার গ্রামে ফিরে আসেন এবং পারবারিক সূত্রে মানডোলা পরিবারে দাসত্বের কাজ করেন। পাশাপাশি মানডোলা কন্যা বিজলীকে ভালবাসতে শুরু করেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই বিজলী পড়াশোনার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান এবং সেখানে গিয়ে বিজলী বাদলের (আরিয়া বাবর) প্রেমে পড়েন এবং বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নেন। কিন্তু বাদলের মা ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক নেত্রী চৌধুরী দেবী (শাবানা আজমী) তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে মাতরু নতুন গল্পের সূচনা করে বিজলীর সাথে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং মাতরু, বিজলী ও মানডোলা একসাথে বসবাস করতে শুরু করেন। মূলত এটিই হলো ছবির মূল কাহিনী, যার নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৩ কোটি রুপি। বছরের শুরুতে নতুন ছবি হিসেবে এটি ভালই সাড়া পাওয়ার দাবিদার ছিল কারন মুক্তির আগেই এটি ছিল আলোচিত ছবি। কিন্তু ১১ জানুয়ারি মুক্তির পর যেন সেই আলোচনায় ভাটা পড়তে শুরু করে। মুক্তির প্রথম দিনে এটি আয় করে মাত্র সাড়ে ছয় কোটি রুপি এবং প্রথম দশ দিনে আয় করে মাত্র ছত্রিশ কোটি রুপি। যার ফলে মাতরু নিয়ে বলিউড পাড়ায় শুরু হয় সমালোচনার ঝড় এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়া। অনেকে তো বলেই ফেললেন মাতরু হলো একটা বিরক্তিকর ছবি যা বিশালের আগের কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বাজে কাজ। আবার অনেকে প্রশ্ন তুললেন পঙ্কজ কাপুরের অভিনয় নিয়ে। মাতরু নিয়ে সমালোচক বা দর্শকদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া থাকলেও, ছবির নায়ক-নায়িকা কিন্তু সম্পূর্ন ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করেছেন। মাতরু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ইমরান বলেন, আমি মনে করি এটি অনেক ভালো মানের ছবি হয়েছে। যেখানে আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। হারিয়ানা চরিত্র মাতরু কে একটা বাস্তবধর্মী চরিত্রে রূপ দিতে আমি সেখানকার ভাষা, সংস্কৃতিসহ সব কিছু ভালভাবে রপ্ত করেছি। যার জন্য আমি এক বছর সম্পূর্ণ পর্দার আড়ালে ছিলাম এবং ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দাড়ি রেখেছি। তাই আমি বলতে চাই সময় বলে দিবে যে, বছরের প্রথম ছবিতে আমরা বাজিমাত করতে পেরেছি। ইমরানের মতো প্রায় একই ধরনের বক্তব্য দিলেন ছবির নায়িকা আনুশকা। তবে ছবির পরিচালক বিশাল এই নিয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করেননি। ‘মাতরু কি বিজলি কা মানডোলা’ ছবিকে সবাই ফ্লপ ছবি হিসেবে বিবেচনা করলেও মুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত ছবিটি বলিউড টপ চার্টের এক নম্বর স্থান দখল করে আছে। তাহলে তো বলতে হয় ইমরানের কথাটাই হয়তো শেষ পর্যন্ত কাজে লাগবে?
নাজমুল আহমেদ তন্ময়

No comments

Powered by Blogger.