একাত্তরের এই দিনে

* শোষণ মুক্তির সংগ্রামের নবতর বলিষ্ঠ শপথ গ্রহণের মাধ্যমে প্রদেশের সর্বত্র ১১ দফার মহান 'গণ-অভ্যুত্থান দিবস' পালিত হয়। এ দিবসে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ, পূর্ব বাংলা বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন, পূর্ব বাংলা
ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলা ছাত্রলীগ, নবকুমার ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা গঠিত মতিউর স্মৃতি কমিটি প্রভাতফেরি, মিছিল, পথসভা প্রভৃতি কর্মসূচি পালন করে। বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিক ও অন্যান্য সংগঠনও এ দিবস পালন করে। ঢাকা শহর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় শ্রমিক লীগ পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কর্মসূচি বাস্তবায়নে অংশ নেয়। সব অনুষ্ঠানেই ১১ দফার পূর্ণ বাস্তবায়ন, ১১ দফাভিত্তিক স্বায়ত্তশাসন, রাজবন্দিদের মুক্তি, দ্রব্যমূল্য হ্রাস, বকেয়া খাজনা মওকুফ ও সর্বোপরি জাতীয় পরিষদের সার্বভৌমত্বের দাবি সোচ্চার হয়ে ওঠে।
* গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে পল্টন ময়দানে ছাত্রলীগ আহূত জনসভায় সভাপতির ভাষণে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, 'দেশের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্রে যদি ৬ দফা ও ১১ দফার একটি দাঁড়ি-কমাও বাদ দেওয়া হয়, তা হলে তুমুল প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে- যাতে খাজনা-ট্যাঙ্ প্রদান বন্ধ হবে, অফিস-আদালত, কল-কারখানায় তালা ঝোলানো হবে।' জনসভায় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি আ স ম আব্দুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস মাখন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য খালেদ মোহাম্মদ আলী প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সভা শেষে একটি গণসংগীতের আসর অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

No comments

Powered by Blogger.