প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সফর আজ

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আজ খুলনা আসছেন। তার এ সফরকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে গোটা খুলনা নগরীকে।
আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবেও শেখ হাসিনার সফর সফল করতে প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফর সামনে রেখে বিভাগীয় শহরকে বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ছবিসংবলিত পোস্টার। মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে লিফলেট। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়গুলোকে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। সড়কগুলোয় শত শত তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ ময়দানের জনসভাকে সফল করতে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পাড়ায়-মহল্লায় চলছে মিছিল-মিটিং, পথসভা ও মাইকিং। জনসভা সফল করতে ইতোমধ্যে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম বদিউজ্জামান সোহাগ, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় সভা করেছেন। এ ছাড়া ব্যস্ত সময় কাটান মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজাসহ মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো বিভাগীয় শহর খুলনা আসছেন। সবশেষ তিনি ২০১১ সালের ৫ মার্চ খুলনায় এসেছিলেন। ওই দিন তিনি নগরীর খালিশপুর পিপলস জুট মিল ময়দানে এক বিশাল জনসভায় বন্ধ ঘোষিত পিপলস জুট মিল্স ও দৌলতপুর জুট মিল চালু, আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ রূপ প্রদান, ড্রেজিংসহ মংলা বন্দরের আধুনিকায়ন, খালিশপুর হাজী মুহসীন ও রূপসা বঙ্গবন্ধু কলেজ এবং নগরীর মডেল উচ্চবিদ্যালয়, ইকবাল নগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও দৌলতপুর মুহসীন স্কুল সরকারীকরণ, আইটি ভিলেজ স্থাপন, খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ, খুলনা রেলস্টেশনের আধুনিকায়ন এবং টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র চালুসহ খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে পিপলস জুট মিলস চালু করা হয়েছে। আর মংলা বন্দরের উন্নয়নে আটটি প্রকল্পে ৪৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দ, খুলনা মহানগরীর উন্নয়নে কেসিসিকে ২০০ কোটি টাকা এবং খালখনন, সড়ক ও ড্রেন সংস্কারসহ অন্যান্য প্রকল্পে ৮০০ কোটি টাকা, আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ৫৮ কোটি টাকা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ৮৬ কোটি টাকা, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ৫২ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এ দিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সামনে রেখে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের প থেকে খুলনার উন্নয়নে নানা ধরনের দাবি উত্থাপিত হচ্ছে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছেÑ খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলস, দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরি ও দৌলতপুর জুট মিলসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া মিলকলকারখানা চালু, টেক্সটাইল পল্লী বাস্তবায়ন, খানজাহান আলী বিমানবন্দরের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ, পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ প্রভৃতি।

No comments

Powered by Blogger.