গণ-অভ্যুত্থানই সরকারের শেষ বাঁশি বাজাবেঃ তরিকুল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক তথ্যমন্ত্রী তরিকুল ইসলাম বলেছেন, নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গণ-অভ্যুত্থানই এই সরকারের শেষ বাঁশি বাজাবে। আর এখন তারই প্রস্তুতি চলছে।
গতকাল পুরান ঢাকার ধোলাইখালে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলির পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তরিকুল বলেন, আজ এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জনগণ বর্তমান ব্যর্থ ও অপদার্থ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছে। আকাশচুম্বী দ্রব্যমূল্যে মানুষ দুর্বিষহ জীবনপাত করছে। তারা আর এই সরকারকে মতায় দেখতে চায় না।

নির্দলীয় সরকারের দাবিতে জনমত গঠনের ল্েয গতকাল সারা দেশে দিনব্যাপী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।

রাজধানীতে তরিকুল ইসলাম ও বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার নেতৃত্বে পুরান ঢাকার ধোলাইখাল, রায় সাহেব বাজার ও ইংলিশ রোডে প্রচারপত্র বিলি করা হয়।

সরকারের সমালোচনা করে তরিকুল বলেন, হত্যা-গুম-খুন, ধর্ষণসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা এই সরকারের আমলে সংঘটিত হচ্ছে না। তিনি বলেন, পুরো দেশ আজ মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার কারাগারে তাদের আটক রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনর হারুন অর রশীদকে ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক’ দেয়ার সমালোচনা করে সাবেক তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটা মানবতার চূড়ান্ত অবমাননা। এর মাধ্যমে সরকারের ফ্যাসিস্ট চরিত্র ফুটে উঠেছে। আমরা মনে করি, জাতীয় সংসদের নির্বাচিত একজন প্রতিনিধি ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপকে পেটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে সরকার প্রকাশ্যে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে মদদ দিয়েছে।

অন্যদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্থানীয় নেতা মোহাম্মদ মোহন, মকবুল ইসলাম টিপু, আবদুল কাদির গণসংযোগ ও প্রচার বিলি কর্মসূচিতে অংশ নেন।

যুবদলের উদ্যোগে রাজধানীর কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল ও আরামবাগ এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করা হয়। এতে অংশ নেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, যুবদল নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, ফজলুর রহমান, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার।

মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি সকালে টাউন হল, শ্যামলী ও রায়েরবাজার এলাকায় গণসংযোগ করে। এতে নেতৃত্ব দেন থানা বিএনপির আহ্বায়ক আতিকুল ইসলাম মতিন, ওসমান গনি শাহজাহান, নাসির আহম্মেদ, শাহাবুদ্দিন মুন্না, এনায়েতুল হাফিজ, রাজু ভাণ্ডারী, মান্নান হোসেন শাহীন, আহম্মদ আলী, নজরুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

দোলাইরপাড় ও যাত্রাবাড়ীতে আ ন ম সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে গণসংযোগ করা হয়।

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহাল ছাড়া কোনো বিকল্প নেই : শমসের মবিন

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শমসের মবিন চৌধুরী বলেছেন, আমরা জীবনের নিরাপত্তা চাই। আমরা আর দেখতে চাই না ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের মতো নেতাদের গুম হওয়ার দৃশ্য। দেখতে চাই না দিবালোকে বিশ্বজিৎ দাসের হত্যাকাণ্ডের কোনো দৃশ্য।

তিনি বলেন, দুর্বার গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল ছাড়া জাতির সামনে আর কোনো বিকল্প পথ নেই।

গতকাল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নগরবাজারে মোহনপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত গণসংযোগ-পূর্ব জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক আছপিয়া। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সমরু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন সহসভাপতি কর্নেল (অব:) আলী আহমদ, আকবর আলী, অ্যাডভোকেট মল্লিক মইন উদ্দিন সোহেল, সাংগঠনিক আ স ম খালিদ প্রমুখ।

সরকার যা খুশি তাই করছে : হান্নান শাহ

রংপুর অফিস জানায়, আওয়ামী লীগ অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, সরকার এখন যা খুশি তাই করছে। আমাদের চিফ হুইপকে যে পুলিশ কর্মকর্তা পেটালেন, তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান দেয়া হচ্ছে। এরপর বর্তমান সরকারের নৈতিকতা এবং তাদের কোনো কর্মকাণ্ডে জনগণের আস্থা আছে বলে আমি মনে করি না।

তিনি গতকাল দুপুরে রংপুর মহানগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপি অফিসের সামনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৮ দলের গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি কার্যক্রমের উদ্বোধনের আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড় থেকে হান্নান শাহর নেতৃত্বে গণসংযোগ শুরু হয়। নগরীর প্রধান সড়কের দুই কিলোমিটার গণসংযোগ শেষ করেন কাচারী বাজারে। এ সময় জেলা আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সামুজ্জামান সামু, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা জামায়াত নেতা রুহুল কুদ্দুস, অ্যাডভোকেট কায়সার আলী, জাগপার সভাপতি খন্দকার আবিদুর রহমান, কৃষক দল সভাপতি হাজী আবু তাহের, সেক্রেটারি খয়রাত হোসেন, যুবদল সভাপতি রইচ আহমেদসহ ১৮ দলীয় জোটের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

হান্নান শাহ বলেন, আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস বলে, তারা তৃতীয় শক্তি বা অসাংবিধাানিক শক্তির কাছে ক্ষমতা চলে যাক এটা পছন্দ করেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন অবৈধভাবে ক্ষমতা নিয়েছিলেন, তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন ‘আইএম নট আনহেপি। অর্থাৎ আমি অসুখী নই। তারপর ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দীনের সরকার যেটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক ছিল, তাদের সম্পর্কে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আওয়ামী লীগও বলেছে ওই সরকারটি তাদের আন্দোলনের ফসল।

আ’লীগ পালানোর পথও পাবে না : আব্বাস

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেছেন, ১৯৭৫ সালের মতো আওয়ামী লীগ আবারো সারা দেশে হত্যা, নির্যাতন ও গুম চালাচ্ছে। লুটপাট ও দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে দেশ। তিনি বলেন, জনগণ আর ভোট দেবে না জেনেই নিজদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে আবার মতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন আওয়ামী লীগ। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হবে না। তারা পালানোর পথও খুঁজে পাবে না। দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদের উত্তরে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও রাজশাহী মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান মিনুর সভাপতিত্বে সভায় দলের মহানগর শাখার অন্য নেতারা বক্তৃতা করেন। পরে মির্জা আব্বাস নগরীর বেশ ক’টি এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাসীদের গডফাদার : গয়েশ্বর

যশোর অফিস জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখন দেশের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী এবং সন্ত্রাসীদের গডফাদার। এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব পালনকালে দেশে খুন-গুম হত্যা রাহাজানি বন্ধ হবে না। বর্তমান সরকারের কাছে দেশ নিরাপদ নয়। বিরোধীদলীয় চিপ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে নির্যাতনকারী পুলিশের ডিসি হারুনকে পদক দেয়ায় কড়া সমালোচনা করে তিনি এ কথা বলেন। গয়েশ্বরচন্দ্র রায় গতকাল যশোরে ১৮ দলীয় জোটের একাধিক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।

গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, শেয়ার বাজার, ডেসটিনি আর পদ্মা সেতু দুর্নীতির তথ্য ফাঁসের মাধ্যমে সরকারের দুর্নীতির ১০ ভাগের এক ভাগও বেরিয়ে আসেনি। প্রধানমন্ত্রীর ছেলের দুর্নীতির কারণে তার স্ত্রী তাকে তালাক দিয়েছে। অসামঞ্জস্য ব্যাংক ব্যালান্সের কারণে প্রধানমন্ত্রীর মেয়েও কানাডায় থাকতে পারছেন নাÑ এমন অভিযোগ উঠেছে। যদি এসব অভিযোগ সত্য না হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবাদ কেন করেন না?

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনাসহ কয়েকটি দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি যশোরের খাজুরা, উপশহর বাসস্ট্যান্ড, রেলবাজার, মনিহার চত্বর ও রুপদিয়া বাজারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব, ফারাজী মতিয়ার রহমান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আজীজুর রহমান, যশোর-২ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আবু সাঈদ, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল হুদা, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুর রশিদসহ ১৮ দলের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনায় গতকাল ১৮ দলীয় জোট প্রচারণা, গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করে। জোটের মহানগর শাখার উদ্যোগে সকালে নগরীর ডাকবাংলো চত্বরে জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী মহাজোট সরকার চার বছরের শাসনামলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

১৮ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নূরুল ইসলাম দাদু ভাই। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বিজেপি সভাপতি অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, পিপলস লীগের ডা: সৈয়দ আফতাব হোসেন, সাহারুজ্জামান মোর্তুজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম।

সমাবেশ শেষে গণসংযোগ মিছিল ফেরিঘাট, পাওয়ার হাউস মোড়, সঙ্গীতা, শিববাড়ি মোড় হয়ে কেডিএ এভিনিউ ধরে ময়লাপোতা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল বারী। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা। এ ছাড়া বিএনপি ও জামায়াতের জেলা শাখার অন্য নেতারা বক্তৃতা দেন।

পটুয়াখালী সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীতে জেলা বিএনপির উদ্যোগে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃস্থাপনের দাবিতে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শেরে বাংলা সড়কের সুরাইয়া ভিলা চত্বরে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পটুয়াখালীতে গত চার বছরে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মোট ১৫ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, ২০ জনের ওপর হামলা এবং পাঁচজনকে প্রাণনাশের হুমকিসহ মোট ৪০ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হন।

জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এম এ রব মিয়ার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকসহ আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহাদৎ হোসেন মৃধা, জেলা বিএনপি নেতা মাকসুদ আহমেদ বায়েজিদ পান্না, গলাচিপা উপজেলা বিএনপি সভাপতি শাহজাহান মিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপিকা লায়লা ইয়াসমিন, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মসিউর রহমান খান, জামায়াতের জেলা আমির মাওলানা ফখরুদ্দীন খান রাজি, ইসলামী ঐক্য জোটের জেলা সহসভাপতি অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীন প্রমুখ।

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, দুর্নীতি, অপশাসন ও নির্দলীয় নিরপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে সাভারে গতকাল ১৮ দলীয় নেতাকর্মীরা গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ করেছেন। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে দুপুরে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণ করেন নেতাকর্মীরা।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি ডা: দেওয়ান মো: সালাউদ্দিন বাবু, আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজগর হোসেন, সাবেক পৌর কমিশনার শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টু, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রহমান বাবুল, ঢাকা জেলা মহিলা দল আহ্বায়ক সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.