পিয়ংইয়ংয়ে নিষেধাজ্ঞার আওতা বাড়াল জাতিসংঘ

উত্তর কোরিয়ার রকেট উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়ে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। গত মঙ্গলবার পাস হওয়া এ প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়ার ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার আওতা বাড়ানো হয়েছে।
পরমাণু বোমা পরীক্ষার জন্য ২০০৬ ও ২০০৯ সালে পিয়ংইয়ংয়ের (উত্তর কোরিয়ার রাজধানী) ওপর দুই দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ।
নিন্দা প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে উত্তর কোরিয়া তাদের সামরিক ও পরমাণু সক্ষমতা আরো বাড়ানোর হুমকি দিয়েছে। গতকাল বুধবার দেওয়া বিবৃতিতে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কোনো ধরনের সংলাপের সম্ভাবনাকেও নাকচ করে দেয় তারা। যদিও তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন মনে করে, পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে চলমান সংকট সমাধানের কার্যকর পথ হচ্ছে আলোচনা।
উত্তর কোরিয়া গত ডিসেম্বরে রকেট নিক্ষেপ করে মহাকাশে একটি উপগ্রহ পাঠায়। পশ্চিমাদের অভিযোগ, এর মাধ্যমে আসলে উত্তর কোরিয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে পিয়ংইয়ং জানায়, তারা একটি পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ পাঠিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবটি আনে যুক্তরাষ্ট্র। আর এতে সমর্থন দেয় উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সহযোগী চীন। মূলত চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতার ভিত্তিতেই এ প্রস্তাব আনা হয়। এতে বলা হয়, রকেট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আগের নিষেধাজ্ঞার শর্ত লঙ্ঘন করেছে উত্তর কোরিয়া। উদ্বেগ প্রকাশ করে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ জানায়, পিয়ংইয়ং আবারও পরমাণু পরীক্ষা চালালে 'জোরালো ব্যবস্থা' নেওয়া হবে। এ ছাড়া দেশটির মহাকাশ সংস্থা, এর প্রধান, একটি ব্যাংক, কয়েকটি বাণিজ্যিক কম্পানি ও ব্যক্তিকে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।
নিন্দা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে প্রস্তাবটিকে 'চরম অন্যায়' উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এ প্রস্তাব তাদের সার্বভৌমত্বের অধিকার লঙ্ঘন করেছে। পরমাণু পরীক্ষার বিষয়টি উল্লেখ না করে এতে বলা হয়, 'সামরিক বাহিনী ও পরমাণু অস্ত্রের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেব আমরা। আর কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার বিষয়ে আর কোনো সংলাপ হবে না।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.