সম্পাদক সমীপে- সংসদ ভবনের সামনে সেতু

বাংলাদেশ সব সম্ভবের দেশ। এখানে কোনকিছু বিচার-বিবেচনা না করেই কাজ করা হয়। যদি তা নাই হতো, তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ স্থাপনার পাশে কিছু করতে হলে জনমত বা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়ার দরকার হতো।
সংসদ সচিবালয়ের অনুরোধে সংসদ ভবনের সামনে পথচারীদের জন্য সেতু হবে এই উদ্যোগ নেয়ার খবর সচেতন সবাইকে বিস্মিত করেছে। জাতীয় সংসদ শুধু আমাদের জন্য নয়, বিশ্বেরই অনন্য স্থাপনা। অমর স্থপতি লুই কানের বিশ্বসেরা স্থাপনা। এই সড়ক-সেতু নির্মিত হলে লুই কানের নকশাবহির্ভূতই হবে না, রাজধানীর সৌন্দর্যও নষ্ট হবে। বিচার-বিবেচনা বোধ কি আমাদের একেবারেই কমে গেছে? এর আগে সংসদের পাশ দিয়ে মেট্রোরেল নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। এখন আবার এর সামনে সেতু বানানোর তোড়জোড় উঠেছে। আসলে আমরা এখন যা ইচ্ছা হয়, তাই করছি। এখানে পরিকল্পনার যেন কোন বালাই নেই। অপরিকল্পিত কোন শহর কতটা বিপজ্জনক তার বড় উদাহরণ তো এই ঢাকা শহর। বিপুল জনসংখ্যা আর জমির সংকট ঢাকা শহরকে ক্রমেই ঘিঞ্জি বানিয়ে ফেলেছে। তাই পরিকল্পনা করে কাজ করার বিষয়ে আমাদের সবচেয়ে মনোযোগী হওয়া দরকার। আশা করি এই সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হবে। পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের যাতায়াতের সুবিধার্থে আলোচনা করে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হোক।

জাহেদুর রহমান ইকবাল
পুরানা পল্টন, ঢাকা।

শীতার্তদের বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
মাঘ মাসের হাড় কাঁপানো শীতে এখন কাঁপছে সারাদেশ। বরাবরই সবচেয়ে বেশি শীত জেঁকে বসে উত্তরাঞ্চলজুড়ে। সেই হিসেবে এবারও দেশের সর্ব উত্তরে হিমালয়ের হিমগর্ভে অবস্থিত রংপুর বিভাগের আট জেলার তীব্র শীতের দাপটে কাহিল হয়ে পড়েছে। সে অঞ্চলের কয়েক লাখ হতদরিদ্র মানুষ। শৈত্যপ্রবাহ ও রাতের বরফ গলা ঘন কুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসে এ অঞ্চলের জনজীবনে এখন কষ্টের সীমা নেই। শীতবস্ত্রের অভাবে দিনেও বেলাতেও আগুন জ্বালিয়ে চলছে শীত নিবারণের প্রাণপণ চেষ্টা কনকনে ঠাণ্ডায় শীতার্ত এই মানুষগুলো আমাশায়, ডায়ারিয়া শ্বাসকষ্টসহ ভুগছে শীতজনিত নানা জটিল রোগে। শীতজনিত কারণেই মৃত্যু ঘটছে অহরহ। শীত আক্রান্ত এসব অঞ্চলে দ্রুত শীতবস্ত্র বিতরণ করা না হলে মানবিক কষ্ট- দুর্ভোগের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, এসব অঞ্চলের হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর শীতবস্ত্র অভাবের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে চরম খাদ্যভাব। অনাহারে-অর্ধাহারে থাকা শীতার্ত এই মানুষগুলোর পাশে কেউ নেই। তারা দিনের পর দিন কঠিন মানবেতর জীবন-যাপন করছে। শীত প্রকৃতির সঙ্গে যেন চলছে তাদের এক জীবনযুদ্ধ।
মানুষ মানুষের জন্য। মানুষের বিপদে মানুষ এগিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক। কাজেই শীতবস্ত্রসহ শীতার্তদের বাঁচাতে সরকারী-বেসকারী প্রতিষ্ঠানসহ দেশের বিত্তবানদের দ্রুত এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।

সৌরভ সোহরাব
সিংড়া, নাটোর।

অবহেলিত রেলওয়ে
১৬ কোটি বাঙালীর এই বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু এখন শুধু স্বপ্ন নয়, বাস্তব যা রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সেতুবন্ধন। যেহেতু যুমনা সেতু দুই অঞ্চলের মধ্যে সেতুবন্ধন সেহেতু পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে জেলার অন্তর্গত রাজধানী ঢাকা থেকে রেলওয়ে জেলা চট্টগ্রামের মধ্যে ডাবল রেললাইন নির্মাণ করা যদি জরুরী হয়। তাহলে ঢাকা থেকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জেলা সৈয়দপুরের মধ্যেও ডাবল রেললাইন পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ব্রিটিশ আমল থেকেই শেয়ালদা হতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, সৈয়দপুর হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ব্রডগেজে ডাবল রেললাইন চালু ছিল। কলকাতা থেকে দার্জিলিং যাওয়ার সুবিধার জন্য এ লাইনের ওপরে সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত মিটারগেজে ও ডাবল রেলপথ ছিল। দুর্ভাগ্য, দেশ বিভাগের পর পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী এই ডাবল লাইনের একটি ট্রেন চলাচল করছে। আমি আব্দুলপুর থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত পুনরায় লাইন বসিয়ে দ্রুতগতির ট্রেন তথা ম্যাগনেট ট্রেন চলাচলের উপযোগী ডুয়েলগেজে ডাবল রেলওয়ে লাইন নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি। কেননা চিলাহাটি থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণে ব্রডগেজের এই রেলপথটি একেবারেই সোজা এবং ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট দেয়ার জন্য রেলপথটি অত্যন্ত কার্যকর যা বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই লাভজনক। পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত ব্রিটিশ আমলের নির্মাণকৃত মিটার গেজের ডাবল রেলপথটিও পুনরায় ডুয়েলগেজের ডাবল রেলওয়ে লাইনে রূপান্তর এবং পার্বতীপুর হতে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্ত পর্যন্ত ও কাউনিয়া হতে লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্ত পর্যন্ত নতুন করে মিটার গেজ লাইনটিকে ডুয়েল গেজের ডাবল রেলপথ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে নির্মাণাধীন ডাবল রেলওয়ে লাইনে ১ কিলোমিটারের যত টাকা খরচ হচ্ছে ওই টাকায় পঞ্চগড়-পার্বতীপুর লালমনিহাট রেল রুটে ৪ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা যাবে। এছাড়া নেপালের সঙ্গে ট্রানজিট ঢাকা-রোহনপুর রুটের চেয়ে ঢাকা-পঞ্চগড় রুট বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে লাভজনক।
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা থেকে ৭ কিমি. দূরে ভারতের শিলিগুড়ি, ৪৫ কিমি. দূরে জলপাইগুড়ি শহর, ৯০ কিমি. দূরে দার্জিলিং, ৬০ কিমি. দূরে নেপালের কাঁকড়ভিটা এবং ১২০ কিমি. দূরে ভুটানের ফুয়েন্টসিলিং শহর। আমরা জানি দার্জিলিং পৃথিবী বিখ্যাত স্বাস্থ্যকর স্থান। ঢাকা- চিলাহাটি, ঢাকা-পঞ্চগড়, ঢাকা-বুড়িমারী রেলরুটে পর্যটকরা এসব অঞ্চলে অনায়াসেই যাতায়াত করতে পারবেন। আর এসব জায়গায় সারা বছরই পর্যটকও আসেন। এক্ষেত্রেও অধিকাংশ রেলপথ আমাদের দেশের মধ্যে হওয়ায় বাংলাদেশ লাভবান হবে।
পরবর্তীতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঢাকা হতে ঈশ্বরদী পর্যন্ত রেললাইনের রাস্তায় মাটি ভরাট করে ডুয়েলগেজের ডাবল রেলপথ নির্মাণেরও আবেদন করছি। কারণ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জেলা সৈয়দপুরের নিয়ন্ত্রণাধীন মিটার গেজ লাইনে দিনাজপুর থেকে আন্তঃনগর দ্রুতযান ও একতা এক্সপ্রেস, রংপুর থেকে রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট থেকে লালমনি এক্সপ্রেস এবং ব্রডগেজ লাইনে সৈয়দপুর থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস, রাজশাহী থেকে পদ্মা, সিল্কসিটি, ধূমকেতু এক্সপ্রেস, খুলনা হতে সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো ঈশ্বরদী-ঢাকা একই লাইনের ওপর দিয়ে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ব্যতীত প্রতিদিন চলাচল করে। এ ছাড়া ঢাকা হতে কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটিও একই লাইনের ওপর দিয়ে চলাচল করছে।
যেখানে বিশ্বে অধিক দূরত্ব অল্প সময়ের মধ্যে পাড়ি দেয়ার জন্য দ্রুত গতির ট্রেন ও রেলপথের যথাযথ উন্নয়নে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়ন মন্থর গতিতে চলছে। এ কথা অকপটে স্বীকার করতে হবে যে, স্থলপথে রেলওয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতিসম্পন্ন যোগাযোগের মাধ্যম।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় কর্মরত জনৈক উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেছিলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত বগিগুলোর প্রতিটিতে খরচ হয়েছে ৩৩ লাখ টাকা। কিন্তু এই বগিগুলো যদি সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় নির্মাণ করা যেত তাহলে সর্বোচ্চ খরচ হতো ১৫ লাখ টাকা। বোঝা গেল বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত অবাঙালীর মতো কতিপয় উর্ধতন বাংলাদেশী কর্মকর্তা ব্যক্তি স্বার্থে লাভবান হওয়ার জন্য রেলওয়ে কারখানা তথা বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নতি চায় না। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানটি অত্যাধুনিকভাবে সাজিয়ে এখানেই ট্রেনের কোচ বা বগি, অদূর ভবিষ্যতে ইঞ্জিন নির্মাণের জন্য উৎসাহ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশের মানুষের প্রেরণা এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও সদিচ্ছা কামনা করছি।
মোঃ সাঈয়েদুল ইসলাম
হাশিমপুর, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর।

সংসদে যাওয়া দরকার
সংসদীয় গণতন্ত্রের শুরু হতেই সংসদ বর্জন সংস্কৃতি অব্যাহত আছে। এর থেকে বের হয়ে না আসা পর্যন্ত দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœই থেকে যাচ্ছে। সংসদের কোন বিশেষ বিষয় নিয়ে বিরোধী দল ওয়াকআউট বা সাময়িকভাবে সংসদ বর্জনও করতে পারে। কিন্তু দিনের পর দিন লাগাতার সংসদ বর্জন সংসদীয় গণতন্ত্রের পথে ভীষণ অন্তরায়। সংসদের সব সুবিধা ভোগ করবেন অথচ সংসদে যোগদান করবেন না, এটা জনগণ এমন কি যাদের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা ও হতাশাগ্রস্ত হয়েছেন।
দেশকে ভালবাসলে এবং জনগণের প্রতি জবাবদিহিতা থাকলে বিরোধী দলের সংসদে যোগদান অত্যাবশ্যক। সংসদে পরিবেশ না থাকার অজুহাতে সংসদ বর্জন কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।
বিরোধী দল নেতা জনগণের মনের প্রত্যাশার কথা ভেবে আগামী সংসদ অধিবেশনে যোগদান করবেন। বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

কাজিমদার ওয়ালিউল হক
নওগাঁ সদর, নওগাঁ।

চলনবিলের সরিষা ক্ষেতে মধু সংগ্রহ
এখন শীত কাল। কৃষিপ্রধান চলন বিলের মাঠে-মাঠে হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ। যেদিকে তাকানো যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। হেমন্ত ও শীত ঋতুর এ হলুদ সরিষা ফুলের দৃষ্টি কাড়া সৌন্দর্য যে কোন মানুষকে মুগ্ধ করে। এ সময় আমরা প্রকৃতির এক অন্য রকম সৌন্দর্য অনুভব করি। সরিষা শুধু শীতকালের অর্থকরী সফলই নয়; বর্তমান এ ফুলের সংগৃহীত মধু আমাদের অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কৃষিপ্রধান চলন বিলের সরিষা ক্ষেতে মৌ বাক্স বসিয়ে প্রতি বছর প্রচুর মধু সংগ্রহ করা হয়। এ সময় খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নাটোর, সিরাজগঞ্জসহ দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন জেলা থেকে মধু সংগ্রহে আসেন শত শত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মৌ চাষীর দল। সরিষা ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মৌ বাক্স বসিয়ে শুরু করেন শুধু সংগ্রহ। কার্তিক থেকে মাঘ পর্যন্ত চলে এ মধু সংগ্রহ। সংশ্লিষ্ট কৃষি সূত্র মতে-চলতি বছর চলন বিলের ৯ উপজেলার সরিষা চাষের পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমি।
এ সকল ক্ষেত থেকে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২শ’ টন মধু সংগ্রহের সম্ভাবনা রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়-চাহিদা অনুযায়ী রিফাইনিং মেশিন সঙ্কট ও উদ্যোক্তার অভাবে দেশের সম্ভাবনাময় এ মধু শিল্প সঠিক বাজার পাচ্ছে না। সার্বিক সহযোগিতা পেলে-মৌ চাষীদের পক্ষে দি-গুণ পরিমাণ মধু সংগ্রহ করা সম্ভব। মূলত ওষুধ ও অন্যান্য শিল্পের জন্য মধুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদা পূরণে চলনবিলসহ দেশের কৃষি প্রধান অঞ্চলগুলোতে সরিষার চাষ বৃদ্ধি করতে হবে এবং সেই সঙ্গে কৃষকদের মৌ চাষ সর্ম্পকে ব্যাপক সচেতন করে তুলতে হবে যাতে তারা মৌ চাষে উৎসাহিত হয়। এ ব্যাপারে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে এবং তা যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। আর এ সব করতে পারলে দেশের চাহিদা পূরণ করে এই মধু শিল্প বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে। তাই আসুন শীতকালের অলঙ্কার সরিষার চাষ বৃদ্ধির পাশাপাশি মৌ চাষে মধু সংগ্রহে সকলেই এগিয়ে আসি এবং সংসারের বাড়তি আয় করি।

সৌরভ সোহরাব
সিংড়া, নাটোর।

No comments

Powered by Blogger.