মঞ্চে কাজ করে বেশি আনন্দ পাই পাভেল ইসলাম

সম্প্রতি ঢাকার মঞ্চে উদ্বোধন হয়েছে সময় নাট্যদলের নতুন নাটক "শেষ সংলাপ"-এর। তবে এর আগেই গত বছর ২৮ ডিসেম্বরে কলকাতার মঞ্চে হয়ে গেছে নাটকটির আনত্মর্জাতিক উদ্বোধন।
উদ্বোধনী প্রদর্শনীতেই দুই বাংলার নাট্যপ্রেমী দর্শকদের মাঝে দারম্নণ সাড়া ফেলেছে নাটকটি। এই "শেষ সংলাপ" নাটকটির প্রধান চরিত্র "সুলতানের" ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পাভেল ইসলাম। সম্প্রতি আনন্দকণ্ঠের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।
ষ মঞ্চে জড়ালেন কিভাবে?
শু "জেন্টেলমেন'স রিপের্টোরি থিয়েটার" নামে একটি নাট্য সংস্থা আছে যারা নাটক মঞ্চায়নের পাশাপাশি মঞ্চ নাটকের বিভিন্ন দিক বা বিষয় নিয়ে গবেষণা করে থাকে। একটা শিল্পী মনের আকাঙ্ৰা নিয়ে, মঞ্চ নাটক সম্পর্কে জানতে ১৯৯৪ সালে যুক্ত হয়েছিলাম এই নাট্য সংস্থাটির সঙ্গে। এরপর কাজ করি 'ট্রামা সেন্টারে'র সঙ্গে এবং ১৯৯৭-তে যোগ দিই সময় নাট্যদলে। তবে মঞ্চে অভিনয় শুরম্নর আগে দীর্ঘদিন মঞ্চ নাটকের মিউজিক নিয়ে কাজ করেছি।
ষ শেষ সংলাপ নাটকটি সম্পর্কে বলুন।
শু 'শেষ সংলাপ' নাটকটি মিসরের প্রখ্যাত নাট্যকার_তাওফীক অল হাকীমের নাটক 'সুলতানুজ জান্নাম'-এর বাংলা রূপ। প্রখ্যাত নাট্যকার ড. জামির আহমেদ এবং ম. সাইফুল আলম চৌধুরী যৌথভাবে নাটকটির বাংলা রূপ দিয়েছেন। সময় নাট্যদলের ঊনত্রিশতম প্রযোজনা এই 'শেষ সংলাপ' নাটকটির বিষয়বস্তু যে কোন সময়ের জন্য প্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি। আমাদের সমকালীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা, বিশ্ব পরিস্থিতি ইত্যাদি বিবেনায় খুবই আধুনিক একটি নাটক এটি, অনত্মত স্ক্রিপ্টের দিক থেকে। যে কারণে উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে দর্শকদের অপ্রত্যাশিত সাড়া পেয়েছি। আর নাটকের প্রধান যে চরিত্র 'সুলতান', এটিতে অভিনয় করা ছিল আমার জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এ চরিত্রটিকে ঘিরেই পুরো নাটকের কাহিনী গতিশীল। তবে মনে হচ্ছে দর্শকদের আমি সন্তুষ্ট করতে পেরেছি। 'শেষ সংলাপ' নাটকটি নিয়ে আমি দারম্নণ আশাবাদী।
ষ'শেষ সংলাপ' নাটকটি ঢাকা এবং কলকাতার দর্শকরা কিভাবে নিয়েছে?
শু উভয় মঞ্চের দর্শকদের দারম্নণ সাড়া পেয়েছি। প্রশংসা করেছে সবাই। তবে ঢাকা কলকাতার দর্শকদের মধ্যে একটা পার্থক্য লৰ্য করেছি। কলকাতায় আমাদের প্রদর্শনীতে দর্শকসারিতে তরম্নণদের উপস্থিতি কম ছিল। অধিকাংশ দর্শক ছিল বোদ্ধা শ্রেণীর। আমার মনে হয়, কলকাতার দর্শকরা বেশি সিরিয়াস। যারা মঞ্চের বিষয়গুলো বোঝেন তারাই সাধারণত মঞ্চ নাটক বেশি দেখেন। অন্যদিকে ঢাকার দর্শকরা পুরোপুরি উল্টো। আমাদের দর্শকরা অনেক বেশি প্রাণচঞ্চল ও স্বতঃস্ফূর্ত।
ষ মঞ্চে আপনার অন্য কাজগুলো সম্পর্কে বলুন।
শু আগেই বলেছি, মঞ্চে দীর্ঘদিন মিউজিক নিয়ে কাজ করেছি। মঞ্চে আমার অভিনয় করা উলেস্নখযোগ্য একটি নাটক হলো সময় নাট্যদলের 'ভাগের মানুষ'। এ ছাড়া কাজ করেছি 'সাদা ঘোড়া' এবং '৭১-এর ৰুদিরাম' নাটকে। এর ফাঁকে অবশ্য মঞ্চে নির্দেশনাও দিয়েছি। 'চন্দ্রমনি' নামে একটি শিশুতোষ মঞ্চনাটক এবং ডেমোক্রেসি ওয়াচের আয়োজনে স্থানীয় সরকার বিষয়ক একটি নাটক 'আমার গ্রাম-আমার ইউনিয়ন' নামের নাটকে নির্দেশনা দিয়েছিলাম।
ষ যারা মঞ্চে কাজ করছেন তাদের অনেককে এখন টিভি নাটকেও দেখা যায়। টিভি নাটকে অভিনয় নিয়ে কি ভাবছেন?
শু নিজের মনের চাহিদা মেটাতে মঞ্চে কাজ করছি। এর বাইরে আমি টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলায় জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত। ফলে বাড়তি কিছু করার সময় খুব কম হয়। তার পরও দু'একটা টিভি নাটক, টেলিফিল্ম ও বিজ্ঞাপনে কাজ করে ফেলেছি। এ সবের মধ্যে টেলিফিল্ম 'তোমায় দিলাম পৃথিবী।' নাটক 'এক চিলতে আকাশ', 'বাহানা', 'শিউলিমালা' প্রভৃতি এবং মেরিল বিউটি সোপ, মেরিল ফ্রেশ জেল, ফরচুন হাসপাতাল, ওয়ারিদ টেলিকম প্রভৃতির বিজ্ঞাপন উলেস্নখযোগ্য
ষ আগামীতে নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান?
শু যতদিন সম্ভব হবে মঞ্চে কাজ করে যাব। এক সময় নিয়মিত লেখালেখি করতাম। এই লেখালেখিটা চালিয়ে যেতে চাই। আর অভিনয়কে অনেকেই এখন পেশা হিসেবে নিচ্ছে। আমার ৰেত্রে যদি কখনও সে রকম সুযোগ সৃষ্টি হয় তাহলে হয়ত সে দিকটাতে ঝুঁকব। য়

No comments

Powered by Blogger.