ওরা গায় আর আমি বাজাই

সুরের কাজটা এর আগেও করেছেন মিলা ইসলাম। ডিসকো বান্দর, বৃষ্টি নাচে তালে তালেসহ কয়েকটি গান সফলতাও পেয়েছে। তবে এ সফলতার অাঁচ এককভাবে উপভোগ করতে পারেননি তিনি।
কারণ এ গানগুলোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন সময়ের আরেক জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক ফুয়াদ আল মুক্তাদির।
তাই বলে এ নিয়ে মিলার মধ্যে আেেপর ছিটেফোঁটাও নেই। উল্টো তিনি বলেছেন, গান তৈরির যাবতীয় কলাকৌশলের বেশির ভাগটাই আমি শিখেছি ফুয়াদ ভাইয়ের কাছ থেকে। ফুয়াদের প্রতি মিলার কৃতজ্ঞতার ছাপ স্বাভাবিক ঘটনা।
তবে অস্বাভাবিক কিংবা বিস্ময়কর হলেও এটাই সত্যি, মিলা এবার নিজেই সুরকার-সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। নিজ বাসায় গড়ে তুলেছেন অত্যাধুনিক রেকর্ডিং স্টুডিও সেটআপ। মাসখানেক বয়সী স্টুডিওটির নাম কি রাখবেন, সেই ভাবনায় সময় নষ্ট না করে এরই মধ্যে শুরম্ন করে দিয়েছেন স্টুডিও ওয়ার্ক।
দস্যি মেয়ের মতো আড্ডাপ্রিয় মিলা শেষ এক মাসে স্টুডিওর চার দেয়ালে নিজেকে আটকে ফেলেছেন অবিশ্বাস্যভাবে। এরই মধ্যে নিজ স্টুডিওতে তৈরি করেছেন নিজের সুর-সঙ্গীত ও কণ্ঠের তিনটি নতুন গান। কাজ করছেন বেশ ক'টি বিজ্ঞাপন জিঙ্গেলের। কায়ন্টের মানা, তাই বিজ্ঞাপনগুলোর নাম বলতে আপত্তি মিলার কণ্ঠে।
প্রশ্ন হলো, স্টুডিও এবং সঙ্গীত পরিচালনা কেন? কণ্ঠ ব্যসত্মতার ফাঁক গলে এত শক্ত আর ঝামেলাপূর্ণ কাজ করবেনই বা কিভাবে? তা ছাড়া কম্পোজার হিসেবে মিলার কি এমন যোগ্যতা। এমন প্রশ্নে মোটেও েেপননি মিলা। উল্টো বুঝিয়ে বললেন এভাবে, দেখুন আমাদের জনপ্রিয় এবং সফল মিউজিক ডিরেক্টরদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, উনারা এত বেশি ব্যসত্ম থাকেন তাতে করে সঠিক সময়ে মনের মতো কাজ তুলে আনা মুশকিল হয়ে যায়।
এটা আমার গেল ক'বছরের স্টুডিও অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আর আমি নিজেও একজন ছোটখাটো মিউজিশিয়ান। গিটার বাজাতে জানি, কি-বোর্ড শিখছি, মিউজিক সফটওয়্যার এবং কম্পিউটার অপারেট করতে জানি। সুর এর আগেও করেছি।
সব মিলিয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ কম্পোজার হিসেবে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে আমি জোর প্রস্তুত চালাচ্ছি। এখন তো স্টেজ শোর বাইরে বাদ বাকি সময়টা আমি স্টুডিওতেই পড়ে থাকি। ইচ্ছে আছে আসন্ন রোজার ঈদে আগামী এ্যালবামটা আমার হাত দিয়েই এই স্টুডিওর প্রথম সনত্মান হিসেবে প্রকাশ পাবে।
আমি জানি কাজটা কঠিন, তবুও দেখা যাক কি হয়। এদিকে স্টুডিও নিয়ে স্বপ্নের ঘোরে থাকা মিলা আরও বলেন, স্টুডিওতে আমাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য দুটি লাভ বার্ড কিনেছি। স্টুডিওর নাম এখনও ঠিক না হলেও ওদের নাম রেখেছি টোনা আর টুনি। স্টুডিওতে বসে ওরা গায় আর আমি বাজাই কম্পোজ করি। কেটে যায় দিবস-রজনী। য়

No comments

Powered by Blogger.