চ্যাম্পিয়ন জাম্বিয়ার বিদায়

আফ্রিকান নেশনস কাপে চমক অব্যাহতই আছে। প্রথমবার খেলতে এসেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে কেপ ভার্দে। তার চেয়েও বড় চমক, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জাম্বিয়া ছিটকে পড়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই।
গোলশূন্য ড্র করে জাম্বিয়াকে বিদায় করে দিয়ে ১৯৯৮ সালের পর প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে বুরকিনা ফাসো। ২১ বছরের মধ্যে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়ে জাম্বিয়া নাম লেখাল আলজেরিয়ার পাশে। চ্যাম্পিয়ন আলজেরিয়া ১৯৯২ সালে বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই। ‘সি’ গ্রুপ থেকে শেষ আটে বুরকিনা ফাসোর সঙ্গী দুবারের চ্যাম্পিয়ন নাইজেরিয়া। চেলসি উইঙ্গার ভিক্টর মোজেসের জোড়া গোলে নাইজেরিয়া ২-০ গোলে হারিয়েছে ইথিওপিয়াকে। ম্যাচের শেষ দিকে মোজেস দুটি গোলই করেছেন পেনাল্টি থেকে। নাইজেরিয়ার সঙ্গে ১-১ ড্রয়ের পর ইথিওপিয়ার বিপক্ষে ৪-০ জয়। হাতে ৪ পয়েন্ট, বুরকিনা ফাসো জানত ড্র করলেই কোয়ার্টার ফাইনাল। তাই বুরকিনা খেলে রক্ষণাত্মক কৌশলে। জাম্বিয়া বুরকিনা ফাসোর রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। তার পরও একটা ক্ষীণ আশা ছিল জাম্বিয়ার। জাম্বিয়া-বুরকিনার ম্যাচ যখন শেষ, তখনো নাইজেরিয়া-ইথিওপিয়া ম্যাচের ১১ মিনিট বাকি। ম্যাচটি তখনো গোলশূন্য। এ ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হলে নাইজেরিয়া-জাম্বিয়া দুই দলেরই পয়েন্ট, গোল, গোল-ব্যবধান সমান হয়ে যায়। মুখোমুখি সাক্ষাতেও ড্র। সে ক্ষেত্রে জাম্বিয়া-নাইজেরিয়ার কে কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে, সেটা নির্ধারিত হতো দলীয় শৃঙ্খলা (যেমন হলুদ কার্ড, লালকার্ড) বা মুদ্রা নিক্ষেপে। আশা তাই ছিলই। কিন্তু ৭৯ মিনিটেই পেনাল্টি পায় নাইজেরিয়া, এগিয়ে দেন মোজেস। ৮৫ মিনিটে সেসাই বাঞ্চা লালকার্ড পেলে ইথিওপিয়া হয়ে যায় ১০ জনের দল। একবারেই শেষদিকে আবার পেনাল্টি পায় নাইজেরিয়া এবং মোজেস ভুল করেননি। শেষ আটে বুরকিনার প্রতিপক্ষ টোগো নাকি তিউনিসিয়া, সেটা গত রাতেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। নাইজেরিয়ার সামনে ফেবারিট আইভরি কোস্ট। নাইজেরিয়ার চেলসি মিডফিল্ডার জন অবি মিকেল দিদিয়ের দ্রগবার দলকে ফেবারিট মানছেনও। পাশাপাশি হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছেন, নাইজেরিয়া ছেড়ে কথা বলবে না। এএফপি, রয়টার্স।  কোয়ার্টার ফাইনাল লাইনআপ ২ ফেব্রুয়ারি: ঘানা-কেপ ভার্দে, দক্ষিণ আফ্রিকা-মালি ৩ ফেব্রুয়ারি: আইভরি কোস্ট-নাইজেরিয়া, বুরকিনা ফাসো-টোগো

No comments

Powered by Blogger.