এক ঢিলে অনেক পাখি মারতে চেয়েছিল পবন - রিমান্ডে জানাল শোভন

একঢিলে অনেক পাখি মারতেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আকতার হামিদ পবন।
পরিকল্পনা বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত বোমা হামলার মিশন চালানোর পরিকল্পনা ছিল। ঘটনার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত ও ছাত্রদলের একটি অংশ জড়িত। বিএনপি ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে লুকিয়ে থাকা জামায়াত-শিবিবের গ্রম্নপটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। রিমান্ডে পবনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবুল কালাম আজাদ ওরফে শোভন গোয়েন্দাদের এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পর পর ২ বার বোমা হামলা চালানো হয়। সর্বশেষ গত ২৩ ফেব্রম্নয়ারি হামলা হয়। হামলা শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সাহা জনতার হাতে ধরা পড়ে।
প্রদীপ গোয়েন্দাদের জানায়, বোমা হামলা নাটকের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত ও ছাত্রদলের একটি অংশ জড়িত। প্রদীপ ও সোনাইমুড়ি থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফারম্নক বোমা হামলার পরিকল্পনা বাসত্মবায়নের দায়িত্ব পালন করেছে মাত্র। এজন্য তারা পার্টির জড়িত ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা টাকাও পেয়েছে। প্রদীপের তথ্যমতে ডিবি পুলিশ শনিবার রাজধানীর কলাবাগান থেকে হামলার কাজে ব্যবহৃত লাল রংয়ের প্রাইভেটকারটি জব্দ করে। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পবনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবুল কালাম আজাদ ওরফে শোভন গ্রেফতার হয়। শোভন জানায়, বোমা হামলার আসল পরিকল্পনাকারী পবন।
শোভনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শোভন পবনের দীর্ঘ দিনের বন্ধু। সরকার পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শোভন রং পাল্টায়। নিজের স্বার্থর্ হাছিলের জন্য বারবার খোলস পাল্টাতে শোভনের জুড়ি মেলা ভার। তবে বর্তমান সরকারের আনুকূল্য পেতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। সেজন্য বিএনপি-জামায়াতের পুরনো ডেরাতেই রয়েছে। চারদলীয় জোটের কল্যাণে সে পর্নো সিডি ও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। তার বিরম্নদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ২টি মামলাও রয়েছে। তাকে একবার জেলেও যেতে হয়েছিল। যদিও বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে পবনের কল্যাণে বেশি দিন থাকতে হয়নি সেখানে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, পবন বোমা হামলার পরিকল্পনা বাসত্মবায়নের জন্য তার বন্ধু শোভনকে দায়িত্ব দেয়। ঘটনার দিন রাত ৯টায় প্রদীপ ও ফারম্নক মোটর সাইকেলযোগে মতিঝিল থেকে গুলশানের উদ্দেশে রওনা হয়। এর আগেই পবন ও শোভন গুলশান খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরিকল্পনা মোতাবেক বোমারম্নরা বোমা ছুড়ে। এ সময় পবন অজ্ঞান হওয়ার ভান করে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে বোমা হামলাকারীরা দ্রম্নত পালিয়ে যায়। শোভনও দ্রম্নত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। শোভন গোয়েন্দাদের বলেছে, অভ্যনত্মরীণ কোন্দলের জেরধরেই পবন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বোমা হামলার পরিকল্পনা করে। বোমা হামলার কারণে পবনের ওপর খালেদা জিয়ার আনুকূল্য পাওয়া, পিতার পদ অৰত থাকা, খালেদা জিয়ার জন্য এসএসএফ নিরাপত্তা ও সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আন্দোলনে নামার পথ পরিষ্কারসহ নানা বিষয়কে মাথায় রেখেই পবন বোমা হামলার ফমর্ুলা মাঠে ছাড়ে। তবে পরিকল্পনা বাসত্মবায়িত না হওয়া পর্যনত্ম বোমা হামলার পরিকল্পনা ছিল পবনের। তবে গোয়েন্দারা বলছে, হামলার সঙ্গে বিএনপি ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে লুকিয়ে থাকা জামায়াত-শিবিরের অংশটি জড়িত থাকতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.