আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো

 একুশ আমাদের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বন্ধ্যত্ব ঘুচিয়ে বাধার দেয়াল ডিঙিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণার উৎস। একুশের চেতনা ধারণ করে ৫২'র পরবর্তী রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
এই পরিবর্তনের পিছনে অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করেছে ভাষার দাবিতে দুবার আন্দোলনের সাফল্য। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়া পকিস্তান রাষ্ট্রে অর্ধেকের বেশি মানুষ ছিলেন বাংলাভাষী। সেখানে ভাষার প্রশ্নে সিদ্ধানত্ম নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীদের মতামত নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু পকিসত্মানের আধিপত্যবাদী শাসকরা তাতে কোন ভ্রম্নৰেপ না করে নিজেদের সিদ্ধানত্মে উদর্ুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেয়। তাদের এই ঘোষণাকে মেনে নিতে পারেনি বাংলার মানুষ। তাই তারা আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়। সেই আন্দোলন সফল হয়েছে বাংলার সর্বসত্মরের মানুষের অংশ গ্রহণে। হাসি ফুটেছে সবার মুখে। বিজয়ের ফসল উঠেছে বাঙালীর ঘরে ঘরে।
সেই গৌরবের কথাই নতুন প্রজন্মকে জানাতে প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে হচ্ছে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলা একাডেমীর অমর একুশে বইমেলায় মূল মঞ্চে মাসব্যাপী চলছে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস কথা। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৩ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আজ শনিবার সেখানে একুশের নাটক, একুশের কথাসাহিত্য নিয়ে হবে আলোচনা। এতে সভাপতিত্ব করবেন অজয় রায়। মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও জাকির তালুকদার। আলোচনায় অংশ নেবেন নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, ইকবাল হাসান ও আনিসুল হক। শেষে থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

No comments

Powered by Blogger.