ঘরের ছেলের ঘরে ফেরা

ঘরের ছেলে শেষ পর্যন্ত ঘরেই ফিরলেন। সান সিরোতেই ফিরে এলেন মারিও বালোতেল্লি। তবে ইন্টার মিলানে নয়, এসি মিলানে। সাড়ে চার বছরের চুক্তি হয়েছে তাঁর।
২২ বছর বয়সী ইতালিয়ান এই স্ট্রাইকারকে কিনতে মিলানকে নাকি দুই কোটি ইউরো গুনতে হয়েছে। গতকাল রুটিন স্বাস্থ্যপরীক্ষা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি ঘোষণা করার কথা ছিল। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবশ্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়নি।
ইন্টার থেকে বালোতেল্লিকে ম্যানচেস্টার সিটিতে এনেছিলেন ক্লাবটিরই সাবেক কোচ রবার্তো মানচিনি। সিটিতে মাঠের বাইরে নানা কীর্তির মধ্যে সর্বশেষ এই মানচিনির সঙ্গেই ঝামেলা করেছিলেন ‘ব্যাডবয়’ ভাবমূর্তি গড়ে তোলা বালোতেল্লি। তখনই বোঝা গিয়েছিল, সিটিতে তাঁর দিন ফুরাল। তবে মানচিনি বারবার বলে গেছেন, অনুশীলন মাঠের সেই ঘটনার সঙ্গে বালোতেল্লির সিটিতে থাকা না-থাকার কোনো সম্পর্ক নেই। পরশুও বললেন, ‘ওকে হারিয়ে আমরা খুবই ব্যথিত। মানুষ হিসেবে মারিওকে আমরা ভালোবাসি। খেলোয়াড় হিসেবেও ভালোবাসি। তবে আমি মনে করি, ইতালিতে ফিরে যাওয়া ওর জন্য ভালোই হয়েছে। সেখানে সে আরও বড় সুযোগ পাবে নিজেকে মেলে ধরার। মিলানের মতো বড় একটা ক্লাবে খেলার।’
বালোতেল্লির প্রতিভা নিয়ে কখনোই মানচিনির সংশয় ছিল না। বারবার বলেছেন, খ্যাপামি স্বভাবটা পাল্টাতে পারলে বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন হওয়ার সম্ভাবনা আছে এই তরুণের। আবারও সেই কথাই বলেছেন মানচিনি, ‘আশা করি মারিও উন্নতির ধারা বজায় রাখবে, প্রমাণ করে দেবে সে প্রস্তুত। কারণ, আমি মনে করি, কঠোর পরিশ্রম করলে তার পক্ষে আরও ভালো হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে। সম্ভাবনা আছে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়দের একজন হওয়ার।’
দুই কোটি ২০ লাখ ইউরো খরচ করে বালোতেল্লিকে কিনেছিল সিটি। লোকসানেই বিক্রি করে দিল। বালোতেল্লি অবশ্য মিলানে ভালো বেতন পাবেন। বছরে তাঁর বেতন হবে ৪৫ লাখ ইউরো। বালোতেল্লির বদলে জানুয়ারিতে সিটি নতুন কোনো স্ট্রাইকার কিনবে না বলেই জানিয়েছেন মানচিনি। যদিও স্কোয়াডে মাত্র তিন স্ট্রাইকার সম্বল রইল তাঁর—সার্জিও আগুয়েরো, কার্লোস তেভেজ ও এডিন জেকো। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.