নীলফামারীর গ্রামে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ

স্বামীকে বেঁধে দুজন আটকিয়ে রাখে বাঁশঝাড়ে। আর অপর দুজন নদীর পাড়ে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বুধবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের কাঁকড়া গ্রামে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিমলা হাসপাতালে স্বামী আব্দুস সামাদ (৪০) ও স্ত্রী কল্পনা বেগম (৩৫) ভর্তি হবার পর সন্ধ্যায় ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে পড়ে।
ডিমলা হাসপাতালে সাংবাি দকদের কাছে অকপটে ঘটনার বিবরণ দিয়েছে স্বামী-স্ত্রী। পাশাপাশি তারা ডিমলা থানার পুলিশের কাছে ঘটনাটি জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসামিদের খোঁজে ছুটে গেলে তাদের কাউকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তারা পালিয়ে গেছে এলাকা থেকে।
গৃহবধূ জানায়, তাঁর স্বামী কাঁকড়া তুহিনবাজারে মাংস বিক্রি করেন। তাঁর স্বামীর প্রথম স্ত্রী হোসনে আরা থাকেন গ্রামের অপরপ্রান্তের পৃথক বাড়িতে। বুধবার রাতে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ও ৪ বছরের শিশুপুত্র আকিবকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে ঘরের বেড়া কেটে মুখোশপরা চার ব্যক্তি প্রবেশ করে কাপড় দিয়ে মুখ ও দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে ফেলে তাঁদের। এরপর ঘরের বাইরে এনে তাঁর স্বামীকে দুজন নিয়ে চলে যায় অন্যদিকে। আর তাঁকে অপর দুজন নিয়ে যায় গ্রামের নাউতারা নদীর পাড়ে। সেখানে তাকে দুই ব্যক্তি পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণকারীদের মধ্যে তিনি এক ধর্ষণকারী তুহিনবাজারের মোটরসাইকেল মেকার মিজানুর রহমানকে (৩৫) চিনতে পারেন। এরপর তিনি বাড়ি ফিরে স্বামীকে না পেয়ে তাঁকে ১ ঘণ্টা পর একটি বাঁশঝাড়ে দড়ি দিয়ে হাত-পা ও মুখে কাপড় বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সকালে ইউপি চেয়ারম্যানকে ঘটনাটি জানান। তিনি বলেন, আমাকে দুজন পালাক্রমে ধর্ষণ করল। অথচ ধর্ষণের কথা বাদ দিয়ে প্রভাবশালীরা শুধু মারপিটের ঘটনার মামলা দিতে বলছে। আমরা এখন কী করব। ধর্ষিত ওই গৃহবধূর স্বামী আব্দুস সামাদ জানান, ঘটনার দিন তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী কল্পনার বাড়িতে ছিলেন। গভীর রাতে চার মুখোশধারী ঘরের বেড়া কেটে প্রবেশ করে। তাকে দুজন ও তার স্ত্রীকে দুজন বেধড়ক পিটিয়ে হাত-পা ক্ষতবিক্ষত করে। তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে বাঁশঝাড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। তার দ্বিতীয় স্ত্রী প্রায় দুই ঘণ্টা পর তাঁকে বাঁশঝাড় থেকে উদ্ধার করে । এ সময় তাঁর স্ত্রী তাঁকে ধর্ষণের কথা জানান। তিনি বলেন, এলাকার কিছু লোক তাঁদের হুমকি দিচ্ছে ধর্ষণের ঘটনা বাদ দিয়ে শুধু মারপিটের মামলা দিতে। নাউতারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান ঘটনাটি শুনেছি। স্বামী-স্ত্রী তাঁর কাছে এসে ঘটনাটি জানালে তাঁদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।

No comments

Powered by Blogger.