পাকিস্তানে সন্ত্রাসী সন্দেহে বিনা বিচারে আটক ৭০০

পাকিস্তানের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার কমপক্ষে ৭০০ মানুষকে বিনা বিচারে আটক রাখা হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল ইফরান কাদির জানান, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তাদের আটক করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার আদিয়ালার সাত 'নিখোঁজ ব্যক্তির' মামলার শুনানির সময় আদালতকে এ কথা জানান কাদির। সর্বোচ্চ আদালত এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
ইফরান কাদির বলেন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আদিবাসী এলাকায় সন্ত্রাসী সন্দেহে কমপক্ষে ৭০০ মানুষকে আটকে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ওই এলাকায় চলমান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের ছাড়া হবে না উল্লেখ করে তিনি জানান, সীমান্তে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ (এফসিআর) আইনের আওতায় এসব মানুষকে আটক রাখা হয়েছে। তবে কত দিন ধরে তাদের আটকে রাখা হয়েছে, তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রশাসিত সীমান্তবর্তী এলাকায় এফসিআর আইন প্রযোজ্য।
২০০৭ সালের নভেম্বরে আদিবাসী এলাকা থেকে সাত ব্যক্তিকে আটক করা হয়। ২০১০ সালে ওই সাতজনকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। তবে নিরাপত্তা বাহিনী আদালতের আদেশ অমান্য করে তাদের আদিয়ালা কারাগারে আটক রেখেছে। সম্প্রতি সর্বোচ্চ আদালত ওই ব্যক্তিদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা তদন্তের নির্দেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরী প্রশ্ন তোলেন, 'কোন আইনের ওপর ভিত্তি করে এসব মানুষকে আটক রাখা হয়েছে?' তিনি বলেন, 'নিরাপত্তা বাহিনী বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের আটক রাখতে পারে না। কারণ এটা সংবিধান এবং মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। আমরা তাদের ছেড়ে দিতে বলছি না। তবে আমরা চাই, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।' আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলার শুনানি মুলতবি করা হয়েছে।
কাশ্মীরে হামলার হুমকি : পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) ভারতশাসিত কাশ্মীরে হামলার হুমকি দিয়েছে। টিটিপির মুখপাত্র এহসানউল্লাহ এহসান বলেন, 'জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত কাশ্মীরে থাকা বিজেপি-আরএসএসের জঙ্গি শিবিরে দ্রুত ড্রোন হামলা চালানো। তারা যদি বিজেপির মদদে কাশ্মীরে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ না করে তাহলে আমরা সেখানে হামলা চালাব।' সূত্র : ডন, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.