খুন হওয়ার আগে যা লিখে গেছে মহিউদ্দিন

 সন্ত্রাসী হামলায় নিহত চবি মেধাবী ছাত্র মহিউদ্দিন ওরফে মাসুমের সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে পুলিশ একটি লেখা উদ্ধার করেছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ইতোমধ্যে এ চিঠিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশের আইজিসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে পাঠিয়েছে।
সুন্দর হসত্মাৰরে অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাষায় এ লেখার মর্মার্থ থেকে বেরিয়ে এসেছে সে কোন্ মানসিকতার অধিকারী ছিল এবং প্রচলিত কোন্ রাজনীতি পছন্দ করত। মহাজোট সরকারের নির্বাচনী ইসত্মেহারের প্রতি তার সমর্থন ছিল এবং এ সরকারের সংস্কারের কার্যক্রমে সে আশাবাদী ছিল। পাঠকদের সুবিধার্থে 'রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন : হল দখলের রাজনীতি' শিরোনাম দিয়ে চার পৃষ্ঠাব্যাপী লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
"বহুল প্রত্যাশায় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন গত ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ অনুষ্ঠিত হলো। নির্বাচনের পূর্বে যথারীতি রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও সেস্নাগানের চেয়ে আওয়ামী লীগের 'দিন বদলের সনদ'কেই বা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনকেই মানুষ বেশি সমর্থন করেছে। ১/১১ পরবতর্ী সময়ে ৰমতাসীন সরকার দেশের বিভিন্ন ৰেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছিল। সেখানে সব ধরনের পরিবর্তনকে মানুষ মেনে না নিলেও কিছুৰেত্রে তা জনগণের কাছে গুরম্নত্বসহকারে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। মানুষ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে অন্যবারের তুলনায় বেশি সচেতনভাবে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে আওয়ামী লীগ একাই ২৩০টি আসন পেয়েছে। বলা হচ্ছে, স্বাধীনতাপরবতর্ী নির্বাচনগুলোর মধ্যে ২৯ তারিখের নির্বাচন তুলনামূলকভাবে বেশি সুষ্ঠু হয়েছে। অনেকে আবার এ নির্বাচনকে অর্থনৈতিক মুক্তি হিসেবে দেখছেন, যেখানে '৭০-এর সাধারণ নির্বাচন ছিল রাজনৈতিক মুক্তি।
অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ একটি দেশের জন্য কোন ৰেত্রে মঙ্গলজনক নয়্ বরং অধিকাংশ ৰেত্রে জাতিকে পেছনে নিয়ে যায়। আশার কথা, আমাদের বর্তমান ৰমতাসীন দল নির্বাচনের আগে জনগণের আকাঙ্ৰা অনুযায়ী বিভিন্ন ৰেত্রে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেছে। রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের কথা বলেছে। উন্নত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির কথা বলেছেন শেখ হাসিনা। মূলত রাজনৈতিক সংস্কৃতির গঠনমূলক পরিবর্তন বিদ্যমান অনেক রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। বর্তমানে আমাদের দেশে এটাই যেন নিয়ম যে, আওয়ামী লীগ ৰমতায় গেলে স্থানীয় বিএনপির নেতা নামধারীরা পলাতক, আবার একইভাবে বিএনপি ৰমতায় গেলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা পলাতক। উচ্চ শিৰার প্রতিষ্ঠানগুলোতে হলে অবস্থানের ৰেত্রেও একই অবস্থা। বাসত্মবিক পৰে রাজনীতি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন, অর্জন ইত্যাদির ৰেত্রে বিষয়গুলো একেবারেই সহায়ক নয়। দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য অবশ্যই এ ধরনের বিষয়গুলোর পরিবর্তন দরকার সবার আগে। আমরা সবাই আশা করি, বর্তমান ৰমতাসীন মজাজোট সরকার দেশে উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশে উলেস্নখযোগ্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।" _মহিউদ্দিন

No comments

Powered by Blogger.