রাবি হল থেকে বোমা ও রামদা উদ্ধার, আরও ১২ শিবির ক্যাডার গ্রেফতার

 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হল থেকে শনিবার পুলিশ দুটি শক্তিশালী তাজা বোমা ও দুটি রামদা উদ্ধার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরম্নদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ আরও ১২ শিবির ক্যাডারকে আটক করেছে। ক্যাম্পাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও শিার্থীরা ক্যাম্পাসে না আসায় কোন পরীা অনুষ্ঠিত হয়নি। রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হল পরিদর্শন করে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রত্যদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে শের-ই-বাংলা হলের কর্মচারীরা হলের ভেতর আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়ে দণি পাশের দেয়ালের কাছে একটি ব্যাগের মধ্যে দুটি বোমা এবং কাগজে মোড়ানো দুটি রামদা দেখতে পায়। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং মতিহার থানা পুলিশ বোমা ও দুই ফুট লম্বা দুটি রামদা উদ্ধার করে। বোমাগুলো পানিতে ডুবিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসের সিলসিলা রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে চারটি রামদা উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার রাতে রাবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুল বারী বাদী হয়ে অজ্ঞাত শিবির ক্যাডারদের আসামি করে মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শনিবার মতিহার থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ১২ শিবির ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে শাকির ও ফয়সালকে রাবি ক্যাম্পাস থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ক্যাম্পাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও শনিবার কোন বিভাগেই কাস অনুষ্ঠিত হয়নি। আতঙ্কে শিার্থীরা এখনও হলে ফিরে আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি চলাচল করেছে। আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসে বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ণ পয়েন্টে আর্মড পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শনিবার সকালে রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার নওশের আলী ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে গুলি করার নির্দেশ দেন। এবং পুলিশের মধ্যে কেউ জামায়াত-শিবিরের সমর্থক থাকলে তাদের চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে যাওয়াার কথা বলেন। পুলিশের গাফিলতির প্রমাণ পেলে তাদের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি পুলিশদের হুঁশিয়ার করে দেন। অন্যদিকে ছাত্রলীগের নেতা ফারম্নককে খুনের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে ছাত্রমৈত্রী ও ছাত্রফ্রন্ট ক্যাম্পাসে বিােভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সমাবেশে ছাত্রমৈত্রী রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি মতিউর রহমান, রাবি শাখার সাবেক সভাপতি দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, রাবি শাখার আহ্বায়ক মাজহারম্নল ইসলাম, রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আওয়াল কবির জয়, সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু, যুগ্ম-সম্পাদক আবু হুসাইন বিপু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

No comments

Powered by Blogger.