সরকার চাইলে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করবেন সু চি

মিয়ানমারে রাখাইন ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চি। তবে সরকার প্রস্তাব দিলেই কেবল এ ব্যাপারে কাজ করতে চান তিনি।
ব্রিটিশ দৈনিক পত্রিকা গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে। ব্রিটেনের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হুগো সয়্যারের কাছে সু চি এই আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
সয়্যারের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান গত সপ্তাহে জানায়, মিয়ানমার সরকার প্রস্তাব দিলে রাখাইন-রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সাহায্য করতে রাজি আছেন সু চি। সয়্যারের সাম্প্রতিক মিয়ানমার সফরে সংক্ষিপ্ত এক বৈঠকে সু চি এই আগ্রহ দেখান। সয়্যার বলেন, 'এ বিষয়ে সু চির অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। তিনি খুবই ব্যস্ত। তিনি দেশের সব ক্ষেত্রে কাজ করতে পারেন না। আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ জানালে তিনি খুবই আগ্রহের সঙ্গে তা করবেন বলে আমার কাছে ইঙ্গিত দিয়েছেন।'
মিয়ানমার সফরে রাখাইন প্রদেশে দাঙ্গায় গৃহহীনদের বেশ কয়েকটি আশ্রয়শিবির ঘুরে দেখেন সয়্যার। তিনি বলেন, 'এখনো রাখাইন প্রদেশের অবস্থা উদ্বেগজনক। জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া না হলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই দুর্ভোগ আরো বাড়বে।'
গত মে মাসে রাখাইনে এক বৌদ্ধ নারীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রোহিঙ্গা মুসলিম ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইনদের মধ্যে দাঙ্গা শুরু হয়। দাঙ্গায় অন্তত ৮০ জন মারা যায়। কয়েক হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। দাঙ্গার সময় নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি। তাঁর এই নীরবতা নিয়ে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে প্রশ্ন তোলা হয়, 'অং সান সু চিকে আন্তর্জাতিকভাবে বার্মার সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা বিবেচনা করা হয়। তিনি এর আগে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কোনো কথা বলেননি। এ ব্যাপারে তিনি কেন কোনো ভূমিকা রাখেননি তা এখনো স্পষ্ট নয়।' সূত্র : গার্ডিয়ান।

No comments

Powered by Blogger.