সৌহার্দ্যের সিরিজে অন্য ঝাঁজ

সিরিজটিকে বলা হচ্ছে সৌহার্দ্যের সিরিজ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তাদের সাবেক অধিনায়কদেরও পাঠাচ্ছে।
হানিফ মোহাম্মদ, ওয়াসিম বারিরা বন্ধুতার বারতা নিয়েই উড়ে আসছেন। কিন্তু লড়াইটা যখন ভারত বনাম পাকিস্তান, সেখানে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজকে বন্ধুত্বের খোলসে আটকে ফেলা হয়তো সম্ভব নয়।
সম্ভব যে নয়, বেশ বোঝা গেল পরশুর ম্যাচে। পাকিস্তানের ইনিংসের ১৮তম ওভারে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হলো কামরান আকমল ও ইশান্ত শর্মার মধ্যে। শুধু বাক্যবিনিময় হলেই কথা ছিল না। দুজনই দুজনের দিকে তেড়ে গেছেন। শেষে আম্পায়ার ও ভারতের সিনিয়র খেলোয়াড়েরা এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। ইশান্তকে টেনে নিয়ে নিরস্ত করেছেন রায়না-যুবরাজ।
ওই ওভারটিই আসলে ছিল উত্তেজনাকর। শেষ ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান লাগে পাকিস্তানের, হাতে ৭ উইকেট। উইকেটে ৬১ রানে ব্যাট করছেন মোহাম্মদ হাফিজ, ৪৭ রানে অপরাজিত শোয়েব মালিক। কিন্তু ইশান্তের করা ওই ওভারের প্রথম বলেই আউট হাফিজ। চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন মালিক। ক্যাচটা দারুণভাবে লুফেও নেন রবীন্দ্র জাদেজা। কিন্তু আম্পায়ার ওভার স্টেপিংয়ের জন্য নো বল হয়েছে কি না সেটি দেখতে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য চান। এ সময় নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা কামরান আম্পায়ারদের এগিয়ে এসে দ্বিতীয় বাউন্সারের জন্য নো বল হয়েছে কি না সেটিও দেখতে বলেন। শেষে উচ্চতার কারণে নো বলই ডাকেন আম্পায়ার। বেঁচে যান মালিক। এর পর পরই ইশান্ত ও কামরানের পরস্পরের প্রতি ঝাঁজালো বাক্যবিনিময়। পরস্পরের দিকে তেড়ে যাওয়া।
ম্যাচ রেফারি রোশান মহানামা দুজনকেই শাস্তি দিয়েছেন। ইশান্তই ঘটনাটি শুরু করেছিলেন বলে তাঁর জরিমানা হয়েছে বেশি। ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। কামরানকে জরিমানা করা হয়েছে ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ। ভবিষ্যতে এ ধরনের কিছু যেন না ঘটে সে ব্যাপারে দুই অধিনায়কেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনি আশ্বস্ত করেছেন এমনটা ঘটবে না, ‘আসলে দুজনের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির কারণে এমনটা হয়েছে। বোলার একটা কথা বলেছে, ব্যাটসম্যান বুঝেছে অন্য রকম। তবে ইশান্ত ওকে কোনো গাল দেয়নি। সামনে এ ধরনের কিছু যাতে না ঘটে, সেটা আমরা খেয়াল রাখব।’ ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.