সু চি ও থেইন সেইনের প্রতি আইসিজি- রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে নেতৃত্ব দিন

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বন্ধে ‘নৈতিক অবস্থান নিয়ে’ নেতৃত্ব দিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ও বিরোধী দলের নেত্রী অং সান সু চির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি)। গতকাল শনিবার এই আহ্বান জানানো হয়।


রাখাইন রাজ্যে গত জুন থেকে শুরু হওয়া বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে সহিংসতায় অন্তত ১৮০ জন নিহত হয়। বাস্তুচ্যুত হয় অন্তত এক লাখ ১০ হাজার মানুষ। যাদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা মুসলিম। সহিংসতার ঘটনায় বিভিন্ন সময় সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী সু চির প্রতি আহ্বান জানায়।
ব্রাসেলসভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন আইসিজি রাখাইনে সহিংসতা নিয়ে করা একটি প্রতিবেদনে সহিংসতা বন্ধের জন্য থেইন সেইন ও সু চির প্রতি আহ্বান জানায়। কাল সোমবার সংগঠনটি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা।
আইসিজি বলেছে, রাখাইনে এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা মোকাবিলায় থেইন সেইন ও সু চির সুস্পষ্ট নৈতিক নেতৃত্ব জরুরি। এই সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য এ দুই নেতার দৃঢ় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। বর্তমান সংকট সমাধানে ব্যর্থ হলে তাতে মিয়ানমারেরই ক্ষতি হবে।
গত জুনে সহিংসতা শুরুর পর মাঝে কিছুদিন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও গত মাসে আবার নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তুলেছে মিয়ানমার সরকার। এসব আশ্রয়কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আইসিজি।
ওবামাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে মিয়ানমার: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে মিয়ানমার সরকার। ১৯ নভেম্বর মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন ওবামা। পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সফরে মিয়ানমার ছাড়াও থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সফর করবেন।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র জ এইচতে গত শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হবে। তাঁর এই সফর মিয়ানমারের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পথ দেখাবে এবং বর্তমান সংস্কার কর্মসূচিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফরকে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক যাত্রার পথে প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন, বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি ও দেশটির গণতন্ত্রমনাদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অকুণ্ঠ সমর্থন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.