বৃত্তের ভেতর বৃত্ত-রাজনীতি ও রাজনীতিকদের সম্পর্কে রাজনীতিকদের মন্তব্য by দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু

'মাদককে না বলুন'_এই স্লোগানটি সংগত কারণেই এ দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাদক একজন মানুষকে শুধু অমানুষেই পরিণত করে না, সমাজ এবং পরিবারে এর বহুমুখী বিরূপ প্রভাবও পড়ে। আসক্ত ব্যক্তিটির মৃত্যুর কারণও হয়ে দাঁড়ায়। মানুষকে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলার চলমান প্রয়াস অত্যন্ত প্রশংসনীয়।


কিন্তু অপরাজনীতি? অপরাজনীতির কু-প্রভাব কতটা ভয়ংকর? খুব জরুরি প্রশ্ন। রাজনীতি হলো মানুষের কল্যাণের অপর নাম। রাজনীতি ছাড়া মানুষ মানুষের মতো বাঁচতে পারে না, সমাজ-রাষ্ট্র বিকশিত হতে পারে না, উন্নয়ন-অগ্রগতির চাকা গতিশীল হতে পারে না। কিন্তু সাম্প্রতিককালের রাজনীতি নিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে অহরহ নেতিবাচক আলোচনা হচ্ছে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা শান্তিপ্রিয় মানুষের কপালে ভাঁজ ফেলছে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়_এ সবই রাজনীতির সুফল; কিংবা বলা যায়, সুস্থ রাজনীতির উপার্জন। যদি তা-ই হয়, তাহলে আজ রাজনীতি নিয়ে এত নেতিবাচক কথা হচ্ছে কেন? এ-ও খুবই জরুরি প্রশ্ন। রাজনীতি কি তার শ্রী হারিয়েছে? রাজনীতির পরিচালকরা কি তাঁদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য-আদর্শ থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছেন? রাজনীতি নামক বিষয়টি, যা অত্যন্ত অপরিহার্য, তা কি সুবিধাবাদী-লুটেরাগোষ্ঠীর মুষ্টিবদ্ধ হয়ে পড়েছে? উত্থাপিত প্রশ্নগুলো সুখকর নয় বটে, কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতি এমন প্রশ্নই দাঁড় করায়। সম্প্রতি দুজন রাজনীতিবিদ এমন প্রশ্নগুলোকে আরো পুষ্ট করেছেন। এই দুজনের মধ্যে একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিক, অন্যজন জাতীয় রাজনীতিতে এখনো নবীনই বলা যায়। কিন্তু দুজনেরই জীবনের শুরু রাজনীতি দিয়ে এবং এখনো কম-বেশি রাজনীতিতেই সক্রিয়। তাঁদের মন্তব্যগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
প্রবীণ রাজনীতিক আবদুল জলিল কয়েক বছর আগেও আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছিলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যও। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীও ছিলেন। বর্তমানে এ দলেরই উপদেষ্টা পরিষদের এবং জাতীয় সংসদের সদস্য। তিনি ক্ষোভের সঙ্গেই উচ্চারণ করেছেন, 'রাজনীতি এখন আর রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে নেই, ব্যবসায়ীরা দখল করে নিয়েছেন। সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনুপস্থিতির সুযোগে ব্যবসায়ীরা জাতীয় সংসদকেও রাজনীতি-বিবর্জিত করে তুলেছেন।' আবদুল জলিল তাঁর রাজনৈতিক জীবনের গত এক দশকে বেশ কিছু বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন, সমালোচনা করার মতো উপাত্ত তুলে দিয়েছেন। সেসব প্রসঙ্গ থাক। এ নিবন্ধে ওই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা উদ্দেশ্য নয়। আরেকটি আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'রাজনৈতিক নেতারাই রাজনীতির সুনাম নষ্ট করছেন। এখনো দলে পদ পেতে রাজনৈতিক নেতারা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনকে নিজেদের পক্ষে আনতে চেষ্টা-তদবির করে যাচ্ছেন।' আওয়ামী লীগের বিগত মন্ত্রিসভায় ওবায়দুল কাদের যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি জাতীয় রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন, এটা খুব বেশি দিনের ঘটনা না হলেও স্বাধীন বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতিতে তাঁর অবদান কম নয়। ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি তখনই জাতীয় রাজনীতির আঙিনায়ও হাঁটতে শুরু করেন। এই দুজন রাজনীতিক সম্প্রতি দেশের রাজনীতি নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, এমন মন্তব্য এর আগে আমরা সুশীল সমাজের কোনো কোনো প্রতিনিধির কাছ থেকে শুনেছি। কিন্তু রাজনীতিকরা যখন রাজনীতি সম্পর্কে এমন তিক্ত মন্তব্য করেন, তখন বিষয়টি নিয়ে ভাবতেই হয়।
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ খানিকটা সংকুচিত হয়ে পড়ে_ইতিহাস এরই সাক্ষ্যবহ। পর্যায়ক্রমে তা শুধু পুষ্টই হয়নি, জাতীয় রাজনীতির জন্য তা একটি সুস্থ ও সুষ্ঠু ধারার প্রতিবন্ধক হয়েও দাঁড়ায়। অথচ এই রাজনীতিবিদরাই পরাধীন বাংলাদেশে দৃষ্টান্তযোগ্য ভূমিকা (যদিও তাঁদের অনেকেই পরে পর্যায়ক্রমে অনেকটা নীরব হয়ে পড়েন, কেউ কেউ অন্য পথ ধরেন কিংবা অনেকের প্রয়াণও ঘটে) পালন করেছেন। ভুঁইফোঁড় রাজনীতিজীবীদের জন্মের সূচনা ঘটে অবশ্য আরো কিছু আগে। যে রাজনীতি জাতীয় সংকট মোকাবিলায় এত বড় ভূমিকা পালন করল, স্বাধীন বাংলাদেশে সেই রাজনীতিই কেন ক্রমে অন্য রকম রূপ নিতে থাকল_এসব প্রশ্নের জবাব সচেতন মানুষমাত্রই জানেন। প্রগতিশীলতার পথ রুদ্ধ করতে থাকল প্রতিক্রিয়াশীলতা, আর একই সঙ্গে বাংলাদেশকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলল হীনস্বার্থের বশীভূত হয়ে। অগণতান্ত্রিক শক্তির ক্ষমতার বিস্তার এ সবই ঘটে রাজনীতিকদের ব্যর্থতার সুযোগে। যে স্বপ্ন নিয়ে, ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে রক্তস্নাত বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছিল, তা হোঁচট খেল। তার পরের ঘটনাবলি তো দুঃখস্মৃতি বৈ কিছু নয়। তথাকথিত বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকারদের কথা তো সচেতন মানুষ মাত্রই জানেন। কার্যত জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর একটি রাষ্ট্রের উৎকর্ষ নির্ভর করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, জাতীয় রাজনীতিতে যোগ্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব সৃষ্টির বদলে অরাজনৈতিক, অগণতান্ত্রিক এক অপধারা সৃষ্টি হলো, যার দায় এই জাতিকে বহন করে চলতে হচ্ছে। সুবিধাবাদীরা নিজেদের অবস্থান মজবুত করার পথ পেলেন এবং এর অপছায়া পড়ল রাজনৈতিক অঙ্গনে। একনায়কতন্ত্র নানা কৌশলে দলগুলোতে জেঁকে বসতে থাকল এবং নীতি, আদর্শ ইত্যাদি ক্রমেই ভেস্তে যেতে শুরু করল। এ সবই পুরনো কথা। নতুন করে এগুলোর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিষ্প্রয়োজন। কিন্তু নতুন প্রজন্মের দুর্ভাগ্য হলো, এ দেশে সুস্থ রাজনীতির উপার্জনের সংবাদটি তাঁদের কাছে পেঁৗছেনি। তাঁরা জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই রাজনীতির ভিন্ন চেহারা দেখেছেন, রাজনীতিকদের ভিন্ন চেহারা দেখেছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে অশুভ শক্তির উদ্ধত পদচারণায় কিভাবে সব কিছু তছনছ কিংবা সংকুচিত হয়েছে, তা-ও তাঁরা দেখেছেন।
সম্প্রতি যে দুজন রাজনীতিক ক্ষোভ-সঞ্চারিত মন্তব্য করেছেন রাজনীতি এবং রাজনীতিকদের নিয়ে, এটা গণতন্ত্রের জন্য সুবাতাস। আত্মসমালোচনা আত্মসংশোধনের সবচেয়ে প্রশস্ত ও কার্যকর পথ। আমরা অবশ্যই চাইব এমন চর্চা গতিশীল হোক, তবেই রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চা বিকশিত হবে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার সংগ্রামও ফলপ্রসূ হবে। রাজনৈতিক দলের দলবিধিতে তৃণমূল থেকে নেতৃত্ব ও প্রতিনিধি বাছাইয়ের যে বিধান আছে, তা যথাযথভাবে অনুসৃত হয় না। ওপর থেকে নেতৃত্ব চাপিয়ে দেওয়ার অশুভ প্রবণতা এখনো লক্ষণীয়। আগেই বলেছি, এমন ধারা সুস্থ রাজনীতির বড় ধরনের প্রতিবন্ধক। এক-এগারো খুব দূরের অধ্যায় নয়। এক-এগারো আমাদের রাজনীতিতে যে ঘূর্ণিঝড় তুলেছিল, এর মাসুল প্রথমত রাজনীতিকদেরই দিতে হয়েছে। যাঁরা বদলে দেওয়ার অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় বসেছিলেন, তাঁদের অনেকের কর্মকাণ্ড সিংহভাগ ক্ষেত্রেই প্রশ্নমুক্ত ছিল না। বিরাজনৈতিকীকরণের অপচেষ্টা তখন শুরু হয়েছিল জোরেশোরেই এবং আমাদের তথাকথিত তৎকালীন কিছুসংখ্যক ভাগ্যনিয়ন্ত্রকের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যও ছিল খানিকটা ভিন্ন, যা এ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ সফল হতে দেয়নি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সেই অধ্যায় আমাদের রাজনীতিকদের কতটা সচেতন করতে পেরেছে? এ প্রশ্নের জবাবও সুখকর নয়। রাজনৈতিক নেতৃত্বের যদি দক্ষতা না বাড়ে, নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হওয়ার পথ প্রশস্ত না হয় এবং গঠনমূলক সমালোচনার দ্বার উন্মোচিত না হয়, তাহলে খরস্রোতা নদীর প্রবাহ রুদ্ধ করে রাখলে অবস্থা যা হয় বা হতে পারে, রাজনীতির ক্ষেত্রেও তা-ই হতে বাধ্য। রাজনীতিকদের উচিত রাজনৈতিক দলগুলো গণ-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কেন ব্যর্থ হচ্ছে, এই আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি হওয়া। একজন ব্যক্তির ব্যর্থতা বড়জোর তার পরিবারের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে; কিন্তু রাজনীতির চালকরা ব্যর্থ হলে এর খেসারত দিতে হয় গোটা জাতিকে। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটেছে। রাজনীতি প্রকৃত রাজনীতিকদের হাতছাড়া হলে বড় বিপদ_এরও নজির আমাদের সামনেই আছে। যাঁরা গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা করেন, তাঁদের উচিত হবে না বর্তমাননির্ভর হওয়া। তাঁদের দৃষ্টি প্রসারিত হতে হবে ভবিষ্যতের দিকে। ভবিষ্যতের জন্য বর্তমানকে নির্মাণ করতে হবে। ফোঁড়া উঠলে মলম দিয়ে এর উপরিভাগকে হয়তো শুকিয়ে ফেলা যায়, কিন্তু ভেতরে কিংবা রক্তকণিকায় যদি বাসা বাঁধে কোনো কালব্যাধি; তাহলে তা উপশমের উদ্যোগ তো নিতে হবে। নইলে একসময় পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়বে দগদগে ঘা। অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সামাজিক সুযোগ এবং রাজনৈতিক দাবি উত্থাপন_এই তিনটি বিষয় যে পরস্পরের সঙ্গে গভীর সম্পর্কযুক্ত, এ রকম বক্তব্যের বিরোধিতা করাটা খুব কঠিন। আমরা লক্ষ করলে দেখতে পাব, যেসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও সামাজিক দাবি তোলার কাজটি সুনিশ্চিত এবং যথাযথ হয়েছে, সেসব ক্ষেত্রেই ঘটেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। এ পরিবর্তনের নায়করাই দেশ-জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। রাজনৈতিক কণ্ঠস্বর সামাজিক ক্ষমতার জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ কণ্ঠস্বরের অগ্রনায়করা রাজনৈতিকভাবে যত পোড় খাওয়া হবেন, নাগরিক সমাজের জন্য তাঁরাই তত বেশি অপরিহার্য হয়ে ওঠেন। একই সঙ্গে রাজনীতিকদের আরো একটি কথা মনে রাখা হয়তো খুব দরকার। কথাটি হলো, মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক অনেক বেশি সচেতন_তাদের অচেতন করে রাখার সব ধরনের অপচেষ্টা সত্ত্বেও। রাজনীতিকরা যে যা-ই বলুন না কেন, সাধারণ মানুষ কিন্তু টের পাচ্ছে, এখন সর্বক্ষেত্রে আত্মসমর্পণ ও আত্মবিক্রয়ের কী দাপাদাপি চলছে। রাজনৈতিক দর্শন রাজনীতিতে স্থান পাচ্ছে না। আবদুল জলিল ও ওবায়দুল কাদের যে মন্তব্য করেছেন, তাতে সাধারণ মানুষের সায় সংগত কারণেই মিলবে। কারণ, বাংলাদেশের বিগত চার দশকের রাজনীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের স্মৃতি সুখকর নয়। একটা প্রসঙ্গ উল্লেখ করছি গীতা থেকে। ভগবদ্ গীতায় আমরা পাই দুটি সম্পূর্ণ বিপরীত নৈতিক অবস্থানের সংঘাত_একদিকে কৃষ্ণ জোর দিচ্ছেন নির্ধারিত কর্তব্য পালনের ওপর, অন্যদিকে অর্জুন তুলে ধরেছেন অশুভ পরিণতিকে এড়ানোর যুক্তি। বিতর্কটি চলে মহাভারত মহাকাব্যের প্রধান ঘটনা মহাযুদ্ধের প্রাক্কালে। অন্যায়ভাবে রাজসিংহাসন দখলকারী কৌরবদের বিরুদ্ধে ন্যায়পরায়ণ পাণ্ডব রাজপরিবারের ন্যায় যুদ্ধে অপ্রতিদ্বন্দ্বী যোদ্ধা অর্জুনের মনে সেই যুদ্ধের সঠিকতা সম্পর্কে গভীর সংশয় দেখা দেয়। তা সত্ত্বেও মহাভারতে কিন্তু যুক্তিসংগতভাবে উপস্থিত দুটি পক্ষের বিতর্কে পরম্পরাক্রমে দুটি বিরোধী মতকেই যথেষ্ট সহানুভূতি ও যত্নের সঙ্গে উপস্থিত করা হয়েছে। অর্থাৎ, ভিন্নমত সব কালে, সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। ভিন্নমত চাপা দিয়ে রাখলে তা একসময় বুমেরাং হয়ে ওঠে। গণতন্ত্রের জন্য, কল্যাণকামী রাষ্ট্রের জন্য তো বটেই, রাজনীতির ক্ষেত্রে তা আরো বেশি সত্য। কারণ, রাজনীতি হলো জীবনঘনিষ্ঠ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। রাজনীতিকরা নিশ্চয়ই এটা অস্বীকার করবেন না। যতই স্বপ্নের মতো মনে হোক_বাস্তবতা হচ্ছে, ১৯৭১ সালের লক্ষ্য থেকে আমরা এখন অনেক দূরে। শেষ করি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কথা দিয়ে। তিনি বলেছেন, 'চিনিলাম আপনারে আঘাতে আঘাতে, বেদনায় বেদনায়।' আঘাতের ভেতর দিয়েই আবিষ্কার করতে হবে নিজেকে, যে আবিষ্কারে খাদ থাকবে না।

লেখক : সাংবাদিক
deba_bishnu@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.