প্রতিবন্ধীদের নিবন্ধন সহজ করা হোক by মোঃ রফিকুল ইসলাম

২০০১ সালের ৪ এপ্রিল জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন। সে আইনের ১৫ নম্বর ধারায় সংশ্লিষ্ট জেলায় জেলা প্রশাসক পদাধিকার বলে সভাপতি ও সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক সদস্য সচিব, সদস্য হিসেবে জেলার সিভিল সার্জন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী,


জেলা গণসংযোগ কর্মকর্তা, জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি এবং জেলায় কর্মরত প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে নিয়োজিত বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি সমন্বয়ে জেলা কমিটি গঠনের উল্লেখ করা হয়েছে। আইনে ওই জেলা কমিটির সদস্য সচিবের স্বাক্ষরে জেলায় স্থায়ীভাবে বসবাসরত সব প্রতিবন্ধীর নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান করার কথা বলা হয়েছে। কোনো প্রতিবন্ধী জেলা সদরে অবস্থিত কমিটির সিভিল সার্জনের ডাক্তারি প্রত্যয়নপত্রসহ সদস্য সচিব উপ-পরিচালক সমাজসেবা কর্মকর্তার সামনে সরাসরি উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে থাকেন এবং অনেক সময় তারা অতিমাত্রায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কমিটিতে থাকা বেসরকারি সংস্থার প্রত্যয়নপত্র এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাক্তারের সার্টিফিকেট দিয়েও কমিটির সদস্য সচিব নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র দিচ্ছেন না।
উন্নয়নের মূলধারায় প্রতিবন্ধীদের সম্পৃক্ত করতে না পারলে তাদের উন্নয়ন যেমন সম্ভব নয় তেমনি সম্ভব নয় দেশের সার্বিক উন্নয়নও। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে, বিশেষ করে আমাদের অর্থনৈতিক সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু আন্তরিকতার মাধ্যমে সীমিত সামর্থ্যের মধ্য থেকে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হবে। কৌশল গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে একীভূত উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে অধিকসংখ্যক মানুষকে উন্নয়নের আওতায় আনা সম্ভব। স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্ত করা হলে সীমিত সামর্থ্যের মধ্য দিয়েও প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব।
ইসলামপুর, জামালপুর

No comments

Powered by Blogger.