দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পরাজিত প্রার্থীর পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের পাইকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের জানান, গত বছরের ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আবদুল করিমকে পরাজিত করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন আলমগীর হোসেন।
নির্বাচনের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে বিরোধ। সম্প্রতি জমি নিয়ে ভাইদের সঙ্গে করিমের বিরোধ বাধে। ভাইদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির ইন্ধনদাতা হিসেবে কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনকে দায়ী করেন তিনি।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনের সঙ্গে আবদুল করিমের লোকজনের বাগিবতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ১০-১২ রাউন্ড গুলির শব্দে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হন। গুলিবিদ্ধ জিমখানা পশুর হাটের গরু ব্যবসায়ী আলমাস আলীকে (২৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আলমগীর দাবি করেন, তাঁকে হত্যার জন্যই গুলি ছোড়া হয়েছে। বুধবার রাতে করিমের লোকজন এলাকার বিভিন্নজনের গ্যাসের রাইজার খুলতে থাকে। এর প্রতিবাদ জানানোর কারণেই তাঁর লোকজন অতর্কিত হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে। তাদের ছোড়া গুলিতেই একজন আহত হয়েছেন।
আবদুল করিম জানান, তাঁর উদ্যোগে এলাকার গ্যাস-সংকট নিরসনের কাজ চলে। এতে আলমগীরের মনে লাগে এবং তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে ধাওয়া দেয় আলমগীরের লোকজনকে।
একপর্যায়ে আলমগীর, ভাইয়া মুরাদ, মিজান, মিঠু, সন্ত্রাসী হাজী রিপনসহ আরও কয়েকজন হামলা চালান। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের আরও জানান, ফাঁকা গুলি করা হয়েছে। কে গুলি করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.