ব্রিটিশ এমপিদের আশঙ্কা- টেকসই আফগান রাষ্ট্র সম্ভব না-ও হতে পারে

আফগানিস্তান হয়তো কখনোই একটি টেকসই রাষ্ট্রে পরিণত হবে না। এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন যুক্তরাজ্যের একদল প্রভাবশালী এমপি। তাঁরা বলেছেন, যুক্তরাজ্য সরকার আফগানিস্তানের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তা পুনর্বিবেচনা করা উচিত।


ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক সিলেক্ট কমিটি গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে। কমিটি বলেছে, আফগানিস্তানে ক্ষমতার পালাবদলের সময়ে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক বিভাগ (ডিএফআইডি) যে সাহায্য পরিকল্পনা করছে, সে ব্যাপারে আরও ‘নমনীয়’ হতে হবে। যুক্তরাজ্যের উচিত আফগানিস্তানে ছোট আকারের গ্রামীণ প্রকল্প এবং দারিদ্র্য বিমোচনের ব্যাপারে মনোযোগী হওয়া। কমিটি সতর্ক করে দিয়ে আরও বলেছে, আফগান নারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ সাহায্য দিতে যুক্তরাজ্য সরকার ব্যর্থ হচ্ছে।
কমিটির সদস্য এমপিরা বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে স্থিতিশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা যুক্তরাজ্য দেখছে, আমরা তা পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করছি। আফগান জনগণের সেবা ও তাঁদের দারিদ্র্য দূরীকরণের ওপর জোর দিচ্ছি আমরা।...যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির নারীদের উন্নয়নে অনেক অঙ্গীকার করা হয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও তহবিলের অভাবে তা বাস্তবায়িত হয়নি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে গত পাঁচ বছরে আফগান নারীদের অবস্থার বরং আরও অবনতি হয়েছে। তালেবানের পতনের পর যে অগ্রগতি হয়েছিল, তাকে দুর্বল করেছে এই ঘটনা।
কমিটির চেয়ারম্যান স্যার ম্যালকম ব্রুস বলেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর বড় ধরনের অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে সেখানকার জনগণের প্রতি ব্রিটিশ সহযোগিতা অব্যাহত রাখা উচিত। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার সামর্থ্য ডিএফআইডির আছে কি না, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। তবে আমাদের উচিত কার্যকর উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।’
ডিএফআইডির একজন মুখপাত্র এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আফগানিস্তান আসন্ন বছরগুলোতে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র রাষ্ট্র থেকে যাবে। যুক্তরাজ্য দেশটিকে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। বর্তমানে যে হারে সহযোগিতা করা হচ্ছে তা অন্তত ২০১৭ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। আমরা একমত যে আফগান নারীদের উন্নয়নের বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।’ বিবিসি ও দ্য টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.