যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির পরও হামলা চালু রেখেছে আসাদ বাহিনী

প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও সিরিয়ায় সহিংসতা চলছে। ঈদুল আজহার ছুটিতে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার আসাদ সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। কিন্তু এ দিনও দামেস্কের কাছে ট্যাংক ও রকেট হামলা চালিয়েছে তার বাহিনী।


এতে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও ত্রাণকর্মীদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে আসাদ সরকারের প্রতি।
জাতিসংঘ ও আরব লিগের সিরিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমি গত বুধবার জানিয়েছিলেন, আসাদ সরকার ঈদের ছুটির সময় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি আছে। কিন্তু এর পরও দামেস্কের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হারাস্তা এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল হামলা চালায় সেনাবাহিনী। হারাস্তার এক অধিবাসী জানান, শহরে প্রবেশের মুখে ট্যাংক ও রকেট লঞ্চার মোতায়েন করে সরকারি সেনারা। বিদ্রোহীদের প্রতিরোধের মুখে তারা সুনি্নপ্রধান এই শহরে ঢুকতে পারেনি। তবে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রায় এক মাস আগে সরকারি বাহিনীর অভিযানে হারাস্তায় ৭০ জন মারা যায় বলেও জানান তিনি। ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, বুধবার সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতায় কমপক্ষে ১৪২ জন মারা গেছে।
এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটসসহ ৯টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও ত্রাণকর্মীদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে আসাদ সরকারের প্রতি। সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরুর পর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত সব অপরাধের জন্য সম্প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন আসাদ। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.