এইচএসসি ফলে রেকর্ড-০ পাসের হার ৭৮.৬৭ শতাংশ ০ সব থেকে ভাল ফল করেছে সিলেট বোর্ড ০ খারাপ করেছে বরিশাল বোর্ড ০ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬১ হাজার ১৬২ জন

মাধ্যমিকের পর এবার এইচএসসি, আলিম ও এইচএসসি বিএম পরীক্ষায় ফলেও পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি থেকে শুরু করে সকল সূচকেই ইতিহাসের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এক বছরের ব্যবধানে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ২১ হাজার ৩৯৩ জন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ১৬২ জনে।


অন্যদিকে পাসের হার তিন দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়ে এবার পাস করেছে ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত বছর পাস করেছিল ৭৫ দশমিক শূন্য আট শতাংশ পরীক্ষার্থী। বেড়েছে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও। গত বছর হার ছিল ৭২ দশমিক ৩৬ শতাংশ, এবার পাস করেছে ৭৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৩৮৫ জন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ৪৬৯ জনে। সকল বোর্ডের পাসের হারে এবারো সর্বোচ্চ মাদ্রাসা বোর্ডে ৯১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আট বোর্ডে সবার ওপরে সিলেট আর সবচেয়ে কম বরিশাল বোর্ড। এদিকে পাসের হারে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে এবার মেয়েরা। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে এগিয়ে ছেলেরা।
এবার শতভাগ উত্তীর্ণ কলেজের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১১ সালে ৮৯২টি কলেজ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিল। এবার শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হলো এক হাজার ৩৬টি। তবে গত বছরের মতো এবারও ২৪ প্রতিষ্ঠানে কোন পরীক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় সব শিক্ষা বোর্ডই ভাল ফল করেছে। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে এবার শীর্ষস্থান অর্জন করেছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডের গড় পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৭ ভাগ। গড় পাসের হারে সবচেয়ে নিচে আছে বরিশাল বোর্ড। এবার এ বোর্ডের গড় পাসের হার হলো ৬৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করেন। এ সময় দশ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাদের নিজ নিজ বোর্ডের ফলের অনুলিপি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে রাজশাহী কলেজ ও রাজশাহী মহিলা কলেজের ফল প্রকাশ করেন। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথাও বলেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী বেলা ১টায় মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরেন। তিনি ভাল ফল লাভ করায় ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষা প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। এ সময় শিক্ষা সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশীদসহ শিক্ষা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, অন্যান্য বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন িি.িবফঁপধঃরড়হনড়ধৎফৎবংঁষঃং.মড়া.নফ ওয়েবসাইটে সব বোর্ডের ফল পাওয়া যাচ্ছে। মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে এইচএসসির ফল জানতে যংপ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। সার্বিক ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভীতি দূর হওয়া, শিক্ষকদের নিয়মিত উন্নতমানের প্রশিক্ষণ প্রদান, নকলের প্রবণতা দূর করা, সময়মতো পরীক্ষা গ্রহণ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার ফলেই এইচএসসিতে সাফল্য অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, অতীতে পরীক্ষা গ্রহণের তিন চার মাস পর ফল প্রকাশ হতো। এতে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কলেজে ভর্তি হতেও সমস্যা সৃষ্টি হতো এবং পরবর্তীতে সেশন জটের কবলে পড়তে হতো। কিন্তু আমরা পরীক্ষা গ্রহণের ৬০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করছি। এমনকি এবার এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে বিরোধী দল লাগাতার হরতাল ডাকাকালে পাঁচটি পরীক্ষা পেছাতে হয়েছে। এরপরও পরীক্ষা শেষ হওয়ার মাত্র ৫৫ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করছি।
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চতর স্তরে ভর্তিতে আসন সঙ্কট হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অতীতে কোন কালেই আসন সঙ্কট হয়নি। তবে উচ্চ ডিগ্রী অর্জনের জন্য সারাবিশ্বেই শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। পাবলিক ও প্রাইভেট প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়েই নিয়মিত কোন না কোন নতুন বিভাগ চালু হচ্ছে। বাড়ছে আসনও। তাছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজে প্রতিবারই অসংখ্য আসন শূন্য থাকে। তাই আসন সঙ্কটের কোন আশঙ্কা নেই।
বোর্ডভিত্তিক ফলাফলের চিত্র ॥ আটটি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মোট সাত হাজার ৪৬৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল নয় লাখ ১৭ হাজার ৬৭৩ ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে সাত লাখ ২১ হাজার ৯৭৯ শিক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। অন্যদিকে গত বছর দশ বোর্ডের মোট সাত হাজার ১৭৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল সাত লাখ ৬৪ হাজার ৮২৮ ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিল পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার ২৬১ শিক্ষার্থী। গড় পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ০৮ শতাংশ।
ঢাকা বোর্ড ॥ ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার পরীক্ষা দিয়েছিল দুই লাখ ৩৪ হাজার ১৫৫ শিক্ষার্থী। এরমধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৯১ হাজার ৫৮০ জন। গড় পাসের হার ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশ। গত বছর এ বোর্ডের গড় পাসের হার ছিল ৭৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ঢাকা বোর্ড থেকে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ হাজার ১০৪ শিক্ষার্থী। গত বছর এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৭ হাজার ৭৮৬ শিক্ষার্থী। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ (ডিআইবিএস) পরীক্ষায় এবার অংশ নিয়েছিল চার হাজার ২৭৪ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে তিন হাজার ৬১৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০৯ জন। গত পাসের হার ৮৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গত বছর ডিআইবিএস’এ পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। প্রসঙ্গত, দেশের ১৮টি সরকারী কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ডিআইবিএস কোর্স চালু আছে।
রাজশাহী বোর্ড ॥ এ বোর্ড থেকে এবার পরীক্ষা দিয়েছিল এক লাখ পাঁচ হাজার ১৩৫ ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে পাস করেছে ৮২ হাজার ৪৬৭ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত বছর এ বোর্ডের পাসের হার ছিল ৭৯ দশমিক শূন্য এক শতাংশ। এবার রাজশাহী বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ছয় হাজার ৮৭২ শিক্ষার্থী। গত বছর এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল পাঁচ হাজার ৫৮৮ জন।
কুমিল্লা বোর্ড ॥ এ বোর্ড থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৭৮ হাজার ৩৭ ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৮ হাজার ২১৯ জন। পাসের হার ৭৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত বছর এ বোর্ডের পাসের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এবার কুমিল্লা বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ১৫০ শিক্ষার্থী। আর গত বছর এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক হাজার ৩৮৯ শিক্ষার্থী।
যশোর বোর্ড ॥ যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এক লাখ পাঁচ হাজার ৯৮৯ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭১ হাজার ৯৩৭ শিক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৬৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত বছর এ বোর্ডের পাসের হার ছিল ৬৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এবার যশোর বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ২২৯ জন। গত বছর এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল তিন হাজার ৩৭০ শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম বোর্ড ॥ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার পরীক্ষা দিয়েছিল ৫৩ হাজার ৯৬৮ ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৯ হাজার ১১ শিক্ষার্থী। এবার গড় পাসের হার ৭২ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত বছর চট্টগ্রাম বোর্ডের পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। এবার এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ১৪৫ জন। আর গত বছর চট্টগ্রাম বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক হাজার ৭৯৫ শিক্ষার্থী।
বরিশাল বোর্ড ॥ বরিশাল শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৪২ হাজার ১৯ ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৮ হাজার ১৪৪ জন। গড় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। গত বছর এ বোর্ডের পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ১২ শতাংশ। এবার বরিশাল বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৮৯৫ শিক্ষার্থী। গত বছর এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক হাজার ৩১০ শিক্ষার্থী।
সিলেট বোর্ড ॥ এবার সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৩৭ হাজার ৩৭২ ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩১ হাজার ৯০৩ শিক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গত বছর এ বোর্ডের পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এবার সিলেট বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৬৫ শিক্ষার্থী। গত বছর এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮৮৭ শিক্ষার্থী।
দিনাজপুর বোর্ড ॥ দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৮৫ হাজার ৭৭৩ ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে পাস করেছে ৬৪ হাজার ৬৭৯ শিক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত বছর এ বোর্ডের পাসের হার ছিল ৬৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার নয় শিক্ষার্থী। গত বছর এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল দুই হাজার ২৬০ শিক্ষার্থী।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ॥ এবার আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৮৪ হাজার ২৪৬ ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৭ হাজার ৩১৬ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গত বছর এ বোর্ডের পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ৫৭ ভাগ। এবার মাদ্রাসা বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে সাত হাজার ৭৩ শিক্ষার্থী। গত বছর এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল চার হাজার ২৭৬ শিক্ষার্থী।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ॥ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এইচএসসি (ভোকেশনাল ও বিকম) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৮৬ হাজার ৭০৫ ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৩ হাজার ১০৬ শিক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৮৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। গত বছর এ বোর্ডের পাসের হার ছিল ৮৪ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ। এবার কারিগরি বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ২১১ শিক্ষার্থী। আর গত বছর এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭২৮ শিক্ষার্থী। এছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিদেশের পাঁচটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এবার এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রগুলো হলো আবুধাবী, লিবিয়া, কাতার, সৌদি আরবের জেদ্দা ও রিয়াদ। এসব কেন্দ্র থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১৭৯ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬৯ জন। পাসের হার ৯৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ জন। গত বছর বিদেশী কেন্দ্রের পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪১ শিক্ষার্থী।

No comments

Powered by Blogger.