শাওনের বক্তব্য নিয়ে নিউ ইয়র্কে তোলপাড়

হুমায়ন আহমেদ তাকে নুহাশ পল্লীতে দাফনের কথা বলে গেছেন, মেহের আফরোজ শাওনের এমন বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তাদের ঘনিষ্ঠ নিউ ইয়র্ক প্রবাসী কয়েকজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আব্দুল মোমেনের স্ত্রী সেলিনা মোমেন শাওনের বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, শনিবার হুমায়ন আহমেদের মরদেহ দেশে নিয়ে যাবার সময় জেএফকে এয়ারপোর্টে প্রকাশ্যে মেহের আফরোজ শাওন লাশ দাফনের ব্যাপারে হুমায়ূন আহমেদ কিছু বলে যাননি বলে জানান।
সেলিনা মোমেন বলেন, শাওনকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সেখানে আমি, হুমায়ুন আহমেদের চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মুক্তধারা নিউইয়র্কের প্রধান বিশ্বজিৎ সাহা, তার স্ত্রী রুমা সাহা এবং সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার সাবেক চীফ রিপোর্টার ও ইটিভির নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন সেলিম উপস্থিত ছিলেন।
সবার সামনেই তাকে লাশ দাফনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শাওন বলেন, হুমায়ুন আহমেদ এ বিষয়ে কিছুই বলে যাননি। এজন্য দেশে গিয়েই সিদ্ধান্ত হবে।

এ বিষয়ে সাংবাদিক শাখাওয়াত হোসেন সেলিম বলেন, শাওন বললেন, হুমায়ুন আহমেদ কিছু বলে যাননি। তাই তিনি বলতে পারছেন না দাফন কোথায় হবে। তার এই কথা রেকর্ড করতে গেলেই বাধা দেন শাওনের মা তহুরা আলী। তিনি বলেন, এখন কোনো কথা রেকর্ড করা যাবে না। শাওনকে তিনি বারণ করেন এ বিষয়ে কোনো কথা না বলতে।

এ বিষয়ে হুমায়ুন আহমেদের চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত প্রধান ব্যক্তি বিশ্বজিৎ সাহার বত্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, শাওনের বক্তব্য আমাকে বিস্মিত ও স্তম্ভিত করেছে। কারণ এয়ারপোর্টে তিনি প্রকাশ্যে বললেন, লাশ দাফনের বিষয়ে হুমায়ুন আহমেদ কিছুই বলে যাননি। কিন্তু দেশে গিয়েই তিনি একেবারেই উল্টো কথা বললেন।

গত ৯ মাস আমরা চিকিৎসার স্বার্থে কাছাকাছি ছিলাম। কিন্তু শাওন এ ধরনের কথা কখনো বলেনি। ড. হুমায়ুন আহমেদও আমাদের দাফন নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেননি।

বিশ্বজিৎ সাহার স্ত্রী রুমা সাহা বলেন, আমরা স্যারের মরদেহ ও শাওনকে বিদায় দিতে এয়ারপোর্ট গেলাম। সেখানে শাওন সবার সামনেই বলেছেন, স্যার দাফনের বিষয়ে কোনো কিছু বলে যাননি। এখন তিনি একেবারেই অন্য কথা বলছেন। অবশ্য এ সময় তার মা তহুরা আলী এসে তাকে থামিয়ে দিয়ে নিয়ে যান বলে জানান।

No comments

Powered by Blogger.