মাইকেলের সম্পদ নিয়ে পরিবারের মধ্যে গৃহবিবাদ

সম্পত্তি নিয়ে মাইকেল জ্যাকসনের সন্তান ও তার ভাইবোনদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধীতা শুরু হয়েছে। মাইকেলের ৫০০ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির কাস্টডি তার সন্তানদের হাতে। আর মা ক্যাথরিন মাইকেলের সন্তানদের দেখভালকারী হিসেবে আদালতের মাধ্যমে নিযুক্ত হন।

কয়েকদিন ধরে মাইকেল কন্যা প্যারিস তার দাদীকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে টুইটারে সাহায্য আবেদন করেন। এরপর মিডিয়ায় বিষয়টি চাওড় হয় এবং বিক্ষিপ্ত সব মতামত আসতে শুরু করে তার চাচা ফুপুদের পক্ষ থেকে। আর কোন্দলের মাঝখানে পড়ে গেছেন ক্যাথরিন।
সম্প্রতি মাইকেলের বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। টিএমজেড ওয়েবসাইট জানায় ফুপু জেনেট প্যারিসকে থাপ্পর মেরেছে এবং ‘ স্পয়েলড্ লিটল বিচ’ বলে সম্মোধন করেছে। প্রত্তুত্তরে প্যারিসও থাপ্পর ফিরিয়ে দিয়েছে তার ফুপুকে।

টিএমজেড’ আরো জানান মাইকেলের সন্তানদের সাময়িক কাস্টডি চেয়েছেন ভাই টিটো। টিটোর বিশ্বাস মা ক্যাথরিনের নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

মাইকেল তার বাবা এবং ভাইবোনদের জন্য কোনো সম্পদ রেখে যাননি। মৃত্যুর পরে এই বিষয়টি নিয়ে অনেক মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

জানা গেছে ক্যাথরিন আরিজোনায় তার মেয়ে জেনেটের বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন। তিনি মাইকেলের সন্তানদের সঙ্গে ফোনে কথা পর্যন্ত বলছেন না। ছেলে জারমেইন জ্যাকসন জানিয়েছেন তার মা ফোন ধরছেন না তবে তিনি এখন ভালো আছেন।

মাইকেল কন্যা প্যারিস (১৪) তার দাদীর সঙ্গে পরিবারের সবার এই ব্যবহারে প্রচণ্ড ক্রোধান্বিত। টুইটারে টুইট করেছেন, নয়দিন চলে গেছে আমি অপেক্ষা করছি। ইশ্বর সাহায্য কর। যে এ ব্যাপারে সাহায্য করবে তাকে উপযুক্ত সম্মানি দেব।

ক্যাথরিনের আইনজীবী রিবেরা দাবি করেছেন, মাইকেলের সন্তানদের কাছ থেকে তাদের প্রিয় দাদী ক্যাথরিনকে সরানোর একটা ষড়যন্ত্র চলছে।

মাইকেলের সম্পদ এবং তার সন্তানদের মা ক্যাথরিনের অভিভাবকত্ব বিষয়গুলো আদালত কর্তৃক নির্ধারিত এবং প্রদর্শিত হয়। বিচারক সম্প্রতি মাইকেলের সম্পদ থেকে আয়ের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেছেন। মৃত্যুর পর এ পর্যন্ত মোট আয় হয়েছে ৪৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখান থেকেই মাইকেলের বড় বড় কিছু ধারদেনা শোধ করা হবে।

এস্টেট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন আমরা পুরো বিষয়টি নিয়ে মধ্যস্থতা করিনি শুধুই নিরীক্ষণ করছি যাতে সেটা মাইকেলের সন্তান ও তাদের দাদী ক্যাথরিনের জন্য ভালো হয়। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

No comments

Powered by Blogger.