শেখ রাসেল শিশু পার্কের নির্মাণ প্রকল্প বন্ধের পথে

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ভূমি ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর শহররক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক নির্মাণ প্রকল্পটি অবশেষে বন্ধ হতে চলেছে। ১ জুলাই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।


সিরাজগঞ্জ পাউবোর বিশেষায়িত শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজিদুর রহমান জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
১৯৯৯ সালের ৩০ নভেম্বর সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর শহররক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্টে শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সিরাজগঞ্জ পৌরসভা ৪ দশমিক ৯০ একর জায়গার চারপাশে সীমানা প্রাচীর ও গণশৌচাগার নির্মাণ করে। ২০০১ সালে বিএনপির সরকার প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেয়। ২০১১ সালের ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিরাজগঞ্জের সরকারি কলেজের মাঠে এক জনসভায় এই পার্ক নির্মাণ করার ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর সিরাজগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ওই ভূমি হস্তান্তর/ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার আবেদন করে। মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন-৩ শাখার উপসচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক মোল্লা ১ জুলাই এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, প্রস্তাবিত হার্ডপয়েন্টের ভূমিতে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা হলে বা ভূমির নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হাতে না থাকলে বন্যার সময় আপদকালীন পরিস্থিতিতে জরুরি কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
এ ব্যাপারে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ফজল-এ-খোদা বলেন, শিশু পার্কটি সিরাজগঞ্জ তথা দেশের গর্ব। জেলায় কোথাও চিত্তবিনোদনের কোনো জায়গা নেই। প্রধানমন্ত্রীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর কেন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। সিরাজগঞ্জ রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক জহুরুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পার্ক নির্মাণ বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোকাদ্দেস আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন নিয়ে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ব্যাপারটি পুনর্বিবেচনার জন্য পাউবোর প্রতি তিনি অনুরোধ করেন।

No comments

Powered by Blogger.