কোলেস্টেরলভীতি তৈরির নেপথ্য কাহিনী by ড. মুনীরউদ্দিন আহমদ

কোলেস্টেরল নিয়ে অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই বহু ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে। আমি মনে করি, এসব অমূলক ধারণা দূর করা প্রয়োজন। কারণ এসব ভ্রান্ত ধারণার কারণে আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কয়েক দশক ধরে আমাদের চিকিৎসকরা বলে আসছেন- কোলেস্টেরল স্ট্রোক ও হৃদরোগের মূল কারণ এবং এসব রোগ


থেকে বাঁচতে হলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে হবে। লাইফস্টাইল পরিবর্তন বা প্রাকৃতিক উপায়ে নয়, কোলেস্টেরল কমাতে হলে নামিদামি ওষুধ খেতে হবে। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা ১৯৮৭ সালে 'দ্য জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন'-এ প্রকাশ করেন যে পঞ্চাষোর্ধ্ব মানুষের মৃত্যুর কারণের সঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রার কোনো সম্পর্ক নেই। ওই বৈজ্ঞানিকের গবেষণায় আরো দেখা যায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি কমে গেলে মৃত্যুর হার বেড়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, অতি সমপ্রতি 'দ্য জার্নাল অব কার্ডিয়াক ফেলিয়ার' এবং জার্নাল 'ল্যানসেট' প্রকাশ করেছে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গেলে জটিল হৃদরোগীদের মৃত্যুহার বেড়ে যায়।
প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত কোলেস্টেরল স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কিন্তু কোলেস্টেরলকে উচ্চতাপে পোড়ানো হলে তা নষ্ট হয়ে যায়। ১০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় কোলেস্টেরল সহজে পরিবর্তনীয় নয়। কিন্তু ১২০ ডিগ্রি বা তার বেশি তাপমাত্রায় এক ঘণ্টা উত্তপ্ত করা হলে কোলেস্টেরল অক্সিডাইজেশনের (রাসায়নিক রূপান্তর) মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন যৌগে পরিণত হয়। এগুলোকে ক্ষতিকর (Damaged) কোলেস্টেরল বলা হয়। এসব ক্ষতিকর উপাদানের মধ্যে রয়েছে ৭-আলফা হাইড্রোক্সিকোলেস্টেরল, ৭-বিটা হাইড্রোক্সিকোলেস্টেরল, ৫-আলফা ইপক্সিকোলেস্টেরল, ৫-বিটা ইপক্সিকোলেস্টেরল, কোলেস্টেনট্রায়ল এবং ৭-কিটোকোলেস্টেরল। ২০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা হলে কোলেস্টেরলের গাঠনিক সংকেত (Structure) পুরো ভেঙে যায়। যেসব খাবার রান্না করার জন্য ১২০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রার দরকার হয়, সেসব খাবারে বিদ্যমান কোলেস্টেরল স্বাস্থ্য উপযোগী থাকে না, ক্ষতিকর কোলেস্টেরলে রূপান্তরিত হয়। কোলেস্টেরলসমৃদ্ধ প্রাণীজ খাবার যেমন- খাসি, গরু, শূকরজাতীয় পশুর মাংস উচ্চতাপে দীর্ঘক্ষণ ধরে রান্না করতে হয় বলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়। কেউ যদি প্রতিনিয়ত ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ও ফ্রি রেডিক্যাল (ফ্রি রেডিক্যাল হলো অণু, পরমাণু বা আয়ন, যার মধ্যে একটি অসংযুক্ত ইলেকট্রন থাকে) সমৃদ্ধ খাবার খায়, তবে এসব ক্ষতিকর উপাদান রক্তের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেবে এবং ক্রমান্বয়ে শিরা-উপশিরার অভ্যন্তরের গায়ে জমতে শুরু করবে। তাই দীর্ঘক্ষণ উচ্চ্চতাপে রান্না বা পোড়া তেলে ভাজা কোলেস্টেরলসমৃদ্ধ খাবার আপনার স্ট্রোক ও হৃদরোগের জন্য ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।
কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় রাসায়নিক যৌগ। শরীরে পর্যাপ্ত কোলেস্টেরল না থাকলে ভিটামিন ডি, টেস্টোস্টেরন, ইসট্রোজেন এবং অ্যালডোস্টেরন-জাতীয় অত্যাবশ্যকীয় হরমোন উৎপাদন কমে যাবে। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গেলে অসুস্থতার উপসর্গ দেখা দেবে, যৌন ক্ষমতা হ্রাস পাবে এবং শরীরে হতাশা বাসা বাঁধবে। কোলেস্টেরল কমানোর জন্য চিকিৎসকরা যাদের স্ট্যাটিন গ্রুপের (জেনেরিক : অ্যাটরভেস্ট্যাটিন, ব্র্যান্ড: লিপিটর, ম্যাভাকর, যুকর, প্র্যাবাকল, ল্যাসকল) ওষুধ প্রদান করেন, তাদের যৌন ক্ষমতা বা যৌন বাসনা প্রায় ক্ষেত্রে হ্রাস পায়; নতুবা বিনষ্ট হয়ে যায় (Loss of libido)। এ সমস্যা নিয়ে অনেক রোগীকে আবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়। অনভিজ্ঞ চিকিৎসকরা তখন রোগীকে এমন সব পরামর্শ দেন, যা করলে তাকে সমূহ বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের মনে রাখা দরকার। আমাদের শরীরের কয়েক শ কোটি কোষের (Cell) প্রাচীর তৈরির জন্য কোলেস্টেরল একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। কোলেস্টেরলের অভাবে কোষ-প্রাচীর তৈরি হয় না বলে শরীরে পর্যাপ্ত কোলেস্টেরল থাকা বাধ্যতামূলক। এত কিছুর পরও চিকিৎসকরা রোগীকে কোলেস্টেরল কমানোর জন্য একেবারে চকোলেট বা ক্যান্ডির মতো স্ট্যাটিন গ্রুপের ওষুধ গ্রহণ করার পরামর্শ দেন। শোনা যায়, অনেক চিকিৎসক আবার সরকারকে জনসাধারণের জন্য সরবরাহকৃত পানিতে স্ট্যাটিন গ্রুপের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়ার পরামর্শ পর্যন্ত দিয়েছেন এই বলে যে স্ট্যাটিন গ্রুপের ওষুধ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং মানুষকে হৃদরোগ ও স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে। কিন্তু ভাগ্য ভালোই বলতে হবে। কারণ পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় স্ট্যাটিন গ্রুপের খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রকাশ পাওয়ার কারণে সরবরাহকৃত পানিতে স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের এ ধরনের ওষুধ মেশানোর প্রস্তাব ভেস্তে যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, তিন-চতুর্থাংশ রোগীর মধ্যে এ গ্রুপের ওষুধ কোনো কাজই করে না বা করলেও তা নগণ্য পরিমাণ করে। 'কোচরান লাইব্রেরি' কর্তৃক প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়, ৩৪ হাজার রোগীর মধ্যে স্ট্যাটিনের ১৪টি ট্রায়ালের ফলাফলে রোগীদের মধ্যে হতাশা, মেজাজ পরিবর্তন, যকৃতের সমস্যা বা কর্মক্ষমতা হ্রাস, কিডনি বিকল হওয়া, চেখে ছানিপড়া, পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং সাময়িক স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া অন্যতম বলে প্রমাণিত হয়েছে। সাময়িক স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ায় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে লিপিটর গ্রহণকারী এক ভদ্রমহিলা নাশতার টেবিলে রুটির বদলে তাঁর স্বামীকে হাতিটা তাঁর দিকে এগিয়ে দিতে বলেন। লিপিটরে অভ্যস্ত আরেক ভদ্রলোক টেলিফোনে তাঁর বন্ধুকে তাঁর মেয়ের নাম বলতে পারছিলেন না সাময়িক স্মৃতিভ্রমের কারণে। এগুলো গল্প নয়, সত্যি ঘটনা। সারা বিশ্বে এখন লিপিটরের রাজত্ব চলছে। ২০০৭ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে লিপিটরের বিক্রির পরিমাণ ছিল প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার। আর সারা বিশ্বে এর বিক্রির পরিমাণ ছিল কম করে হলেও ১২ বিলিয়ন ডলার। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা পাঁচ কোটি ৭০ লাখ রোগীকে লিপিটর প্রেসক্রাইব করেছিলেন। কেন এত মানুষ অ্যান্টিকোলেস্টেরল ওষুধ গ্রহণ করে? এ জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের একটা বড় ভূমিকা আছে। ২০০৪ সালে চিকিৎসকদের একটি দল স্ট্রোক আর হৃদরোগের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে এলডিএলের মাত্রা ১৩০ থেকে ১০০তে নামিয়ে আনেন। হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর নাম করে তাঁরা আবার এলডিএলের মাত্রা ১০০ থেকে ৭০-এ নামিয়ে আনেন। এ মাত্রা কমিয়ে আনার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক কোটি মানুষকে লিপিটর গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। প্রিয় পাঠক, এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ফাইজারের একটি মাত্র ওষুধ কেন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে আসছে বছরের পর বছর। পরবর্তী সময় গোপন কথা প্রকাশ হয়ে যায়, যেসব চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও চিকিৎসক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর কাজে লিপ্ত ছিলেন তাঁদের সঙ্গে কম্পানির একটি স্বার্থসংশ্লিষ্ট যোগসূত্র ছিল। এই অনৈতিক অপকর্মের জন্য তাঁরা ১০টি কম্পানি থেকে প্রত্যেকে লাখ লাখ ডলার সম্মানী পেয়েছিলেন।
কারো রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা যদি অস্বাভাবিক পর্যায়ে বেড়ে যায়, তা আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রাকৃতিক নিয়মে এবং লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে স্বাভাবিক মাত্রায় কমিয়ে আনতে পারি। প্রাকৃতিক উপায়ে কোলেস্টেরল কমানোর পরিবর্তে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ক্ষতিকর ওষুধ খেয়ে আমরা নিজেদের উপকারের চেয়ে ক্ষতিটাই বেশি করি। আমরা অনেক সময় অসুস্থ হই স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নূ্যনতম যে সাধারণ জ্ঞানটুকু থাকা দরকার, তা অর্জন করতেও আমাদের প্রচণ্ড অনীহা রয়েছে। স্বেচ্ছাচারিতা বা বাড়াবাড়ির কারণে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়লে সুস্থ হওয়া বা সুস্থ থাকার জন্য আমরা অতিমাত্রায় আত্মসচেতন হয়ে পড়ি। অমূলক ভয়ভীতির কারণে জীবনযাপন বা খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে এমন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করি, যা আবার বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যায়। সুখী ও সুস্থ জীবনের জন্য সব সময় মধ্যপন্থা অবলম্বন করাই শ্রেয়। সাম্প্রতিক সময়ের এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, অতিমাত্রায় 'হাই ফ্রুকটোস কর্ন সিরাপ' গ্রহণ করার কারণে এলডিএলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিনি ছাড়াও ফ্রুকটোস কর্ন সিরাপ ব্যবহার করে ইদানীং কোমল পানীয়গুলো প্রস্তুত হচ্ছে। চিনিভর্তি এসব কোমল পানীয়ের প্রতি অনেকেরই প্রচণ্ড আসক্তি রয়েছে। অতিমাত্রায় চিনি, হাই ফ্রুকটোস কর্ন সিরাপ, বেশি ভাত, রুটি বা স্টার্চ জাতীয় খাবার খেলে বাড়তি কার্বোহাইড্রেট লিভারে চর্বি ও কোলেস্টেরলে রূপান্তরিত হয়। আমাদের ধারণা, কোলেস্টেরলসমৃদ্ধ খাবার খেলেই শুধু রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। কোলেস্টেরলসমৃদ্ধ খাবার যেমন- খাসি, গরু, শূকর, ডিম, দুধ, লিভার, মগজ ইত্যাদি খেলে রক্তে যে পরিমাণ কোলেস্টেরল বাড়ে তার চেয়ে বেশি কোলেস্টেরল তৈরি হয় মাত্রাধিক ভাত, রুটিজাতীয় খাবার থেকে। বিশ্বায়নের কারণে আমাদের খাদ্যাভ্যাস অতিদ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। শুধু ছোটরা নয়, বয়স্করাও আজকাল ফাস্টফুড বা জাঙ্কফুডে আসক্ত হয়ে পড়ছে। সারা দেশে বিশেষ করে ঢাকা শহরের অলিগলিতে যেদিকে তাকাই শুধু রংবেরঙের ফাস্টফুডের দোকানই দেখি। এসব দোকানে ভিড়ও চোখে পড়ার মতো। এসব ফাস্টফুডের দোকানে যেসব খাবার বিক্রি হয় তাতে প্রচুর লবণ, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ও ট্রান্সফ্যাট থাকে। এ ছাড়া থাকে মাত্রাতিরিক্ত চিনিসমৃদ্ধ ফলের রস ও কোমল পানীয়। ওই সব খাবারই বয়স্কদের স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয়। উচ্চতাপে তেলে পোড়া সব খাবারই স্ট্রোক ও হৃদরোগের মূল কারণ।
কোলেস্টেরল, স্ট্রোক, হৃদরোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে আমরা কিছু পন্থা অবলম্বন করতে পারি। এক. খাদ্যতালিকা হতে হবে পরিমিত ও সুষম। দুই. চর্বিজাতীয় খাবার পরিমিত খাওয়া দরকার। কার্বোহাইড্রেড জাতীয় খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে। চিনিসমৃদ্ধ কোমল পানীয় বর্জন করা দরকার । ফাইবার বা আঁশজাতীয় শাকসবজি, ফলমূল, খোসাযুক্ত আটা খাবারের মূল অংশ হতে হবে। স্বাস্থ্যের উপযোগী চর্বির জন্য অ্যাভাকাডো, অলিভ, নারকেল, অর্গানিক ডিম, মিঠা পানির মাছ খাওয়া আবশ্যক। তেলে পোড়া খাবার, আগুনে ঝলসানো ও উচ্চতাপে রান্না প্রাণীজ খাবার কম খেতে হবে। মানসিক চাপ, শারীরিক কর্মতৎপরতা, শরীরের ওজন রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রায় পরিবর্তন আনতে পারে। বাকি থাকল ব্যায়াম। অবশ্যই প্রতিদিন পর্যাপ্ত ব্যায়াম করতে হবে।
বর্ণিত পরামর্শগুলো মেনে চললে আমাদের আর কোলেস্টেরলের ওষুধ খেয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে হবে না। প্রাকৃতিক নিয়মেই আমাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসবে, আপনিও সুস্থ থাকবেন। আপনি সুস্থ থাকলে আপনার কোলেস্টেরলভীতি দূর হবে।

লেখক : অধ্যাপক, ফার্মাসি অনুষদ, ঢাবি এবং
প্রো-ভিসি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি

No comments

Powered by Blogger.