সেনাবাহিনীতে দুটি কমান্ড হচ্ছে

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পূর্ব ও পশ্চিম কমান্ডে ভাগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন ও শক্তিশালী করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এটা করা হচ্ছে। পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন।


সরকারি দলের সাংসদ আসমা জেরিনের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় সেনাবাহিনীর সামগ্রিক সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠনের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। সেনাবাহিনীর বিদ্যমান আদেশ ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থাকে ইস্টার্ন কমান্ড ও ওয়েস্টার্ন কমান্ডে বিন্যস্ত করা হবে। প্রতিটি সদর দপ্তর ও ইউনিটে তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞানসম্পন্ন জনবল, সরঞ্জাম ও শান্তিরক্ষার কাজে ব্যবহার করা আধুনিক সরঞ্জামগুলো সাংগঠনিক কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে ৪৪টি অত্যাধুনিক মডেলের এমবিটি-২০০০ ট্যাংক এবং ১৬টি এফ-৭ জঙ্গি বিমান কেনার প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া দুটি ওয়েপন লোকেটিং (অস্ত্র শনাক্তকরণ) রাডার, ১৮টি সেলফ প্রপেল্ড গান, ১১৩টি স্বল্পপাল্লার অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড ওয়েপন কেনার প্রক্রিয়া চলছে।
সেনা সূত্র জানায়, এই ব্যবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সদর দপ্তর ও ইউনিটগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে। বিভিন্ন ইউনিটের সাংগঠনিক কাঠামোতে আধুনিক অস্ত্র, গোলাবারুদ, ব্যবহার্য সরঞ্জাম ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির জন্য আধুনিক বেতারযন্ত্র অন্তর্ভুক্ত হবে।
প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম দুর্যোগ মোকাবিলায়, বিশেষ করে ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ধারকাজের জন্য ইউনিটগুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আনা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সামরিক বিশেষজ্ঞ লে. জেনারেল (অব.) এ টি এম জহিরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের এ ধরনের পরিকল্পনার কথা জানি না। তবে এটা যদি হয়ে থাকে, তা করার আগে আরও আলোচনা-পর্যালোচনা করা দরকার। এটা করার আগে ভেবে দেখতে হবে, আমাদের প্রয়োজন ও সামর্থ্যের সঙ্গে এটা সংগতিপূর্ণ কি না। কারণ, এ ধরনের সিদ্ধান্তের পেছনে বিপুল পরিমাণ ব্যয়ও জড়িত।’ তবে ভারত ছাড়াও অনেক দেশে এই ব্যবস্থা আছে বলে তিনি জানান।

No comments

Powered by Blogger.