টোয়ালাইটের বেলা-এডওয়ার্ড বাস্তবেও!

পাপারাজ্জিরা তক্কে তক্কে ছিল। এইবার বাছাধন ধরা তোমাদের পড়তেই হবে! ব্র্যাঞ্জেলিনা গেল তল, ‘রবস্টেন’ কিনা বলে কত জল! না, পারেনি। দুঁদে ডাকসাঁইটে পাপারাজ্জিদের আবারো ফেলটুস বানিয়ে দিয়েছেন কারস্টেন স্টুয়ার্ট আর রবার্ট প্যাটিনসন, গসিপ-গুজুবে মিডিয়া যে জুটির নাম দিয়েছে রবস্টেন।


রবার্টের রব, আর কারস্টেনের স্টেন। ব্র্যাড পিট আর অ্যাঞ্জেলিনা জোলি মিলে যেমন ব্র্যাঞ্জেলিনা।
টোয়ালাইট সাগার সেটে দুজনের প্রথম পরিচয়। পর্দার বেলা সোয়ান আর এডওয়ার্ড কালেন, রক্তমাংসের মানুষ আর অজরাময় ভ্যাম্পয়ারের দুর্দান্ত প্রেমের গল্প যারা শুনিয়ে চলেছেন, জিতে নিয়েছেন বিশ্বের কোটি কোটি তরুণ-তরুণীর মন; বাস্তব জীবনেও একে-অন্যকে পাগলের মতো ভালোবাসেন বলেই তো রুপালি পর্দাতেও জুটির রসায়ন জমে বেশ।
কিন্তু এখন পর্যন্ত দুজনকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় এক ফ্রেমে বন্দী করতে পারেনি পাপারাজ্জিরা। ট্যাবলয়েডগুলোও তাদের বেশির ভাগ খবর ‘জনৈক’ আর ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ সূত্রদের বরাতে দিয়েই তুষ্ট হয়েছে। শতবাধা আর শয়তানী শক্তির নজর থেকে নিজেদের প্রেম বাঁচাতে যেমন রুপালি পর্দায় লড়াই করে চলেছেন, তেমনি কৌতুহলের লোলুপ নজর থেকেও সযত্নে নিজেদের সম্পর্কটাকে আড়াল করে রেখেছেন এই জুটি।
এই তো, গেল কান উৎসবে স্টুয়ার্ট আর প্যাটিনসন দুজনই এসেছিলেন নিজ নিজ ছবি নিয়ে। এ বছরের শেষে মুক্তি পাচ্ছে টোয়ালাইট সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ছবি। ব্রেকিং ডনের শেষ পর্ব। ভ্যাম্পায়ার আর মানবীর অসম, অবিশ্বাস্য প্রেমের গল্পের এখানেই ইতি। পাঁচ বছর ধরে কাজ করছেন এই সিরিজে। গোটা পাঁচেক অন্য ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। কিন্তু টোয়ালাইটের বৃত্ত থেকে যেন বেরোতে পারছেন না স্টুয়ার্ট।
জানেন, বৃত্ত ভাঙতেই হবে। এরই মধ্যে দুটো ছবি করেছেন যেখানে ভক্তরা চিরচেনা বেলাকে খুঁজে পাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভূমিকায়। স্নো হোয়াইট অ্যান্ড দ্য হান্টসম্যান নামের রূপকথানির্ভর ফ্যান্টাসি এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছে। বক্স অফিসে বেশ শোরগোলও ফেলেছে। মুক্তির মিছিলে আছে অন দ্য রোড। যেখানে ম্যারিলু নামের চরিত্রটির ভূমিকায় স্টুয়ার্ট নাকি ফাটিয়ে দিয়েছেন।
সেই অন দ্য রোড নিয়েই কান চলচ্চিত্র উৎসবে এসেছিলেন স্টুয়ার্ট। প্যাটিনসনও আসছেন নিজের ছবি নিয়ে—এই খবর পেয়ে বেশ আশাবাদী ছিল পাপারাজ্জিরা। কিন্তু হা হতোস্মি। দুজন দুজনের প্রিমিয়ারে ঠিকই গেছেন। কিন্তু রুপালি পর্দার বাইরে একে অন্যের আলিঙ্গনে বেলা-এডওয়ার্ড—পরম প্রার্থিত এই ছবি ক্যামেরাবন্দী করা হয়নি আলোকচিত্রীদের।
জন্ম লস অ্যাঞ্জেলেসেই। হলিউড যেন তাঁর বাড়ির উঠোন। বাবা-মা দুজনই কাজ করেছেন, করছেন হলিউডেই। মাত্র ১২ বছর বয়সে জুডি ফস্টারের ছোট্ট মেয়ের চরিত্র দিয়ে ২০০২ সালে মুক্তি পাওয়া প্যানিক রুম ছবিতে অভিষেক। ভালো করেই সব জানেন বলেই মাত্র ২২ বছর বয়সেও স্টুয়ার্ট যেন ৪২ বছরের অভিজ্ঞ। জানেন, এখানে সম্পর্ক খুব সহজেই দুষিত হয়। ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে তাই চলতে হয়।
তবে এমন নয়, সম্পর্কের কথাটি তিনি অস্বীকার করছেন। এও বলছেন, ‘আমি জানি আমার জীবনটা খুব সহজেই গুগলে খুঁজে পাওয়া যায়।’ কেন নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে চান না, এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘কারণ আমি স্বার্থপর। এটা একান্তই আমার। আমি তাই নিজের একান্ত জিনিসটাকে নিজের কাছেই রেখে দিতে চাই।’
 রাজীব হাসান
তথ্য: হলিউড রিপোর্টার

No comments

Powered by Blogger.