বিশ্বসেরা নোট-বাংলাদেশ কথা বলে

বাংলাদেশের দুই টাকার নোটটি পৃথিবীর সুন্দরতম ব্যাংকনোট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কাজটি করেছে রাশিয়ার একটি বিনোদন বিষয়ক অনলাইন। তারা যে খুব নামিদামি সংগঠন, সেটা হয়তো বলা যাবে না। কিন্তু অনেক দেশের বিভিন্ন মূল্যমানের ব্যাংকনোট থেকেই এটিকে বাছাই করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালে প্রথম বাজারে ছাড়া এ নোটে রয়েছে বাংলাদেশের গৌরব-সাহসের প্রতীক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং জাতীয় পাখি দোয়েলের ছবি।


দোয়েলটি বসে আছে গাছের ডালে, নিচে বহমান নদী। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারের ডিজাইন করেছিলেন শিল্পী হামিদুর রহমান। আরেক শিল্পী রফিকউদ্দিন আহমদ দুই টাকার নোটটি ডিজাইন করার সময় এ শহীদ মিনারটিকে অবিকল রেখেছেন, যার পাশে রয়েছে ফুলের গাছ। শিল্পী গৌরব ও ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রকৃতির সৌন্দর্য যুক্ত করেছেন। এ শিল্পী প্রয়াত। কিন্তু তার নিকটজন ও স্বজনেরা নিশ্চয়ই এ অর্জনে আনন্দ অনুভব করবেন। মূল্যস্ফীতির কারণে অর্থ সচিবের স্বাক্ষরযুক্ত বাংলাদেশের দুই টাকার নোটের ব্যবহার অনেক কমে গেছে। এক টাকার নোট তো আরও দুর্লভ। তদুপরি বাজারে ছাড়া হয়েছে দুই টাকা মূল্যমানের আরও একটি নোট। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নোট হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া দুই টাকা মূল্যমানের নোটটি বাজারে যাতে চালু থাকে এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, এটাই প্রত্যাশা থাকবে। বিশ্বের সর্বত্র কাগজের মুদ্রা ডিজাইন করার সময় জাতীয় বৈশিষ্ট্য ও ঐহিত্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। এভাবে একটি দেশকেও জানার সুযোগ তৈরি হয়। মুদ্রা মানুষের হাতে হাতে ঘুরতে থাকে। ভিনদেশিরাও এর ব্যবহার করে। অনেকের মুদ্রা সংগ্রহের নেশা থাকে এবং এ নিয়ে প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। আমাদের নোটের ডিজাইন করার সময় এসব বিষয় অবশ্যই বিবেচনায় থাকে। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার তাগিদ কিন্তু রেখে গেল।

No comments

Powered by Blogger.