কেটে ফেলা হচ্ছে সংসদ এলাকার ৪৭২ ইউক্যালিপটাস গাছ

জাতীয় সংসদ এলাকার ৪৭২টি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে ফেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ঠিক কবে থেকে গাছগুলো কেটে ফেলা হবে সে বিষয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নেবে সংসদ সচিবালয়। গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে জাতীয় সংসদে একটি স্ট্র্যাটেজিক বৈঠকের পর সংসদের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাহফুজুর রহমান সমকালকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পরিবেশের বিপর্যয় রোধে সংসদ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে নতুন গাছ লাগানো এবং গাছ কাটার কাজটি একই সঙ্গে করবেন তারা।


সকালে সংসদ সচিবালয় এ বিষয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদফতর এবং স্থাপত্য অধিদফতরের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞরা জানান, সারা বিশ্বেরই ইউক্যালিপটাস গাছ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সব জায়গায়ই এই গাছের বদলে দেশীয় গাছ লাগানোর বিষয়ে আন্দোলন হচ্ছে। সুতরাং আমাদেরও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। তাছাড়া ইউক্যালিপটাস গাছের কারণে সংসদ এলাকার অন্যান্য গাছের বিকাশেরও ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ইউক্যালিপটাস গাছের বদলে দেশীয় ফলদ গাছই বেশি পছন্দ সংসদ সচিবালয়ের। তবে গাছ যাতে পাখির বসবাসের উপযোগী হয় সেদিকটিতেও খেয়াল রাখা হবে। পুরো এলাকাটি পাখপাখালির নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে যাতে কাজে লাগে সেদিকেও সংসদ খেয়াল রাখবে বলে জানিয়েছেন সংসদ সচিব। তাছাড়া যে সব দেশীয় গাছ সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয় সেগুলোই এখানে লাগানোর সম্ভাবনা বেশি।
আবার গাছ কাটা এবং নতুন গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে জাতীয় সম্পদ সংসদ ভবনের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে স্থাপত্য অধিদফতরকে বৈঠক থেকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গাছ কাটার বিষয়ে যাতে পরিবেশবাদী বা অন্য কোনো সংগঠন আন্দোলনে না নামে সে জন্য পরিবেশবাদী সংগঠন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবে জাতীয় সংসদ সচিবালয়।

No comments

Powered by Blogger.